বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউঃ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET)

Author
13/07/2024Syed Taisur Rahman Fayaz

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, যা রাজশাহী শহরের সাথে সংযুক্ত। এটি দেশের প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে RUET দেশের অন্যতম প্রধান প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও বিকাশ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) এর যাত্রা শুরু হয়েছিল রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে। ১৯৬৪ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রকৌশল শিক্ষা বিস্তার করা। ২০০৩ সালে, রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয় এবং নামকরণ করা হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে RUET তার একাডেমিক ও গবেষণার গুণমান বজায় রেখে শিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে।

ক্যাম্পাস ও অবকাঠামো

RUET ক্যাম্পাসটি প্রায় ১৫২ একর জমিতে বিস্তৃত। ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে আধুনিক একাডেমিক ভবন, উন্নত ল্যাবরেটরি, সম্পূর্ণ সজ্জিত লাইব্রেরি, শিক্ষার্থী হোস্টেল, শিক্ষক ও কর্মকর্তা বাসস্থান, হাসপাতাল, এবং খেলার মাঠ। ক্যাম্পাসের সবুজায়িত পরিবেশ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য একটি উপযুক্ত এবং সৃজনশীল পরিবেশ প্রদান করে।

প্রধান অবকাঠামো

1. একাডেমিক ভবন: ক্যাম্পাসে একাধিক একাডেমিক ভবন রয়েছে যেখানে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, এবং অফিস স্থাপন করা হয়েছে।

2. লাইব্রেরি: RUET এর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি প্রচুর সংখ্যক বই, জার্নাল, এবং ডিজিটাল রিসোর্স প্রদান করে। এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণা এবং পড়াশোনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

3. হোস্টেল: RUET এর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা হোস্টেল ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ছেলেদের এবং মেয়েদের জন্য আলাদা হোস্টেল রয়েছে এবং প্রতিটি হোস্টেলে সুপরিসর রুম, ক্যান্টিন, এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।

4. খেলার মাঠ ও ক্রীড়া সুবিধা: ক্যাম্পাসে ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, এবং ব্যাডমিন্টনের খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়াও, ক্যাম্পাসে একটি জিমনেসিয়াম রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা করতে পারে।

5. স্বাস্থ্য সেবা: RUET ক্যাম্পাসে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের এবং কর্মীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) ক্যাম্পাসটি তার আভিজাত্য, স্থাপত্যশৈলী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম চমত্কার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলির মধ্যে একটি। এর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মনোরম ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ প্রদান করে, যা শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

RUET ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রশংসনীয়। ক্যাম্পাসজুড়ে রয়েছে বিশাল সবুজ ক্ষেত্র, বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, এবং সুসজ্জিত বাগান। ঋতুভেদে ফুলের সমারোহ ক্যাম্পাসকে রঙিন করে তোলে, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মনকে প্রশান্তি দেয়।

1. সবুজায়ন ও বৃক্ষরাজি: ক্যাম্পাসে প্রচুর গাছপালা রয়েছে, যা পরিবেশকে শীতল এবং নির্মল রাখে। এখানে নানা ধরনের ফলের গাছ, ছায়াবৃক্ষ এবং ফুলের গাছ রয়েছে, যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।

2. লেক ও জলাশয়: ক্যাম্পাসের ভিতরে একটি বড় লেক রয়েছে, যা ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। লেকের চারপাশে বেঞ্চ বসানো হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।

3. বাগান ও ফুলের বেড: ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সুসজ্জিত বাগান এবং ফুলের বেড রয়েছে। এখানে নানা ধরনের ফুলের সমারোহ রয়েছে, যা ক্যাম্পাসকে রঙিন এবং মনোরম করে তোলে।

রুয়েট এর স্থাপত্যশৈলী

RUET এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর এবং আধুনিক। একাডেমিক ভবনগুলো আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত, যা সৌন্দর্য এবং কার্যকারিতার একটি চমৎকার মিশ্রণ।

1. একাডেমিক ভবন: ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলো আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এবং সুসজ্জিত। প্রতিটি ভবনের নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা তাদের অনন্য করে তোলে।

