1. “ফিলিপ ফ্যাশন” বিদেশ থেকে ৭ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য শীতকালীন পোশাক আমদানি করে ঢাকা শহরে বিক্রয় করে। সম্প্রতি প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি টেলিভিশনে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিμয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়।
2.
বিগত ১০ বছরের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে “সুমী ফ্যাশন” স্মার্ট তরুণীদের জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইনের থ্রি-পিছ তৈরি করে ফেসবুকে নিজস্ব পেজে আপলোড করে। অল্প সময়ের মধ্যে স্মার্ট তরুণীরা “সুমী ফ্যাশন” এর পণ্যের প্রতি ব্যাপক সাড়া দেয়। ঝামেলামুক্ত কেনাকাটার জন্য ফেসবুক বিপণন জনপ্রিয় হওয়ায় দেশের অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী সুমীর মতো ফেসবুকভিত্তিক বিপণন অ্যাপস খুলে সফলতা অর্জন করেছে।
3. জামিল সাহেব দীর্ঘ ২০ বছর ইতালির একটি বিখ্যাত ভোগ্যপণ্য কারখানায় ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করেন। তিনি চাকরি শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরে একটি কারখানা স্থাপন করেন। তার উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ভালো। যুবকদের কর্মসংস্থানেও প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু অপরিকল্পিত স্থানে কারখানা স্থাপন, রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিবেশ দূষণের অভিযোগে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা কারখানা বন্ধ করার জন্য জামিল সাহেবকে নোটিশ দেন। জামিল সাহেব অন্য কোনো উপায় না পেয়ে অভিযুক্ত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান করে পুনরায় কারখানা চালু করেন।
4. ‘জনি ট্রেডার্স’ দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের সাথে প্রসাধনসামগ্রী বিপণন করছে। সম্প্রতি প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সানি ট্রেডার্স’ ‘একটি পণ্য কিনলে একটি ফ্রি’ দেয়ায় জনি ট্রেডার্সের বিক্রয় কিছুটা কমে যায়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিহ্নিত উদ্যোক্তা কর্তৃক অর্থ প্রদত্ত মাধ্যম প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে সফল হন।
5. হোসেন আলী নিজস্ব জমিতে কমলা চাষ করে নিজেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে লাভবান হন। মাত্র কয়েক বছরেই তিনি বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ শুরু করেন। হোসেন আলীর একার পক্ষে বিপুল পরিমাণ কমলা বিক্রি করা সম্ভব না হওয়ায় তিনি 'অরিন ফ্রুট জুস ফ্যাক্টরি'-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তারা সারা দেশে কমলার জুস বিক্রি করে।