1. পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ আফ্রিকা ছিল প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। বিদেশী রাষ্ট্র, বিশেষ করে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো আফ্রিকাতে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। প্রথমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আসলেও পরে এক পর্যায়ে তারা আফ্রিকার শাসন ক্ষমতা দখল করে নেয়।
2. রাজীব তার দাদুর কাছে প্রতিবেশী দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা শুনছিল। দাদু বলেন, ঐ দেশের নিরীহ জনগণের উপর সামরিক জান্তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে দেশটি থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণভয়ে আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নেয়। আমাদের সরকার এসব আশ্রয়প্রার্থী মানুষকে আন্তরিকভাবে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দিয়ে সহায়তা করে।
3. জনাব 'ক' ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন, একসময় বাংলাতে এক অদ্ভূত শাসনব্যবস্থা চালু করেছিল ইংরেজরা। বাংলার নবাব এবং ইংরেজদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে নবাব পেয়েছিল ক্ষমতাহীন দায়িত্ব আর ইংরেজরা পেয়েছিল দায়িত্বহীন ক্ষমতা।
4. ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর মিত্রশক্তির দেশগুলো রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে জার্মানিকে পূর্ব ও পশ্চিম, দুটি অংশে বিভক্ত করে ফেলে। পূর্ব অংশের ক্ষমতায় আসে সমাজতান্ত্রিক সরকার। তবে ১৯৮৯ সালের বৈশ্বিক পুঁজিবাদের জোয়ারে সমাজতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটে এবং বিভক্ত জার্মানি একত্রিত হয় ।
5. ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন শুরু হবার পর থেকে মুসলমানদের সাথে ইংরেজদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। মুসলমানরা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দিক সহ সকল দিকে পিছিয়ে পড়তে থাকে। সেসময় একজন মনীষীর আবির্ভাব ঘটে। তিনি মুসলমানদের গোঁড়ামি ত্যাগ করে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হবার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন সভা-সমিতি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলেন।