1. মামুন তার ৪ হেক্টর জমিতে ফল ও শাকসবজির চাষাবাদ করেন। মাঝে মাঝে তার চাষকৃত ফল ও শাকসবজি পচে যায়। এ ব্যাপারে মামুন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করলে কর্মকর্তা তাকে ফল ও শাকসবজি পচার কারণগুলো বুঝিয়ে বলেন। পরিশেষে কৃষি সম্প্রসারণ বললেন, "ফল ও শাকসবজি সংরক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম"।
2. দারিয়াপুর গ্রামের আলম তার গাভীগুলো প্রজনন করানোর জন্য এলাকার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে পরামর্শক্রমে উন্নত জাতের ষাঁড়ের বীর্য দ্বারা কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থা করেন। এর প্রেক্ষিতে আলমের খামারের উন্নত জাতের বকনা উৎপাদিত হলো। পরবর্তীতে উন্নত জাতের গাভী থেকে দুধ উৎপাদনও বেড়ে গেল। গ্রামবাসীর আলমের উন্নত জাতের গাভী দেখে ঐ ধরনের গাভী পালনে আগ্রহী হলেন।
4. দবির উদ্দীন তার দুই একক জমিতে আখ চাষ করেন। আখ দীর্ঘ মেয়াদি ফসল হওয়ায় দুই সারির মাঝে সাথী ফসল হিসেবে সরিষা ও মুসর ডাল চাষ করেন। বর্ষাকালে লাল পচা রোগের কারণে কিছু আখ হলদে হয়ে যায়। চিন্তিত হয়ে ব্লক সুপার ভাইসারের সাথে দেখা করে সমাধান পাৰ। শেষে ব্লক সুপার ভাইসার বলেন- "বাংলাদেশে চিনির চাহিদা
ক্রমবৃদ্ধিতে আখ চাষ লাভজনক।”
5. শফিক সাহেব নামকরা কৃষি বিজ্ঞানী। তিনি ছোট বেলা থেকেই কৃষিতে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন। তিনি যখন বিভিন্ন সেমিনারে যান তখন একটি কথা প্রায়শই বলেন, "কৃষি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।"