জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সার্কুলার ২০২৪

Author
29/01/2024Syed Taisur Rahman Fayaz

কি অবস্থা চর্চার বাচ্চাকাচ্চারা! নিয়মিত চর্চা করছো তো? আজকে আরো একটা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করি চলোঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তচর্চা, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক নানা বৈচিত্র্যময় কর্মকাণ্ডের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক ও জীব বৈচিত্র্যের স্বর্গভূমি জাহাঙ্গীরনগর দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণা ও নানা একাডেমিক ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নৃত্য, অভিনয়, নাটক ও লোকজ সংস্কৃতি চর্চায় জাহাঙ্গীরনগর অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক বিদ্যাপীঠ। ঢাকার অদূরে সাভারে প্রায় ৬৯৭.৫৬ একর এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস

১৯৭০ সালে, পাকিস্তান আমাদের ওপর শাসন চালাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে 'জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭০' প্রণোদনা আরোপ করা হয়। এর আওতায় ৬৯৭.৫ একর জমি নিয়ে 'জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়' স্থাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। এই স্থানটি দূরে সাভারে অবস্থিত এবং প্রকৃতির কোলে ঘেঁষে থাকা একটি অপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্থান। সুরত আলী খান ছিলেন এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক।

১৯৭০ সালের ২০শে আগস্টে এই বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। তার চার দিন পর, ২৪শে আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন আহমেদ নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাত কবি সৈয়দ আলী আহসান, লোকসাহিত্যবিদ মজহারুল ইসলাম, লেখক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, আ ফ ম কামালউদ্দিন, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ আব্দুল বায়েস, আলাউদ্দিন আহমেদ, খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ ।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো শিক্ষকতা করেছেন অধ্যাপক সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়, লেখক হায়াত্‍ মামুদ, লেখক হুমায়ুন আজাদ, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কবি মোহাম্মদ রফিক (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত), অধ্যাপক মুস্তাফা নূরুল ইসলাম, আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ইতিহাসবিদ বজলুর রহমান খান, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনু মুহাম্মদ প্রমুখ।১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাস অনুষ্ঠিত হলেও, আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন হয় ১২-ই জানুয়ারি। এরপর থেকে প্রতি বছর ১২-ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে, ১৯৭৩ সালে 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩' পাস হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি লোপ পায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়' নামে পরিচালিত হতে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অর্থনীতি, ভূগোল, পরিসংখ্যান, গণিত- এই চারটি বিভাগে মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ২১ জন শিক্ষক নিয়ে স্নাতক শ্রেণির কার্যক্রম শুরু হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি

এটি একটি সম্পূর্ণ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে অভ্যস্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৩৬ টি বিভাগ এবং চারটি ইনস্টিটিউট সহ ছয়টি অনুষদ রয়েছে, যেখানে পনের হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী যোগ হয়েছে এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষাবিদ পাঠদান ও গবেষণায় ব্যাস্ত। বিস্তীর্ণ সৌন্দর্যের অধিকারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি মূল ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, মহাসড়কের সাথে যুক্ত। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক সমাবেশ ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তার সনদ গ্রহণ করে যার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকার সংলগ্ন সাভারে অবস্থিত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি আবাসিক। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ জানুয়ারী ১৯৭১ তারিখে এর প্রধান বিচারক রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর দ্বারা চালু করা হয়েছিল। বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পর সরকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুমোদন করে। ১৯৭৩ সালে, যা পূর্ববর্তী অনুমোদন বাতিল করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে রাখে।


সম্পর্কে: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)

নাম:
ধরন:
প্রতিষ্ঠা:
যে আইন দ্বারা পরিচালিত:
শিক্ষাবর্ষ:
ডাক ঠিকানা:
ভূমি এলাকা :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

২০শে আগস্ট, ১৯৭০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩

১লা জুলাই থেকে ৩০শে জুন

সাভার, ঢাকা, বাংলাদেশ,১৩৪২

৬৯৭.৫৬ একর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এই পৃথিবীর এক অদ্ভুত স্থান, যেটা যেন এক সবুজ স্বর্গ। নামের যথার্থতা বুঝতে হলে অবশ্যই সেখানে পা রাখতে হবে, তখনই মনে হয় সেই সৃষ্টির আদর্শ রূপ দেখা যাবে।

চারদিকে বিভিন্ন ধরনের সবুজ, এর ফাঁকে ফাঁকে আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে লাল রঙের সব বিল্ডিং। লেকের পানিতে সেই বিল্ডিং-এর প্রতিচ্ছবি, পানির মধ্যে অল্প ঢেউয়ের কারণে সে প্রতিচ্ছবি নিয়ত কম্পমান। যেখানে আকাশ ও পানির মিলনবিদ্যুতে সৃষ্টি হয় একটি অপরূপ পরিবেশ, সেখানেই সে অল্প ঢেউ, পাখিদের বিশ্রামক্ষেত্র হয়ে উঠে। এটাই হলো আমাদের সমৃদ্ধির ও আত্ম-অনুভূতির স্থান, জাহাঙ্গীরনগর।

