1.
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে মুসলমানদের নিকট তুরস্কের সুলতানের খিলাফতের মর্যাদা ছিল অসীম। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক জার্মানির পক্ষে এবং ব্রিটেন জার্মানির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনস্ত মুসলমানেরা তুরস্কের বিপক্ষে যুদ্ধে ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীতে যোগদানে অস্বীকৃতি জানায়। ব্রিটিশরা ভারতীয় মুসলমানদের আশ্বস্ত করে যে, যুদ্ধে জয়ী হলে তারা তুরস্কের খিলাফতের ক্ষতিসাধন করবে না। কিন্তু প্যারিস শান্তি সম্মেলনে ব্রিটিশ সরকার তুরস্কের খিলাফত ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলে ভারতীয় মুসলমানেরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং তাদের দাবির পক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলে।
2.
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গেটিসবার্গের ভাষণে বলেন, "The Government of the people, by the people, for the people. " এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা সারাবিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে একটি কালজয়ী ভাষণ।
4.
১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে আসামের বিধান সভায় অসমিয়া ভাষাকে আসামের একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপিত হলে সেখানকার বিপুল সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষী এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। তারা বাংলাকেও অসমিয়া ভাষার সাথে অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা করার দাবি করে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে হরতাল চলাকালে শিলচর এলাকায় সাধারণ মানুষের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে এগারো জন প্রাণ হারায়।
5.
'ক' ও 'খ' বাবার সাথে রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ ঘুরতে যায়। সেখানে ২৫ মার্চের কালরাতের পৈচাশিক নিষ্ঠুরতা, মুক্তিযুদ্ধকালীন হানাদার পাকবাহিনীর বর্বরতা, বিজয়ের ঊষালগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী কর্তৃক দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের কাহিনি শুনে তারা ভীষণভাবে বিচলিত ও মর্মাহত হয়। তবে বীর বাঙালির প্রতিরোধ যুদ্ধের গল্প শুনে তারা খুশি হয়।