2. লাইব্রেরি: ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। লাইব্রেরির অভ্যন্তরীণ স্থাপত্য এবং পরিবেশ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়।

3. অডিটোরিয়াম ও সম্মেলন কেন্দ্র: ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং সম্মেলনের জন্য আধুনিক অডিটোরিয়াম এবং সম্মেলন কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোর অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা অত্যন্ত উন্নত।

শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম পরিবেশ

RUET ক্যাম্পাসের পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা, যা শিক্ষার্থীদের সুস্থ এবং সুখী রাখে।

1. খেলার মাঠ ও ক্রীড়া সুবিধা: ক্যাম্পাসে বড় বড় খেলার মাঠ রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, এবং অন্যান্য খেলাধুলা করতে পারে। এছাড়াও, এখানে একটি জিমনেসিয়াম রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা করতে পারে।

2. হোস্টেল ও আবাসন সুবিধা: ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপরিসর এবং সুসজ্জিত হোস্টেল রয়েছে। প্রতিটি হোস্টেলেই রয়েছে সব ধরনের আধুনিক সুবিধা, যা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদান করে।

3. ক্যাম্পাস ক্যাফেটেরিয়া: ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার উপভোগ করতে পারে। ক্যাফেটেরিয়ার বসার ব্যবস্থা এবং পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম।

সংস্কৃতি ও বিনোদন

RUET ক্যাম্পাসে নিয়মিতভাবে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং তাদের সৃজনশীলতা বাড়ায়।

1. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: ক্যাম্পাসে নিয়মিতভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেমন নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান, এবং নৃত্যানুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করার সুযোগ পায়।

2. বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন: ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ক্লাব এবং সংগঠন রয়েছে, যেমন সাহিত্য ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, এবং রোবোটিক্স ক্লাব। এসব ক্লাব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় এবং তাদের সৃজনশীলতা বাড়ায়।

3. উৎসব ও অনুষ্ঠান: ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য এবং সহমর্মিতার বোধ জাগিয়ে তোলে।

ক্যাম্পাসের দৃশ্যপট

RUET ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশের দৃশ্যপট অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর এবং দর্শনীয়। প্রতিটি অংশই তার নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে গর্বিত।

1. লেকসাইড ভিউ: ক্যাম্পাসের লেকের চারপাশের দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। সকাল এবং সন্ধ্যায় লেকের পাশে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা শিক্ষার্থীদের প্রিয় কাজ।

2. বাগানের দৃশ্য: ক্যাম্পাসের বাগানগুলোর দৃশ্য অত্যন্ত সুন্দর। ফুলের গন্ধ এবং সবুজ পরিবেশ মনকে প্রশান্তি দেয়।

3. আধুনিক ভবনের দৃশ্য: ক্যাম্পাসের আধুনিক ভবনগুলোও দৃশ্যপটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিটি ভবনের স্থাপত্যশৈলী এবং সাজসজ্জা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক উন্নতিতে সহায়ক। এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ, আধুনিক স্থাপত্য, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা ক্যাম্পাসটিকে একটি আদর্শ শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করে। RUET ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য এবং পরিবেশ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী এবং উৎসাহী করে তোলে, যা তাদের ভবিষ্যতের সফলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একাডেমিক বিভাগ ও প্রোগ্রাম

RUET বিভিন্ন প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিগত বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম প্রদান করে। প্রধান একাডেমিক বিভাগগুলো হলো:

1. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: কাঠামোগত প্রকৌশল, পরিবহন প্রকৌশল, পানিসম্পদ প্রকৌশল, ভূমিকম্প প্রকৌশল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করে। এখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সকল শাখায় শিক্ষাদান এবং গবেষণা পরিচালিত হয়।

2. ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: বিদ্যুৎ উৎপাদন, বৈদ্যুতিক সার্কিট, মাইক্রোপ্রসেসর, যোগাযোগ প্রকৌশল ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি শিখে এবং উদ্ভাবন করে।

3. মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: যান্ত্রিক নকশা, তাপবিদ্যা, প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং রোবোটিক্স ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষাদান করে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা যান্ত্রিক প্রকৌশলের বিভিন্ন শাখায় বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠে।

4. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে শিক্ষাদান করে। এই বিভাগটি দেশের অন্যতম প্রধান কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগগুলির একটি।

5. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ: টেক্সটাইল টেকনোলজি, ফ্যাব্রিক প্রোডাকশন, গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং, এবং টেক্সটাইল ডিজাইন বিষয়ে শিক্ষাদান করে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে সক্ষম হয়।

রুয়েটে ভর্তি প্রক্রিয়া

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ভর্তির প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠিন এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ, যা উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি

যোগ্যতা ও বাছাই প্রক্রিয়া

দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।

1. প্রাথমিক বাছাই: এইচএসসি ফলাফল অনুসারে প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন করা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পরে, নির্দিষ্ট সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে একটি লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।

2. লিখিত পরীক্ষা: সাধারণত প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তির আবেদন শুরু হয় এবং অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ভর্তি পরিসংখ্যান

- 2016 সালে: মোট 875 জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল।

- 2024 সালে: মোট 1235 জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সাধারণত এপ্রিল মাসে প্রচারিত হয়। বিজ্ঞপ্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।

1. আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়।

2. ভাইভা পরীক্ষা: প্রাথমিক তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। ভাইভা শেষে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

ভর্তি পরিসংখ্যান

- 2024 সালে: মোট 206 জন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (RUET) ভর্তি প্রক্রিয়া কঠোর ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ হলেও এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করে। উচ্চ মানের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ তৈরি করে।

বিভাগসমূহ

ডিগ্রী দেওয়া হয়

যন্ত্র প্রকৌশল

বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের স্নাতকোত্তর (M.Sc. Engg.)

ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার (এম. ইঞ্জি.)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের স্নাতকোত্তর (M.Sc. Engg.)

ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার (এম. ইঞ্জি.)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং

বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের স্নাতকোত্তর (M.Sc. Engg.)

ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার (এম. ইঞ্জি.)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং

বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের স্নাতকোত্তর (M.Sc. Engg.)

ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার (এম. ইঞ্জি.)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং

বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের স্নাতকোত্তর (M.Sc. Engg.)

ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার (এম. ইঞ্জি.)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)

অংক

বিজ্ঞানের মাস্টার্স (M.Sc)

দর্শনে মাস্টার্স (এম.ফিল)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)

পদার্থবিদ্যা

বিজ্ঞানের মাস্টার্স (M.Sc)

দর্শনে মাস্টার্স (এম.ফিল)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)

রসায়ন

বিজ্ঞানের মাস্টার্স (M.Sc)

দর্শনে মাস্টার্স (এম.ফিল)

ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি)



গবেষণা ও উন্নয়ন

RUET গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে এবং নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে। এর গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে গবেষকরা নানা ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছেন এবং তাদের উদ্ভাবনী গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করছেন।

সংগঠন এবং ক্লাব

রুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। এসব সংগঠন ও ক্লাবের সদস্যরা রুয়েটে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। [২৮] তারা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং অদম্য পারফরম্যান্স দেখায়। রুয়েটের কিছু নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের কথা এখানে উল্লেখ করা হলো।

  • আইইইই রুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ

  • রোবোটিক সোসাইটি অফ রুয়েট (RSR)

  • সোসাইটি অফ অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স-রুয়েট (SAER)

  • রুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটি

  • রুয়েট ডিবেটিং ক্লাব (রুয়েট ডিসি)

  • রুয়েট ক্যারিয়ার ফোরাম (RCF)

গবেষণাগার

রুয়েটের নতুন প্রতিষ্ঠিত অধিকাংশ বিভাগেই পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি সুবিধা রয়েছে। বয়স্কদের শুধুমাত্র একাডেমিক গবেষণার জন্য নয়, পরামর্শ পরিষেবার জন্যও যথেষ্ট পরীক্ষাগার সুবিধা রয়েছে। রুয়েট সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিভাগগুলোর জন্য ল্যাবরেটরি সুবিধা স্থাপন এবং পুরনোদের জন্য ল্যাবরেটরি সুবিধা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।

অনুষদ

বিভাগ

পরীক্ষাগারের নাম

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (CE)