লন্ডন ব্রিজের লেকে, শীতের বিকেলে অতিথি পাখিদের ওড়াউড়ির ল্যান্ডস্কেপ অনুভব করা হোক, অথবা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের পাশের শান্তিনিকেতনের নিশ্চুপ পরিবেশ, মাঝে মাঝে ঘন হয়ে থাকা গাছের পাতার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সরসর বাতাসের শব্দে মনে হবে একটি অপূর্ব অভিজাত্য রঙিন প্রকৃতির অদ্ভুত রহস্যগুলি। এই সকল কিছু দেখতে হলে, আসতে হবে জাহাঙ্গীরনগরে।

সবুজ স্বর্গের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নিজ রূপে তোমাকে মুগ্ধ করবে, ঠিক তেমন ই সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিজেকে একটি সাংস্কৃতিক রূপে প্রদর্শন করে। এখানে বাংলায় বারো মাসে হয় তেরো পার্বণ, আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো, মনে হয় চব্বিশ পার্বণ! এখানে প্রতিমাসেই কোনো না কোনো উৎসব ক্যাম্পাসে চলছে, কোনো বিভাগের বর্ষপূর্তি, কিংবা কোনো একাডেমিক কনফারেন্সে হতে পারে। উৎসবে তো মুক্তমঞ্চের নাটক, কনসার্ট, খেলাধুলা, মেলা, অডিটেরিয়ামে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং অনেক ধরনের আনন্দমুক্ত আয়োজন থাকবেই।

তবে, ক্যাম্পাসের সবচেয়ে আনন্দমুক্ত দিনগুলোর মধ্যে আছে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আর হিম উৎসব। এই দিনগুলি সপ্তাহব্যাপী হিম উৎসবে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবদি নাচ, গান, নাটক এবং অনেক ধরনের সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে তোমাকে জীবনের রঙ চেনাবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তুমি না কেবল একটি শিক্ষার প্রতি নজর রাখবে, বরং একটি জীবনের সফর অনুভব করতে পারবে।

নানান ভাস্কর্য

সংশপ্তক

বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য সংশপ্তক । এই ভাস্কর্যে এক পা ও এক হাত হারিয়েও এক সংশপ্তক মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ের হাতিয়ার উর্ধে তুলে ধরেছেন । এর স্থপতি হামিদুজ্জামান খান।

অমর একুশ

সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে এবং ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সাথেই রয়েছে ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ভাস্কর্য। মা-বাবা তার গুলিবিদ্ধ সন্তানকে ধরে রেখেছে অমর একুশ । এর স্থপতি শিল্পী জাহানারা পারভীন ।

সরণিসমূহ

কবির সরণি

সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান কবিরের স্মরণে কবির সরণির নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সড়ক থেকে আ.ফ.ম কামালউদ্দিন হল পর্যন্ত এ সরণি বিস্তৃত ।

মুন্নী সরণি

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মুন্নীর স্মরণে আল বেরুনী হলের সামনে রয়েছে মুন্নী সরণি।

জুবায়ের সরণি

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অসন্তোষ-কে কেন্দ্র করে ২০১২ সালে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান । বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সড়ক থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পর্যন্ত এ সরণি বিস্তৃত ।

স্বপ্না সরণি

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপ্নার স্মরণে মিহির চত্ত্বর থেকে নওয়াব ফয়েজুন্নেসা হল পর্যন্ত বিস্তৃত এ সরণি ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শিক্ষা খাতে ব্যাপক ভাবে কাজ করছে। এ জন্য তাদের মেধাবী শিক্ষার্থী প্রয়োজন। তারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের খুজতে প্রতি বছর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। এবং জাবি বিভাগের কর্তৃপক্ষ ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে। করোনা মহামারীর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। এছাড়া বর্তমানে ক্যাম্পাসে একাডেমিক নানা কনফারেন্স, দেশ বিদেশের নানা স্কলারের সাথে কাজ করার, তাদের অভিজ্ঞতা জানার ও শোনার সুযোগ আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে শিক্ষার্থীদের গবেষণা ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলার দিকেও বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থীই বর্তমানে দেশে বিদেশে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিভার সাক্ষর রাখছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলসমূহ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট হল সংখ্যা ২২টি, এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ১১টি এবং ছাত্রীদের জন্য ১১টি হল রয়েছে।

আল বেরুনী হল

আসন ৬০০+, স্থাপিত ১৯৭০। ১ঌ৬৮-৬ঌ সালে ১২৮ কক্ষ বিশিষ্ট ৪(চার) তলার এই ছাত্রাবাসটি নির্মিত হয়৷ ১ঌ৭ঌ সালে খ্যাতনামা জ্ঞানসাধক `আল-বেরুনী'র নামানুসারে এই হলের নামকরণ করা হয়৷এই হল এ একটি মূল ভবনের পাশাপাশি একটি সম্প্রসারিত ভবন ও রয়েছে।বর্তমানে এর সম্প্রসারিত ভবন টি ছাত্রাবাসের পরিবর্তে চারুকলা বিভাগের সম্প্রসারিত ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে মহিলাদের জন্য আলাদা কোন হল না থাকায় আল বেরুনী হলের সংগে সংযুক্ত করে ১ঌ৭১-৭২ শিক্ষাবর্ষে মোট (তেইশ) জন ছাত্রীর নামে হলে সিট বরাদ্দ করা হয়; ১ঌ৭৮ সনে ছাত্রীদের জন্য ১টি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হল (নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল) নির্মিত হলে আল বেরুনী হলের ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করা হয়৷

মীর মশাররফ হোসেন হল

"মীর মশাররফ হোসেন হল" ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নির্মিত হয়েছে ১৯৭৩ সালে। ১ঌ৭৮ সালের ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে বিশিষ্ট কথাশিল্পী মীর মশাররফ হোসেনের নাম অনুসারে ১৯৭৮ সালে এই প্রজাপতি হলের নাম নির্ধারণ করা হয় “মীর মশাররফ হোসেন হল”৷ হলটির ছাত্র ধারণ ক্ষমতা ৯০০+

আয়তনে ও ধারণক্ষমতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় হল এটি।

প্রজাপতির প্রতিকৃতিতে নকশাকৃত এই হলটির স্থপতি ছিলেন, মাজহারুল ইসলাম।

প্রভোস্টঃ অধ্যাপক ড. সাব্বির আলম (২০১৯-বর্তমান)

শহীদ সালাম-বরকত হল

আসন ৫০০, স্থাপিত ১৯৮৭। ১ঌ৮৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বৃহত্তম এই হলের যাত্রা শুরু হয় ও ১ঌ৮৫ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১০৬তম সভায় নাম রাখা হয় শহীদ সালাম-বরকত হল৷

আ. ফ. ম. কামালউদ্দিন হল

আসন ৫০০, স্থাপিত ১৯৮৬। ১ঌ৮৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি এ হলেরই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তত্‌কালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম কামালউদ্দিন; কাজ শেষ হয় ১ঌ৮ঌ সালের ৩১ ডিসেম্বর, কিন্তু হলের নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই কর্মরত অবস্থায় উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম কামালউদ্দিন মৃতু্বরণ করেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচিত উপাচার্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ঌ৮৮ সালের ১০ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় তার নামে এই হলের নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল

১৯ আগস্ট ২০১৭ সাল হতে হলটি ছাত্রদের বসবাসের জন‍্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। বর্তমানে প্রায় ৭০০ ছাত্র হলটিতে বসবাস করতে পারে। হলটির বর্তমান প্রাধ্যক্ষ‍ হচ্ছেন অধ্যাপক নাজমুল হোসেন তালুকদার। হলের পাশে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ছায়াময় শান্তিনিকেতন। অপরুপ সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টিনন্দন জায়গাটি হলের পাশে অবস্থিত।

মওলানা ভাসানী হল

আসন ৭৬৮, স্থাপিত ১৯৯২।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল

আসন ৭৮৪, স্থাপিত ২০০১। এই হলের অবস্থান কম্পিউটার বিজ্ঞান ভবনের পাশেই।

শহীদ রফিক-জব্বার হল

আসন-৭০০+; স্থাপিত ২০১০

শেখ রাসেল হল

বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ রাসেলের নামে হলটির নামকরন করা হয়েছে। লিফটসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পুর্ন ১০ তালা বিশিষ্ট হলটিতে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা ১০০০+

তাজউদ্দিন আহমেদ হল

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এর নামে এ হলের নামকরন করা হয়। লিফটসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পুর্ন ১০ তলা বিশিষ্ট হলটির আসন সংখ্যা ১০০০+

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল

জাতীয় কবির নামে এ হলের নামকরন করা হয়। ১০ তালাবিশিষ্ট হলটির আসন সংখ্যা ১০০০+।

ফজিলাতুন্নেসা হল

১ঌ৮৬ সালের অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি মহিলা হল নং-২ রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ও ১ঌ৮৭ সালের জানুয়ারিতে প্রথম এই হলে ছাত্রীদের সিট বরাদ্দ করা হয়৷ ১ঌঌ০ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১৪৫ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফজিলাতুন্নেসা হল নামে নামকরণ করা হয়৷ ফজিলাতুন্নেসা বেগম প্রথম বাঙ্গালী স্নাতকধারী নারী ছিলেন । হলটির আসন সংখ্যা ৬০০

নওয়াব ফয়জুননেসা হল

আসন ৪০০+, স্থাপিত ১৯৭৮। ১ঌ৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি স্বতন্ত্র হল ও ১৪ এপিল সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে এই ছাত্রী হলটির নামকরণ করা হয় নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল৷ হলটি এক নম্বর হল বলেও পরিচিত।

প্রীতিলতা হল

আসন ৮০০+, স্থাপিত ১৯৯৪। স্থাপতি ফয়সাল মাহবুব এর নকশাকার। ১ঌঌ৭ সালের ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার এটি “প্রীতিলতা হল” নামে নামকরণ করা হয়৷ দুদিকে লেক বেষ্টিত এ হলে ৫০৪ জন ছাত্রীর আসন রয়েছে৷

জাহানারা ইমাম হল

আসন ৭০০+, ১ঌঌ৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়৷

বেগম খালেদা জিয়া হল

বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামানুসারে এই হলের নামকরণ করা হয়। আসন ৬০০+, স্থাপিত ২০০৫ প্রভোস্টঃ অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার।

প্রভোস্টঃ বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্যবিদ এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ।

শেখ হাসিনা হল

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ৬ষ্ঠ হল হিসেবে শেখ হাসিনা হল ২০১৪ সালের ১২ জুন থেকে যাত্রা শুরু করে।

প্রভোস্টঃ অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ

মোট আসন- ৭০০

বেগম সুফিয়া কামাল হল

বাংলা সাহিত্যে কবি বেগম সুফিয়া কামালের অবদানকে স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ৭ম হল হিসেবে ২০১৫ বেগম সুফিয়া কামাল হল যাত্রা শুরু করে। আসন সংখ্যা ৭৭০।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা হল

বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব -এর নামে মেয়েদের ৮ম হল হিসেবে ২০১৭ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা হল যাত্রা শুরু করে।আসন সংখ্যা ৮৫০।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠনঃ

রাজনৈতিক

বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলো হল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ

সাংস্কৃতিক

উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, ধ্বনি, চলচ্চিত্র আন্দোলন, জলসিঁড়ি, জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, আনন্দন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি কুইজ সোসাইটি, উত্থানপাঠ, প্রপদ, জাহাঙ্গীরনগর স্টুডেন্টস ফিল্ম সোসাইটি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র , কহনকথা, অস্তিত্ব প্রভৃতি।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও লেখক-শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মীদের সমন্বিত সামাজিক-রাজনৈতিক জোট বা সংগঠন। জোট ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে। পরে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় আন্দোলনে সংগঠনগুলো একইভাবে অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এক ছাত্রসভায় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ছাত্র-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে। এই সকল আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় একটি স্থায়ী কাঠামোর প্রয়োজন অনুভূত হয়। এভাবেই আটানব্বই সালে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের ময়দানে যাত্রা করে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। বর্তমানে এই জোটে ১২টি সংগঠন রয়েছে: জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, ধ্বনি, চলচ্চিত্র আন্দোলন, জলসিঁড়ি, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন, আনন্দন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি।

বিজ্ঞান/প্রযুক্তি বিষয়ক সংঘ

বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ

বাংলাদেশও ওপেন সায়েন্স অর্গানাইজেশন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান ক্লাব

ই-বাণিজ্য ও উদ্যোক্তা সংগঠন

বিবিধ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সেবামূলক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন জেলার ছাত্র কল্যাণ সমিতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কেটিং ক্লাব, ফিজিক্যালি-চ্যালেঞ্জড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) জাবি, জাহাঙ্গীরনগর হায়ার স্টাডি ক্লাব, ক্যারিয়ার ক্লাব, পাবলিক হেলথ ফোরাম, জাহাঙ্গীরনগর এডভেঞ্চার ক্লাব, লিও ক্লাব অব লিবার্টি, রোট্যারাক্ট ক্লাব অব জাহাঙ্গীরনগর, বাঁধন, জাহাঙ্গীরনগর প্রোগ্রামারস ক্লাব, এক্সপ্লোরার্স, লিও ক্লাব, পিডিএফ, কাশফুল, বন্ধুসভা, স্বজন সমাবেশ, যাযাদি ফ্রেন্ডস ফোরাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বি.এন.সি.সি. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কন্টিনজেন্ট, ইয়্যুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ, লিও ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল সমিতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট পরিচিতি:

এই বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এর পরীক্ষা ‘এ’ ইউনিটে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদের পরীক্ষা ‘বি’ ইউনিটে, কলা ও মানবিকী অনুষদ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, চারুকলা বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু ও তুলনামূলক সাহিত্য সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা ‘সি’ ইউনিটে, জীববিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা ‘ডি’ ইউনিটে এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরীক্ষা ‘ই’ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এই ইউনিটগুলি প্রতিটি ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধানকারী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম প্রদান করে

এই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি বিভাগ এবং তিনটি ইনস্টিটিউটের মিলে মোট আসন সংখ্যা হবে ১ হাজার ৮৮৯টি। এ আসনের মধ্যে ছাত্র ৯৫০ এবং ছাত্রীদের জন্য আসন রয়েছে ৯৩৯টি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ ইউনিট

এই ইউনিটের আরেক নাম গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ। এই ইউনিটে আবেদন ফি ৯০০ টাকা

‘এ’ ইউনিট মোট আসন সংখ্যা ৪৬৬ টি।

৪৬৬ টি আসনের মধ্যে ছেলেদের জন্য ২৩৮টি ও মেয়েদের জন্য ২২৮টি আসন রয়েছে।

‘এ’ ইউনিটের বিভাগভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো-

রসায়ন বিভাগে ৭০টি (ছেলে- ৩৫, মেয়ে-৩৫), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), গণিত বিভাগে ৭৫টি (ছেলে-৪০, মেয়ে-৩৫), পরিসংখ্যান বিভাগে ৬৫টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩০), ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে- ২৫, মেয়ে-২৫) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে ৫৬ টি (ছেলে- ২, মেয়ে- ২৮) আসন রয়েছে।

বিষয় 

SSC GPA  +  HSC GPA               

HSC-তে যে বিষয়গুলো থাকতেই হবে

আসন সংখ্যা (ছেলে+মেয়ে)

ভর্তি পরীক্ষায় যতটুকু নাম্বার পেতেই হবে 

গণিত 

৮.৫০ 

গণিতে কমপক্ষে  A- গ্রেড 

৩৩ + ৩৩ 

গণিত অংশে কমপক্ষে ৫০% 

পরিসংখ্যান 

৮.৫০ 

গণিত অথবা পরিসংখ্যানে কমপক্ষে  A গ্রেড 

৩৩ + ৩৩ 

রসায়ন 

৮.৫০ 

রসায়নে কমপক্ষে  A এবং গণিতে কমপক্ষে  A- গ্রেড

৩৫ + ৩৫ 

রসায়ন অংশে কমপক্ষে ৬০% 

পদার্থবিজ্ঞান 

৮.৫০ 

পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে  A গ্রেড 

৩২ + ৩২ 

ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান 

৮.৫০ 

পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে  A- গ্রেড

২০ + ২০ 

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং 

৯.০০ 

পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে  A+ গ্রেড 

২৫ + ২৫ 

গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে আলদাভাবে ৬০% 

পরিবেশ বিজ্ঞান 

৮.৫০ 

পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও জীববিজ্ঞানে আলাদাভাবে কমপক্ষে  A- গ্রেড

২০ + ২০ 

ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি

৯.০০  

পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে  A গ্রেড

২৫ + ২৫ 

গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে আলদাভাবে ৬০%

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বি ইউনিট

এই ইউনিটের আরেক নাম সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদ। এই ইউনিটে আবেদন ফি ৯০০ টাকা

এই অনুষদে বর্তমানে আসন সংখ্যা ৩৮৬ টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ১৯৩টি ও মেয়েদের জন্য ১৯৩টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

এই ইউনিটে বিভাগভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো-

সরকার ও রাজনীতি বিভাগে ৬৬টি (ছেলে-৩৩, মেয়ে-৩৩), নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০), নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) অর্থনীতি বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০), লোক প্রশাসন বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫) এবং আইন বিভাগে ৬০টি (ছেলে-৩০, মেয়ে-৩০) আসন রয়েছে।

 

বিষয় 

SSC GPA + HSC GPA

HSC-তে যে বিষয়গুলো থাকতেই হবে

আসন সংখ্যা (ছেলে+মেয়ে)

ভর্তি পরীক্ষায় যতটুকু নাম্বার পেতেই হবে

অর্থনীতি  

৮.০০  

ইংরেজিতে কমপক্ষে  A- এবং গণিত/ অর্থনীতি/ বাণিজ্যিক অর্থনীতিতে কমপক্ষে  A গ্রেড 

৩৫ + ৩৫ 

ভূগোল ও পরিবেশ  

৮.০০  

বাংলা/ ইংরেজিতে কমপক্ষে  A- গ্রেড 

৩০ + ৩০ 

সরকার ও রাজনীতি

৮.০০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড

৩৩ + ৩৩   

নৃবিজ্ঞান 

৮.০০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A গ্রেড 

২০ + ২০  

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা  

৮.০০  

গণিত ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A গ্রেড 

২০ + ২০ 

লোক প্রশাসন 

৮.০০  

ইংরেজিতে কমপক্ষে  A গ্রেড  

২৫ + ২৫ 

– 

আইন ও বিচার  

(ক) বিজ্ঞান শাখা- ৮.৫০ 

(খ) ব্যবসায় শিক্ষা শাখা/ মানবিক শাখা ৮.০০ 

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A গ্রেড, তবে A লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা অথবা ইংরেজিতে কমপক্ষে  B গ্রেড 

৩০ + ৩০ 

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে ৬০% 


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ‘সি’ ইউনিট

এই ইউনিটের আরেক নাম কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট। এই ইউনিটে আবেদন ফি ৯০০ টাকা

এই অনুষদে আসন সংখ্যা ৪৬৭টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ২৩৪টি এবং মেয়েদের জন্য ১৩৩টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

এই ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো--

ইংরেজি বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে- ৩৫), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), জার্নালিজম

অ্যান্ড  মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ৩৬টি (ছেলে-১৮, মেয়ে- ১৮), বাংলা বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০), ‍ইতিহাস বিভাগে ৬০টি (ছেলে-৩০, মেয়ে-৩০), দর্শন বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ৩০টি (ছেলে-১৫, মেয়ে-১৫), নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ২৬টি (ছেলে-১৩, মেয়ে-১৩),  চারুকলা বিভাগে ৩৫টি (ছেলে-১৮, মেয়ে-১৭) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটে ৩০টি (ছেলে-১৫, মেয়ে-১৫) আসন রয়েছে।

বিষয় 

SSC GPA + HSC GPA

HSC-তে যে বিষয়গুলো থাকতেই হবে

আসন সংখ্যা (ছেলে+মেয়ে)

