1. কীর্তিপাশার জমিদার মহিম রায় চৌধুরী খুবই বুচিবান ও শৌখিন মানুষ ছিলেন। তিনি জমিদারি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি জাঁকজমকপূর্ণ দরবারহুল নির্মাণ করেছিলেন। পাশাপাশি তার নির্মিত কাচারি বাড়ি নায়েব মহল আজও স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। একই সময়ে নির্মিত নাট মন্দিরটি এখনও ধর্মীয় কাজে ব্যবহূত হয়। তাঁর স্ত্র কমলাদেবী অনিন্দ্য সুন্দরী ও বিদুষী রমনী ছিলেন। জমিদার মহিম রায় চৌধুরীর স্ত্রীর প্রতি ছিল অপরিসীম ভালোবাসা। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় পড়ে কমলাদেবী অকালে মৃত্যুবরণ করলে জমিদার খুবই মুষড়ে পড়েছিলেন। তিনি স্ত্রীর স্মৃতি রক্ষার্থে বহু অর্থ ব্যয়ে যে সৌধটি নির্মাণ করেন, আজও তা বিদ্যমান রয়েছে।
2. উসমানের পূর্ব পুরুষরা গোবি মরুভূমির একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের খাসক ছিলেন। যেখানে শত্রুপক্ষের শক্তির কারণে সুবিধা করতে না পেরে তারা এশিয়া মাইনরে চলে আসেন। এশিয়া মাইনরে বহুদিন ধরে সেলজুকরা শাসন করলেও উত্তরাঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বেশ কিছু স্বাধীন ও শক্তিশালী গ্রিক রাজ্য বিদ্যমান ছিল। উসমান শেষ সেলজুক সুলতান আলাউদ্দিনের পতন ঘটিয়ে সেখানে উসমানীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শক্তিশালী গ্রিক রাজাদেরও পরাজিত করে যে বিশাল উসমানীয় সাম্রাজ্য গঠন করেন তা কয়েক শতাব্দী স্থায়ী হয়েছিল।