1. United Nations General Assembly ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার সনদ ঘোষণা করে। এ সনদে উল্লেখিত ধারাসমূহে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের সহজাত মর্যাদা, সমান অধিকার ও সমতা রক্ষার। কথা বলা হয়। এছাড়া এ সনদে বিশেষভাবে বিশ্বের সকল মানুষের। মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এবং সকল বর্ণ ও ধর্মের মানুষের সমমর্যাদার কথা বলা হয়েছে, যা বিশ্বমানবের সকলকে একই সূত্রে গ্রথিত করে। এভবে এ সনদ বিশ্বমানবতার মুক্তির ম্যাগনাকার্টা হিসেবে বিশ্ববিবেককে। সচেতন করে তোলে।
2. দিল্লির সুলতান নাসির উদ্দীন অত্যন্ত ধার্মিক ও প্রজারঞ্জক শাসক ছিলেন। তিনি জনগণের দুঃখ লাঘব করার জন্য রাতে ছদ্মবেশে পথে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে প্রজাদের অবস্থা দেখতেন। সুলতান নিজেই আটার বস্তা মাথায় নিয়ে প্রজাদের কাছে পৌছিয়ে দিতেন। আবার কখনও তার স্ত্রী হতদরিদ্র গরিব প্রসূতি মায়েদের সেবায় ধাত্রী হিসেবে সহযোগিতা করতেন। তাদের ঘরে কোনো কর্মচারী ছিল না। নিজেই' রাঁধুনির কাজ সেরে নিতেন। তদুপরি সুলতান সরকারের কোষাগারের অর্থ গ্রহণ না করে টুপি সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
3. আধুনিক সিঙ্গাপুর রাষ্ট্র এক সময় মালয়েশিয়ার সাথে সংযুক্ত ছিল। পরবর্তীতে তারা মালয়েশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এ সকল চুরি- ডাকাতিসহ অন্যান্য কাজের অপবাদ থেকে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য কয়েকজন যুবক ঐক্যবদ্ধ একটি সমিতি গঠন করেন এবং উক্ত সমিতি। কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী অপরাধীদের কঠোর শাস্তির। ব্যবস্থা করে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে সিঙ্গাপুর একটি শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র ও সভ্য জাতিতে পরিণত হয়।
4. ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন ও জর্ডানের। প্রধানমন্ত্রী আবদেল সালাম আল মাজলির মধ্যে ১৯৯৪ সালে ২৬ অক্টোবর। এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিতে উভয় দেশ পরবর্তীতে কোনো সংঘর্ষে। লিপ্ত হবে না- এ শর্তে একমত হয়। আর এ চুক্তি দ্বারা উভয় দেশের জনসাধারণের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং এক দেশ থেকে অন্য দেশের ওপর কোনো আঘাত আসবে না বা এক দেশ দ্বারা অন্য দেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে একমত হয়। তাছাড়া এ চুক্তি দ্বারা এক দেশ। অন্য দেশকে আক্রমণের ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে বলে ঐকমত্য পোষণ করে। তবে আল জাজিরা নিউজ চ্যানেলের এক নিউজ বিশ্লেষণে। বলা হয় যে, এ চুক্তি ছিল জর্ডানের পরোক্ষ বিজয়।
5. ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে জানা যায় যে, এক সময় ভারতে মেয়েদের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। সতীদাহ তথা স্বামীর সাথে সহমরণসহ ঘৃণ্য কিছু প্রথা বিদ্যমান ছিল। বিধবা বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির মালিকানা থেকেও তারা বঞ্চিত ছিল। বলতে গেলে নারীদের সামাজিক কোনো মর্যাদাই ছিল না। কন্যা সন্তানের প্রতি তাদের অনাগ্রহ এবং ঘৃণা ছিল। এমনকি বর্তমান যুগেও ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে দেখা যায় যে, কন্যা সন্তানের ভূণ হত্যা করা হয়।