1. কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক ক্রিকেট টিম গঠনের জন্য ৩০ জনের। একদল শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ১, ২, ৩ এভাবে ৩০ পর্যন্ত ক্রমিক মান প্রদান করেন। অতঃপর জোড় এবং বিজোড় ক্রমিক মানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুটি ক্রিকেট টিম গঠন করলেন।
2. নিম্নবিত্ত এলাকায় বেড়ে ওঠা ওয়াসিম সামান্য হাসি ঠাট্টাতে রেগে যায়। সে তার মতামতকে ভুলের ঊর্ধ্বে বলে মনে করে। তার মতামতের বিরোধিতা করলে সেটাকে ভ্রান্ত ও শাস্তিযোগ্য বলে মনে করে। তার একগুঁয়েমির কারণে অন্যের সাথে প্রায়ই বিবাদে লিপ্ত হতে দেখা যায়। ওয়াসিমের বাবা তাকে তিরস্কার করে বলেন, সমাজে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোরতা পরিহার করে বিকল্প পদ্ধতিতে অন্যের সমর্থন লাভ করা যায়।
3. ৮ বছর বয়সের ইমন তার ৪ বছরের ছোট ভাই ইলহামের সাথে খেলতে পছন্দ করে। স্কুলে সে তার বন্ধুদের সাথে মিশতে পারে না। অপরদিকে ইলহাম তার থেকে বয়সে বড়দের সাথে সহজে মেলামেশা ও খেলাধুলা করতে পারে। ইমন ও ইলহামের বাবা-মা তাদেরকে মনোবিজ্ঞানীর নিকট নিয়ে গেলে তিনি অভীক্ষা প্রয়োগ করে দেখতে পান। ইমন ৬ বছর বয়সের অধিক বয়সের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। ইলহাম ৫ বছর বয়সের সবকটি ও ৬ বছর বয়সেরও দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে -পারে। মনোবিজ্ঞানী ইমনকে স্বল্প বুদ্ধি ও ইলহামকে প্রতিভাবান বলে রিপোর্ট প্রদান করেন।
4. মারুফ সহজ-সরল জীবনযাপন করে। সে সৃষ্টি জগতের রহস্য খুঁজে বেড়ায় এবং স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নিয়োজিত থাকে। নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকর কখনো কিছু করা থেকে বিরত থাকে। সমাজের লোকজন তাকে ভালো মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করে। মারুফের বন্ধু রহিম অত্যন্ত হিসাবি লোক। প্রতিটি কাজের মধ্যে সে লাভ-ক্ষতি হিসাব করে। নিজের প্রয়োজনের বাইরে কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করে না। সমাজের লোকজন তাকে একজন স্বার্থপর ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।
5. যৌতুক প্রথা আমাদের সমাজের একটি অতি পরিচিত সামাজিক সমস্যা। দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এর জন্য জনসাধারণের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবকে দায়ী করেন। তবে নারী নেত্রী সোনিয়া যৌতুক প্রথার জন্য সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।