1. জনাব ইসমাইল একজন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের শিক্ষণের উপর গণ্ডগোলের প্রভাব দেখার জন্য তার ক্লাশের ছাত্রদের জোড়-বিজোড় রোল নম্বর এর ভিত্তিতে সমান সংখ্যক ছাত্র দিয়ে "ক" দল এবং "খ" দল গঠন করেন। তিনি "ক" দলকে গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশে এবং "খ" দলকে গণ্ডগোলমুক্ত পরিবেশে দুইটি ভিন্ন কক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কতগুলো অর্থহীন শব্দ তালিকা মুখস্থ করতে দেন। পরীক্ষণ শুরুর পূর্বে তিনি মন্তব্য করেন যে, গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশের শিক্ষণ গণ্ডগোলমুক্ত পরিবেশের শিক্ষণের তুলনায় কম হবে। পরীক্ষণ শেষে ফলাফল ইসমাইল সাহেবের মতামতের সাথে মিলে যায়।
2. হামিদ মিয়ার সাথে সম্পত্তি নিয়ে রশিদ মিয়ার অনেকদিন যাবৎ বিবাদ চলছিল। এক পর্যায়ে বিবাদটি এমন পর্যায়ে পৌছাল যে ক্ষুদ্ধ হামিদ মিয়া অপর পক্ষকে বললেন, "আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব"। একথা শুনে রশিদ মিয়া চরম অপমান বোধ করেন এবং তার ভিতর রাগ ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া হামিদ মিয়ার উক্তির সময় তার দেহভঙ্গি ও বাচনিক আচরণ ছিল উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক। তাই রশিদ মিয়াও ক্রোধে ঘোষণা করেন তিনিও সবকিছু দিয়ে এর মোকাবিলা করবেন।
3. জনাব জায়েদ একজন শিক্ষক। তিনি লক্ষ করলেন তার ছাত্র রিয়াজ খুবই অমনোযোগী এবং প্রায়ই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। জনাব, জায়েদ রিয়াজের মাকে একজন মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে বললেন। মনোবিজ্ঞানী ১ম পর্যায়ে রিয়াজকে বিভিন্ন রংয়ের কালি সম্বলিত কিছু কার্ড দেখান এবং কার্ডে কী দেখছে তা লিখতে বলেন। এ পর্যায়ে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজকে ঠিকমত বুঝতে না পেরে ২য় পর্যায়ে ভিন্ন কতগুলো অস্পষ্ট দ্ব্যর্থবোধক ছবিসম্বলিত কার্ড দেখান এবং কী দেখছে তার ভিত্তিতে গল্প' লিখতে বলেন। এবার লিখিত গল্পগুলি ব্যাখ্যা করে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজের সমস্যা বুঝতে পারেন।
4. আন্তঃকলেজ মেধা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ১৪ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র সজীব ও ফুয়াদের মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচনের জন্য মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক দায়িত্ব নেন। শিক্ষক তাদের উপর বুদ্ধি অভীক্ষা প্রয়োগ করেন। সজীবের বুদ্ধ্যঙ্ক ১০০ এবং ফুয়াদের মানসিক। বয়স ১৫ বৎসর ২ মাস। সজীব বেশ চটপটে বলে শিক্ষক তাকে। প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করেন। সজীব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ৩য় স্থান অধিকার করে। কিন্তু ফুয়াদ মনে করে প্রতিযোগিতায়। তাকে প্রেরণ করলে সে আরো ভালো ফলাফল করতে পারতো।
5. জনাব সালাম সাহেব একজন বয়স্ক পরহেজগার ব্যক্তি। অপরদিকে তার বন্ধু মিতব্যয়ী সামাদ সাহেব সবকিছু টাকার মানদণ্ডে বিচার করেন। তার সন্তান লিটন জাঁকজমকপূর্ণ ও বিলাসী জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন।