1.
মি. ইশাল ট্রেডার্সের ২০২২ সালের জুন, ৩০ তারিখে নগদান বই অনুযায়ী ব্যাংক জমার উদ্বৃত্ত ৩৫,০০০ টাকা। নগদান বই ও ব্যাংক বিবরণীর উদ্বৃত্তের গরমিলের কারণসমূহ নিম্নরূপ :
(i) ৪,০০০ টাকার একটি চেক আদায়ের জন্য ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে কিন্তু নগদান বইতে হিসাবভুক্ত হয়নি।
(ii) ২,৭০০ টাকার প্রাপ্য বিল ২৫ জুন তারিখে ২,৫০০ টাকায় বাট্টা করা হয় কিন্তু নগদান বইতে ভুলক্রমে সম্পূর্ণ টাকা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
(ii) দেনাদারের নিকট থেকে প্রাপ্ত ৮,০০০ টাকার একটি চেক ও ১০,০০০ টাকার একটি বিল আদায়ের জন্য ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে কিন্তু নগদান বইতে হিসাবভুক্ত করা হয়নি
(iv) ব্যাংক কর্তৃক মঞ্জুরিকৃত সুদ ৫০০ টাকা এবং ধার্যকৃত চার্জ ৩০০ টাকা এখনও নগদান বইতে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই ।
(v) ব্যাংক বিনিয়োগের সুদ আদায় করেছে ১,০০০ টাকা যা নগদান বইতে হিসাবভুক্ত হয়নি।
2.
আলিফ লিমিটেড ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ১,৯০,০০০ টাকা দিয়ে একটি আসবাবপত্র ক্রয় করেন। উক্ত আসবাবপত্রের পরিবহন ও ফিটিং খরচ ২০,০০০ টাকা। ২০২১ সালের জানুয়ারি ১ তারিখে প্রতিষ্ঠানের জন্য ১,৫০,০০০ টাকা দিয়ে আরও একটি আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়। প্রতি বছর ডিসেম্বর ৩১ তারিখে হিসাবকাল শেষ হয়। অবচয়ের হার ১০%। প্রতিষ্ঠানটি সরলরৈখিক পদ্ধতিতে অবচয় ধার্য করে থাকে ।
3.
২০২২ সালের ডিসেম্বর ৩১ তারিখে মি. যারিফের ব্যবসায়ের রেওয়ামিল নিম্নরূপ :
মি. যারিফ
রেওয়ামিল
ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
অন্যান্য তথ্যাবলি : (১) দেনাদারের নিকট থেকে ২,০০০ টাকা পেয়ে তার হিসাবকে ভুলক্রমে ডেবিট করা হয়েছে; (২) ক্রয় হিসাবের যোগফল ১,০০০ টাকা কম লিপিবদ্ধ হয়েছে।
4.
নাছিমা অ্যান্ড কোং জানুয়ারি ১, ২০২১ তারিখে ব্যবসায় আরম্ভ করেন। ডিসেম্বর ৩১ তারিখে খতিয়ান হিসাবের উদ্বৃত্ত ছিল নিম্নরূপ :
সমন্বয়সমূহ : (১) প্রতি মাসে বিমা খরচের পরিমাণ ছিল ১,০০০ টাকা; (২) অব্যবহৃত অফিস সাপ্লাইজ ৪,০০০ টাকা ।
5.
ঢাকা লিমিটেড ২০১৯ সালের জুলাই ১ তারিখে ১০,০০,০০০ টাকা মূল্যের একটি যন্ত্রপাতি আমদানি করে। এটির আমদানি শুল্ক বহন খরচ ও সংস্থাপন ব্যয় রাবদ যথাক্রমে ১,০০,০০০ টাকা, ৮০,০০০ টাকা ও ১,২০,০০০ টাকা। যন্ত্রপাতিটির আনুমানিক আয়ুষ্কাল ১০ বছর এবং ভগ্নাবশেষ মূল্য ১,০০,০০০ টাকা। প্রতি বছর ডিসেম্বর ৩১ তারিখে হিসাবকাল শেষ হয়। প্রতিষ্ঠানটি ক্রমহ্রাসমান জের পদ্ধতিতে বার্ষিক ২০% হারে অবচয় ধার্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।