ভর্তি পরীক্ষায় যতটুকু নাম্বার পেতেই হবে

বাংলা   

৮.০০  

বাংলায় কমপক্ষে A- এবং ইংরেজিতে কমপক্ষে B গ্রেড

৩৫ + ৩৫ 

বাংলায় কমপক্ষে ৫০% ও ইংরেজিতে কমপক্ষে ৩০%

ইংরেজি   

৮.০০  

ইংরেজিতে কমপক্ষে  A  গ্রেড 

৩০ + ৩০ 

ইংরেজিতে কমপক্ষে ৫০%

ইতিহাস 

৮.০০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড

৩৩ + ৩৩   

দর্শন  

৮.০০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড

২০ + ২০  

প্রত্নতত্ত্ব   

৮.০০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড

২০ + ২০ 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক  

৮.০০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড 

২৫ + ২৫ 

– 

জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ   

৮.০০ 

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড

৩০ + ৩০ 

ইংরেজিতে কমপক্ষে ৫০% 

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট

(ক) বিজ্ঞান শাখা/ ব্যবসায় শিক্ষা শাখা- ৮.০০ 

(খ) মানবিক শাখা ৭.৫০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড

১৫ + ১৫ 

– 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সি-১ ইউনিট 

এই ইউনিটের আরেক নাম কলা ও মানবিকী অনুষদ: নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা অনুষদ। এই ইউনিটে আবেদন ফি ৬০০ টাকা

বিষয় 

SSC GPA 

HSC GPA

HSC-তে যে বিষয়গুলো থাকতেই হবে

আসন সংখ্যা (ছেলে+মেয়ে)

ভর্তি পরীক্ষায় যতটুকু নাম্বার পেতেই হবে

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব  

৭.০০  

বাংলা সহ অন্য যে কোন একটি বিষয়ে কমপক্ষে B গ্রেড

১৪ + ১৪  

চারুকলা  

৭.০০  

বাংলা ও ইংরেজিতে আলদাভাবে  কমপক্ষে  A- গ্রেড

১৮ + ১৮  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডি’ ইউনিট

এই ইউনিটের আরেক নাম জীববিজ্ঞান অনুষদ। এই ইউনিটে আবেদন ফি ৬০০ টাকা

এই অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ৩২০টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ১৬০টি এবং মেয়েদের জন্য ১৬০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

এই ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো-

ফার্মেসি বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০), মাইক্রোরায়োলজি বিভাগে ৩৬টি (ছেলে-১৮, মেয়ে-১৮), বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২৪টি (ছেলে-১২, মেয়ে-১২), উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে ৬০টি (ছেলে-৩০, মেয়ে-৩০), প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ৫০টি (ছেলে -২৫, মেয়ে-২৫) এবং পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) আসন রয়েছে।

বিষয় 

SSC GPA + HSC GPA

HSC-তে যে বিষয়গুলো থাকতেই হবে

আসন সংখ্যা (ছেলে+মেয়ে)

ভর্তি পরীক্ষায় যতটুকু নাম্বার পেতেই হবে

উদ্ভিদবিজ্ঞান   

৯.০০  

জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে A-  গ্রেড

৩০ + ৩০ 

রসায়ন ও জীববিজ্ঞান উভয় অংশে আলাদাভাবে কমপক্ষে ৫০% 

প্রাণিবিদ্যা    

৯.০০ 

জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে A-  গ্রেড

২৫ + ২৫ 

ঐ 

ফার্মেসী 

৯.০০ 

রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে আলাদাভাবে কমপক্ষে A  গ্রেড এবং পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে A- গ্রেড

২৫ + ২৫   

ঐ 

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান 

৯.০০ 

রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে আলাদাভাবে কমপক্ষে A  গ্রেড

২৫ + ২৫  

ঐ 

মাইক্রোবায়োলজি 

৯.০০ 

রসায়ন ও জীববিজ্ঞানে আলাদাভাবে কমপক্ষে A  গ্রেড

১৮ + ১৮ 

ঐ 

বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক  ইঞ্জিনিয়ারিং  

৯.০০ 

রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান,  জীববিজ্ঞান ও গণিতে  আলাদাভাবে কমপক্ষে A  গ্রেড

১২ + ১২  

ঐ 

পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স    

৯.০০ 

রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে A গ্রেড

২০ + ২০ 

ঐ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ‘ই’ ইউনিট

এই ইউনিটের আরেক নাম বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ। এই ইউনিটে আবেদন ফি ৬০০ টাকা

এই অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ২৫০টি। এর মধ্যে ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য ১২৫টি করে আসন রয়েছে।

এই ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো-

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫),

মার্কেটিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে- ২৫) এবং আইবিএ (জেইউ) তে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫) আসন রয়েছে।

বিষয় 

SSC GPA + HSC GPA

HSC-তে যে বিষয়গুলো থাকতেই হবে

আসন সংখ্যা (ছেলে+মেয়ে)

ভর্তি পরীক্ষায় যতটুকু নাম্বার পেতেই হবে

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং    

(ক) ব্যবসায় শিক্ষা শাখা- ৭.৫০ 

(খ) বিজ্ঞান শাখা- ৮.০০

(গ) মানবিক শাখা- ৭.৫০ 

(ক) গণিত/ পরিসংখ্যান/ অর্থনীতি/ হিসাববিজ্ঞান/ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা/ ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং এবং ইন্সুরেন্সে কমপক্ষে B গ্রেড এবং ইংরেজিতে B গ্রেড 

