1. শাসনক্ষমতা লাভের পর মি, রহিমকে অনেক সমস্যা ও বাধা- বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। তাঁর সময় ভন্ড ধর্ম প্রচারকদের উদ্ভব, করবিরোধী আন্দোলন ও স্বধর্মত্যাগীদের বিদ্রোহ রাষ্ট্রের ধর্মব্যবস্থার ওপর আঘাত হানে। তিনি সাহস ও দৃঢ়তার সাথে এ জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। বিশ্বস্ততার জন্য তাঁকে বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
2. 'ক' রাজ্যের ধর্মীয় নেতা মি. এন্থনি যখন জনসমক্ষে আসেন তখন সবাই অবাক। তিনিও তো তাদের মতো একজন সাধারণ মানুষ। অথচ একদল পুরোহিত বলে আসছিল যে তিনি মানুষ নন, বরং দেবতা। পুরোহিতদের বলা এসব কাহিনি যখন ধর্মীয় নেতার গোচরে আসে তখন তিনি তাদের কঠোর শাস্তি দেন। অতঃপর জনগণকে সাথে নিয়েই তিনি 'ক' রাজ্য প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন ।
3. পবন চৌধুরী মরিচপাশা গ্রামের জমিদার পরিবারের সন্তান। তিনি উচ্চশিক্ষিত ও পৈতৃকসূত্রে বিশাল সম্পদের অধিকারী। এলাকার মানুষের শিক্ষার উন্নতির জন্য তিনি একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন । দেশ-বিদেশের বহু গ্রন্থ সংগ্রহ করে তিনি এটিকে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। পবন চৌধুরীর এই গ্রন্থাগারের সুনাম শুনে দূর-দূরান্ত থেকে বহু জ্ঞানপিপাসু মানুষ এখানে ছুটে আসেন। তিনি এই গ্রন্থাগার পরিচালনায় প্রচুর টাকা খরচ করেন ।
4. আজমপুরের খান বংশের ব্যবসায়ী দাউদ খান তালুকদার বংশের হান্নান সাহেবের সঙ্গে এক সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে জমিদারি হরন। বিজয়ী হান্নান সাহেব খান বংশের লোকদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালান। তার অত্যাচার থেকে কোনোক্রমে রেহাই পেয়ে খান বংশের সন্তান কবির মাহমুদ মাতুলালয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে ভাগ্যান্বেষণে তিনি পার্শ্ববর্তী রাজনগরে স্বাধীন জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন।
5. সুলতানি ও মুঘল আমলে ভারতে ফার্সি ভাষায় সরকারি কার্যক্রম। চলত। কিন্তু পলাশী যুদ্ধের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। শাসনক্ষেত্রে ব্রিটিশরা ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভব করে। এরই প্রেক্ষিতে তারা ভারতে ইংরেজি শিক্ষার স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। অফিস-আদালতসহ সবখানে ইংরেজি ভাষা চালু করা হয়। অর্থনীতি, শিক্ষা, ব্যবসায় তারা ইংরেজি, সংস্কৃতি চালু করে।