2. রফিক সাহেব একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি অর্থ উপার্জন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করেন। তাঁর স্ত্রী বললেন, সৎপথে অর্থ উপার্জন করে ধনী হওয়া যায়না। রফিক সাহেব বললেন, হারাম খাওয়ার চেয়ে না খাওয়া ভাল। আল্লাহ বলেছেন 'আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে পবিত্র ও হালাল জিনিস ভক্ষণ করো। করিম সাহেব বলেন, মানুষের উচিত দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। প্রত্যেক ব্যক্তি তার পেশা ও দায়িত্ব আইন মেনে পালন করলে দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের প্রতি আকর্ষণ মানুষের কর্মে প্রতিফলিত হয়।
3. জহির সাহেব একজন চাকরিজীবী। তিনি তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠ। তিনি মনে করেন বিয়ে-শাদী করা ঝামেলার বিষয়। চাকরির পাশাপাশি ধর্মীয় বিধানাবলী পালন করে সুখে থাকা যায়। হাশেম সাহেব তাঁর মা-বাবা, ভাই-বোনকে নিয়ে একত্রে বাস করেন। হাশেম সাহেবের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীও একজন চাকরিজীবী। হাশেম সাহেবের পিতা অসুস্থ হলে তাঁরা বাবার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
4. মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে দুই শ্রেণির মানুষের কথা বর্ণনা করেছেন। প্রথম শ্রেণির মানুষ যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে। দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ যারা মুখে ইমানের কথা বলে আল্লাহ এবং মুমিনদের ধোঁকা দেয় এবং তাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে।
5. সগির সাহেব একজন ধর্মপরায়ণ ব্যবসায়ী। তিনি প্রতিবছর তাঁর সম্পদের একটি অংশ দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দেন। তিনি মনে করেন এটি একটি ফরজ ইবাদত যা পালন না করলে গুনাহ হবে। রাফি সাহেব একজন কৃষক তিনি তার উৎপাদিত ফসলের একটি অংশ দরিদ্রদেরকে দান করেন। তিনি মনে করেন এটি আল্লাহর নির্দেশ যা পালন করা বাধ্যতামূলক।