(খ) গণিত/ পরিসংখ্যান এবং ইংরেজিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে A- গ্রেড 

(গ) অর্থনীতি/ গণিত এবং ইংরেজিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে B গ্রেড 

২৫ + ২৫  

রসায়ন ও জীববিজ্ঞান উভয় অংশে আলাদাভাবে কমপক্ষে ৫০% 

মার্কেটিং     

২৫ + ২৫ 

ঐ 

একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস 

২৫ + ২৫   

ঐ 

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ  

২৫ + ২৫  

ঐ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ প্রোগ্রাম 

এই ইউনিটের আরেক নাম ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (IBA-JU)। এই ইউনিটে আবেদন ফি ৬০০ টাকা

 

বিষয় 

SSC GPA + HSC GPA

HSC-তে যে বিষয়গুলো থাকতেই হবে

আসন সংখ্যা (ছেলে+মেয়ে)

ভর্তি পরীক্ষায় যতটুকু নাম্বার পেতেই হবে

IBA-JU   

(ক) বিজ্ঞান শাখা- ৯.০০ 

(খ) ব্যবসায় শিক্ষা শাখা/ মানবিক শাখা ৮.৫০

(ক) ইংরেজি এবং উচ্চতর গণিত/ পরিসংখ্যানে পৃথকভাবে কমপক্ষে A- গ্রেড 

(খ) ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান/ অর্থনীতি/ গণিত/ পরিসংখ্যান/ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা/ ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ে আলাদাভাবে কমপক্ষে A- গ্রেড 

২৫ + ২৫  

– 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন যোগ্যতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেকোনো ইউনিটে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে ‘এ’ ও ‘ডি’ ইউনিটে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে।

‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে জিপিএ ৪ থাকতে হবে৷

‘বি’ ইউনিটের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে জিপিএ ৩.৫০ এবং আইন অনুষদের জন্য পৃথকভাবে জিপিএ ৪ লাগবে।

‘সি’ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।

‘ডি’ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে জিপিএ ৪ থাকতে হবে।

‘ই’ ইউনিটের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পৃথকভাবে জিপিএ ৩.৫০ এবং আইবিএ (জেইউ) অনুষদে পরীক্ষা দেয়ার জন্য জিপিএ ৪ থাকতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ধরন

সকল ইউনিটে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৮০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার সময় থাকবে ৫৫ মিনিট এবং পাস নম্বর ন্যূনতম ৩৩%। তবে ভর্তির জন্য বিষয় ভিত্তিক নির্ধারিত নম্বর পেতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিট ভিত্তিক মানবন্টন

‘এ’ ইউনিটে গণিতে ২২, রসায়নে ২২, পদার্থবিজ্ঞানে ২২, বাংলায় ৩, ইংরেজি ৩ ও আইটিতে ৮ নম্বরের, ‘বি’ ইউনিটে বাংলায় ২৫, ইংরেজিতে ২৫, সাধারণ গণিতে ৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক বিষয় ও আইকিতে ২৫ নম্বরের, ‘সি’ ইউনিটে বাংলায় ১৫, ইংরেজি ১৫, সাধারণ জ্ঞান ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৫০ নম্বরের, ‘ডি’ ইউনিটে রসায়নে ২৪, উদ্ভিদ বিজ্ঞানে  ২২, প্রাণীবিদ্যায় ২২, বাংলা ও ইংরেজিতে ৮ এবং বুদ্ধিমত্তায় ৪ নম্বরের এবং  ‘ই’ ইউনিটে  বাংলায় ১০, ইংরেজিতে ৩০, গণিতে ২৫ ও সমসাময়িক ব্যবসায়িক বিষয়াবলিতে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা মানবন্টন রয়েছে, তবে সব বিভাগেই মোট ৮০ নাম্বারের পরীক্ষা হয়ে থাকে, সময় থাকে ৫৫ মিনিট। আর OMR পূরণ ও বাংলা-ইংরেজি বাক্য লেখার জন্য মোট ৫ মিনিট সময় পাবে (OMR-এর একটি নির্দিষ্ট অংশে প্রশ্নে প্রদত্ত একটি করে বাংলা ও ইংরেজি বাক্য লিখতে হয়, মূলত ভর্তি পরীক্ষার জালিয়াতি ঠেকাতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)। পাশাপাশি SSC এর GPA-কে ১.৫ এবং HSC এর GPA-কে ২.৫ দ্বারা গুণ করে বাকি ২০ নম্বর নির্ণয় করা হবে। এভাবে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। প্রতি ইউনিটের মানবন্টন নিচে তালিকা আকারে দেয়া হলো- 

 

জাবি এ ইউনিট 

  • গণিত – ২২

  • পদার্থবিজ্ঞান – ২২

  • রসায়ন – ২২

  • বাংলা – ৩

  • ইংরেজি – ৩

  • আইসিটি – ৮

জাবি বি ইউনিট 

  • বাংলা – ২৫

  •  ইংরেজি – ২৫

  •  গণিত – ০৫

  •  সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক বিষয় ও আইকিউ – ২৫

জাবি সি ইউনিট 

  • বাংলা – ১৫

  • ইংরেজি – ১৫

  • সাধারণ জ্ঞান ও অনুষদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় – ৫০

