1.
জনাব লিটন খুচরা কয়লা বিক্রি করেন। তার গুদামে অনেক কয়লা মজুদ আছে। এখন তিনি এ ব্যবসায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তিনি দ্রুত কয়লা বিক্রয় করতে চান।
2.
জনাব শহীদ একটি ফাস্টফুড দোকানের মালিক। তার লক্ষ্য হচ্ছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের খাবারের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে তিনি একটি অনলাইন পেজ খুলেন। এ পেজে তিনি বিভিন্ন খাবারের আকর্ষণীয় ছবি আপলোড করেন এবং বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতাদের মতামত আহবান করেন।
3.
জনাব মারুফ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আনারসের ওপর ভিত্তি করে খাগড়াছড়ির রামগড়ে আনারস জুস তৈরির একটি অত্যাধুনিক কারখানা স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত জুস ১০০ এমএল, ২০০এমএল, ৫০০এমএল ও ১০০০এমএল এর বোতলের সরবরাহ করে যার শিশু, যুবক এবং বৃদ্ধ সবার কাছে খুবই জনপ্রিয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ী সাফল্য আশাতীত। সম্প্রীতি এটি বিভিন্ন কালার ও ফ্লেভার জুস নিয়ে বাজারে আসে এবং তা বাজারে বেশ সারা জাগিয়েছে।
4.
নিশাত কসমেটিক্স নতুন একটি রং ফর্সাকারী ক্রিম বাজারে নিয়ে আসে। পন্যের ব্যাপক প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন চ্যানেলে নৈব্যক্তিক উপস্থাপনার পাশাপাশি বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্ভাব্যকে তাদের নিকট পণ্যের গুণাগুণ তুলে ধরেন। এতদসত্বেও বিক্রি সন্তোষজনক না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ নগদ ১০% ছাড়, একটি ফ্রি ও ১০০০ টাকার পণ্য কিনলে একটি আকর্ষণীয় মগ ফ্রি প্রদান করেন। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিক্রি আশাতীত বেড়ে যান।
5.
জনাব মাসুদ বন্টন প্রণালীতে অবস্থান করেন। মধ্যস্থ ব্যবসায়ী হিসেবে প্রথমত তিনি এমন একটি কাজ সম্পাদন করেন, যার মাধ্যমে পণ্যের মালিকানা স্বত্ব তার নিকট হতে ক্রেতার নিকট হস্তান্তরিত হয়। আবার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তিনি উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করেন এবং মৌসুম শেষে তার ক্রেতাদের মাঝে সরবরাহ করেন। এর ফলে একদিকে যেমন উৎপাদকরা নায্য মূল্য পায় অন্যদিকে তেমনি সারা বছর ধরে ভোক্তারাও উক্ত পণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ পেয়ে থাকে।