1.
'ক' নামক রাষ্ট্রটি বিদেশি শাসকগোষ্ঠী দ্বারা প্রায় দুইশত বছর শাসিত হয়েছে।প্রথম থেকে বিদেশী শাসকগোষ্ঠী 'ক' রাষ্ট্রের টিকে থাকার জন্য নানা কুটকৌশল অবলম্বন করে। জনগণকে খুশি করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইন তৈরি করে। কিন্তু কোনো আইনই জনগণকে খুশি করতে পারেননি। অবশেষে বিদেশি শাসকগোষ্ঠীর একটি আইন তৈরি করে 'ক' রাষ্ট্রটিকে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের বিভক্ত করে স্বাধীনতা দিয়ে নিজ দেশে চলে যায়।
2.
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ 'সভ্যতার সংকট' প্রবন্ধে লিখেছেন, "আমি আশা করে আছি, পরিত্রাণকর্তার জন্মদিন আসছে আমার দরিদ্র লাঞ্ছিত কুটিরের মধ্যে ; অপেক্ষা করতে থাকবো। সভ্যতার দৈববাণী নিয়ে সে আসবে, মানুষের চরম আশ্বাসের কথা মানুষকে এসে শোনাবে, এই পূর্ব দিগন্ত থেকেই। "রবি ঠাকুরের ত্রাণকর্তা চরম আশ্বাসের দৈববাণী নিয়ে এসেছেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে এবং ২৫ মার্চের মধ্যরাতে হানাদার বাহিনীর 'অপারেশন সার্চলাইটের' জবাবে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঘোষনা করলেন আজ হতে বাংলাদেশ স্বাধীন চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।"
3.
পাকিস্তান আমলে একটি বিয়োগ্রান্তক ঘটনাকে উপজীব্য করে রচিত হয় কবিতা - কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি, সংগীত- ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়, তোরা ঢাকা শহর রক্ত ভাসাইলি, উপন্যাস- আরেক ফাল্গুন, নাটক- কবর। রচনা সমূহ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে তেমনি বিয়োগান্তক ঘটনার ফলে শ্রেষ্ঠ বাঙালির অদম্য চেতনা কে করেছে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। এর ধারাবাহিকতায় আরও কয়েকটি সফল রাজনৈতিক কর্মসূচি চূড়ান্ত পরিণতি হলো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
4.
দাদু প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে নাতিরাজুকে বললেন, " দাদুভাই, আমার জীবনে এমন একটি নির্বাচন দেখেছি, যে নির্বাচনটি ছিল অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। তিনি আরও বললেন, "অনেকগুলো রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও বাঙালিরা একটি রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছিল। কিন্তু পরবর্তী শাসক কোনোভাবে জয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে জনগণের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়।
5.
রুমানা একাদশ শ্রেণীর একজন ছাত্রী। বাড়ি হতে তার কলেজের দূরত্ব ৩ কি. মি। পায়ে হেঁটে সে কলেজে যাতায়াত করে। কিছুদিন ধরে সে লক্ষ্য করছে কলেজে আসা যাওয়া পথে একটি ছেলে তাকে অনুসরণ করে এবং নানাভাবে শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করে।একদিন ছেলেটিকে ডেকে এ ধরনের কাজ করার জন্য নিষেধ করে। এতে ছেলেটি ক্ষেপে গিয়ে তাকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে ও ভয়-ভীতি দেখায়। রুমানা কলেজে এসে অধ্যক্ষ স্যারকে বিষয়টি জানালো। অধ্যক্ষ স্যার স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ছেলেটিকে এক বছরের কারাদণ্ডের দণ্ডিত করেন।