জাবি সি-১ ইউনিট 

  • বাংলা – ১০

  • ইংরেজি – ১০

  • সাধারণ জ্ঞান ও অনুষদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় – ৬০ নম্বর

জাবি ডি ইউনিট 

  • বাংলা ও ইংরেজি – ৮

  • রসায়ন- ২৪

  • উদ্ভিদবিজ্ঞান- ২২

  • প্রাণিবিদ্যা- ২২

  • আইকিউ- ৪ 

জাবি ই ইউনিট 

(ক) ব্যবসায় শিক্ষা শাখা

  • বাংলা – ১৫

  • ইংরেজি – ৩০ 

  • গণিত – ১৫ 

  • হিসাব বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা – ২০ 

(খ) বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা

  • বাংলা – ১৫

  • ইংরেজি – ৩০ 

  • গণিত – ১৫ 

  • সাধারণ জ্ঞান – ২০ 

আইবিএ-জেইউ 

  • বাংলা- ৫ 

  • ইংরেজি- ৩০

  • Mathematical aptitude and IQ- ৩০

  • সাম্প্রতিক ও বিশ্লেষণমূলক বিষয়- ১৫ 

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশ নম্বর

এখানে তোমাকে আলাদা আলাদা করে প্রতি বিষয়ে পাশ করতে হবে না। ভর্তি পরীক্ষায় সব ইউনিটেই ৩৩% হলো পাশ নাম্বার। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের প্রক্রিয়া ও সময়

মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে অনলাইনে  ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদন চলবে ২৯ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এ, বি, সি ও ই ইউনিটের জন্য ৯০০ টাকা এবং ডি ইউনিটের জন্য ৬০০ টাকা ভর্তি পরীক্ষা ফি বাবদ বিকাশ কিংবা রকেট মাধ্যমে প্রদান করতে হবে৷

এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবার পালা। সেজন্য তোমাকে নিচের ধাপগুলো খুব সতর্কতার সাথে মেনে চলতে হবে,

ভর্তি আবেদনের ধাপগুলি:

1. ওয়েবসাইটে ভিজিট:

- সবচেয়ে প্রথমে juniv-admission.org ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে।

2. তথ্য হালনাগাদ:

- আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। এটি করার জন্য আপনি active একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন।

3. ইউনিটে আবেদন:

- ইউনিট বাছাই করে তার মধ্যে আবেদন করতে হবে। মনে রাখতে হবে একই ইউনিটে একাধিক আবেদন করা যাবে না।

4. ছবি এবং সাক্ষর আপলোড:

- 'ছবি আপলোড করুন' অপশনে ক্লিক করে একটি ফরমাল ছবি আপলোড করতে হবে। ছবির মাপ ৩০০*৩০০ এবং সর্বোচ্চ ১০০ কিলোবাইটের হতে হবে এবং .jpg অথবা .jpeg ফরমেটে থাকতে হবে।

- 'সাক্ষর আপলোড করুন' অপশনে ক্লিক করে ৩০০*৮০ পিক্সেল এবং সর্বোচ্চ ৬০ কিলোবাইটের সাক্ষরের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে এবং .jpg অথবা .jpeg ফরমেটে থাকতে হবে।

এই ধাপগুলি মেনে চলতে হবে এবং সতর্কতার সাথে ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পা্রবে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড

অভিনন্দন! তোমার ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

1. প্রথমে juniv-admission.org ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। লগ ইন করতে আবেদনের সময় রেজিস্ট্রেশনে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

2. লগ ইন হলে তুমি তোমার প্রোফাইলে পৌঁছাও।

3. তোমার প্রোফাইলে তুমি 'প্রবেশপত্র ডাউনলোড করুন' অপশন দেখতে পাবে। এই অপশনে ক্লিক করো।

4. এখানে প্রদত্ত ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে একটি বাটন বা লিঙ্ক থাকবে। এই বাটন বা লিঙ্কে ক্লিক করে তুমি তোমার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে।

5. প্রবেশপত্র ডাউনলোড হলে তোমাকে তোমার পরীক্ষা কেন্দ্র, কক্ষ নং, রোল নাম্বার ইত্যাদি তথ্য থাকবে।

ও শুভকামনা রইলো তোমার ভর্তি পরীক্ষায়!

সবশেষে একটাই কথা,

শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র‍্যাক্টিস থাকা জরুরি। তোমাদের জন্য সুসংবাদ, চর্চা এ JU এর জন্য প্রতিটি ইউনিট তথা

JU-A,JU-B,JU-C,JU-D,JU-E,ও অন্যান্য ইউনিট এর সমস্ত প্রশ্নব্যাংক চর্চায় available! তাই অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রীম শুভকামনা।

এবং একটি পরামর্শ হলো, ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কঠিন প্রতিজ্ঞা ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে তোমরা এগিয়ে চল, জয় তোমাদের হবেই হবে, কারণ প্রচণ্ড বড় হবার ইচ্ছাই মানুষকে বড় করে তোলে। শুভ কামনা রইল।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

Get it on Google PlayDownload on the app store

© 2024 Chorcha. All rights reserved.