1. ১৯৬৪ সাল থেকে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে তারা সফল হতে পারেনি। ১৯৮২ সালে তারা তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশে সদর দফতর স্থাপন করে। প্রবাস থেকেই তারা তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
2. ১৯৩৯ সালে জার্মানি ও পোলান্ডের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, যা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্ক জার্মানির পক্ষে যোগ দেয়। অপরদিকে ব্রিটেন জার্মানির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে মুসলমানরা এ যুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষে অস্ত্রধারণ করতে অসম্মত হয়। ব্রিটিশরা মুসলমানদের এই বলে আশ্বস্ত করে যে, যুদ্ধে জয়ী হলে তারা তুরস্কের কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু ব্রিটিশরা মুসলমানদের। সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে ভারতীয় মুসলিমরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
3. দাদু তার নাতিকে এমন একজন ভাষা শহিদের গল্প শোনালেন যিনি পাকিস্তান সরকারের সচিবালয়ের পিয়ন ছিলেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তারিখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলে যোগ দিয়ে তিনি পুলিশের গুলিতে আহত হন। দেড় মাস ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করে অবশেষে তিনি মারা যান। মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সম্মানিত করা হয়। তার নামে একটি গ্রাম ও একটি ফোটিবিয়াস নামকরণ করা হয়।
4. 'ক' রাষ্ট্রে বহুদিন ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বসবাস করে আসছে। এক সময় ঐ অঞ্চলে একটি বড় বিদ্রোহ সংঘটিত হলে শাসকবর্গ পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়কে দায়ী করে। ঐ সময়ে সেখানে দোষী সম্প্রদায়ের ত্রাণকর্তা হিসেবে একজন মনীষীর আবির্ভাব ঘটে। তিনি তার সম্প্রদায়কে সকল গোঁড়ামি ত্যাগ করে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শাসকের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনার পরামর্শ দেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সভা, সমিতি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ফলে তার সম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও সচেতনতা গড়ে ওঠে।
5. ইসলামপূর্ব যুগে আরবে নারীর কোনো সামাজিক মর্যাদা ছিল না। আরবরা এ সময় কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তাকে জীবন্ত কবর দিত। তারা কন্যা সন্তানকে হত্যা করে গর্বিত পিতার সম্মান অর্জন করত। ইসলামের প্রচার ও প্রসারের পর সমাজে নারীর অবস্থার উন্নয়ন ঘটে এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।