1. জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও বন বিভাগের দিক নির্দেশনায় টাঙ্গাইলে প্রতি বছর কৃষি ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলায় স্থানীয় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। মেলায় বনজ, ফলদ ও ভেষজ বৃক্ষের চারা বিক্রির পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়। মেলায় বিভিন্ন বনায়নের মডেল প্রদর্শিত হয়। এই মেলা এলাকার কষি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
2. অভিজ্ঞ কৃষক খালিদের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে। তাঁর বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছের বাগান আছে। তিনি গাছে ফুল আসার পূর্বে ট্রেনিং করে গাছকে কাঙ্ক্ষিত আকৃতি দিয়েছেন। এখন প্রতিবছর ফল সংগ্রহের পর তিনি গাছের প্রুনিং করেন। এর ফলে তার বাগানের ফুল, ফল ধারণ ও ফলের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। তিনি এলাকার একজন সফল ফল চাষি।
3. রফিক লেখাপড়া শেষ করে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য মুরগির খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। কৃষিবিদ নাজমুল সাহেবের পরামর্শে তিনি রোড আইল্যান্ড রেড জাতের মুরগি দিয়ে খামার শুরু করেন। খামারের সঠিক ব্যবস্থাপনা করায় কয়েক বছরেই তিনি সফল খামারি হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। তার সফলতা দেখে এলাকার অন্য যুবকরাও খামার স্থাপনে উদ্বুদ্ধ হন।
4. নাসির বিটিভিতে চিংড়ি চাষের উপর একটি প্রতিবেদন দেখে চিংড়ি চাষে উদ্বুদ্ধ হন। প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ পদ্ধতি উপস্থাপন করা হয়। পরিশেষে উপস্থাপক বলেন, 'বাংলাদেশে চিংড়ি চাষের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে'।
5. আলম দুগ্ধ ব্যবসায়ী। তিনি গ্রাম থেকে দুধ কিনে শহরে সরবরাহ করেন। অতিরিক্ত গরমের কারণে মাঝে মাঝে তার দুধ নষ্ট হয়ে যায়। • ফলে তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হন। কৃষিবিদ রুহুল আমিন সাহেবের সাথে এ বিষয়ের আলোচনা করলে তিনি আলমকে পাস্তুরিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুধ সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। কৃষিবিদ রুহুল আমিন তাকে পাস্তুরিকরণ প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেন। তিনি আলমকে পাস্তুরিকরণের সুবিধা, অসুবিধা ও গুরুত্ব সম্পর্কেও বিস্তারিত বলেন।