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (CE)

  1. মাটি মেকানিক্স ল্যাব

  2. উপাদান শক্তি ল্যাব

  3. ফ্লুইড ল্যাব

  4. এনভায়রনমেন্ট ল্যাব

  5. পাবলিক হেলথ ল্যাব

  6. পরিবহন ল্যাব

  7. কংক্রিট ল্যাব

নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা (URP)

  1. জিআইএস ল্যাবরেটরি

  2. মানচিত্র পরীক্ষাগার

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ME)

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ME)

  1. থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব (হিট ইঞ্জিন ল্যাব)

  2. ফ্লুইড মেকানিক্স এবং এনার্জি ল্যাব

  3. ফলিত মেকানিক্স এবং মেশিন ডিজাইন ল্যাব

  4. উপাদান বিজ্ঞান এবং ধাতুবিদ্যা ল্যাব

  5. মেট্রোলজি ল্যাব

  6. কাঠ শপ

  7. যন্ত্রের শপ

  8. ফাউন্ড্রি শপ

  9. বয়লার শপ

  10. ফিটিং শপ

  11. ঢালাই ও শীট মেটালের দোকান

  12. কম্পিউটার ল্যাব

গ্লাস এবং সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং (GCE)

  1. সিরামিক ফর্মিং ল্যাব

  2. মাইক্রো-স্ট্রাকচার ল্যাব

  3. সিরামিক টেস্টিং ল্যাব

মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (MTE)

  1. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ল্যাব (AICSL)

  2. রোবোটিক্স ও অটোমেশন ল্যাব (RAL)

  3. কম্পিউটার ও সিমুলেশন ল্যাব (সিএসএল)

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই)

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই)

  1. বৈদ্যুতিক মেশিন ল্যাব

  2. ইলেকট্রনিক্স এবং পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স ল্যাব

  3. বৈদ্যুতিক সার্কিট এবং পরিমাপ ল্যাব

  4. কম্পিউটার ল্যাব (1)

  5. টেলিকমিউনিকেশন এবং মাইক্রোওয়েভ ল্যাব

  6. ফটোভোলটাইক এবং ন্যানোটেকনোলজি ল্যাব

  7. কম্পিউটার ল্যাব (2)

  8. পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং গ্রিন এনার্জি ল্যাব।

  9. উচ্চ ভোল্টেজ ল্যাব

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE)

  1. সফটওয়্যার ল্যাব

  2. নেটওয়ার্ক ল্যাব

  3. অপারেটিং সিস্টেম ল্যাব

  4. হার্ডওয়্যার ল্যাব

  5. ACL ল্যাব

  6. গেম এবং অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট ল্যাব

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই)

  1. যোগাযোগ পরীক্ষাগার

  2. অ্যান্টেনা এবং প্রচার পরীক্ষাগার

  3. ফটোনিক্স ল্যাবরেটরি

  4. ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং ল্যাবরেটরি

  5. মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স ল্যাবরেটরি

অন্যান্য পরীক্ষাগার

অ-বিভাগীয়

  1. পদার্থবিদ্যা ল্যাব

  2. রসায়ন ল্যাব


প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র

1. স্মার্ট সিটি: স্মার্ট সিটি প্রযুক্তির উপর গবেষণা করে, যাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরের অবকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করা যায়।

2. নবায়নযোগ্য শক্তি: নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের উপর গবেষণা করে, যাতে পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহার বাড়ানো যায়।

3. রোবোটিক্স ও অটোমেশন: রোবোটিক্স এবং অটোমেশন প্রযুক্তির উপর গবেষণা করে, যাতে বিভিন্ন উৎপাদন এবং সার্ভিস সেক্টরে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো যায়।

4. ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর গবেষণা করে, যাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ডেটা বিশ্লেষণ করে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা

RUET শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

1. লাইব্রেরি: বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল লাইব্রেরিতে বিভিন্ন ধরণের বই, জার্নাল, এবং গবেষণা পত্রিকা পাওয়া যায়। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।

2. হোস্টেল: RUET ক্যাম্পাসের ভিতরে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু হোস্টেল রয়েছে। এই হোস্টেলগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশে বাস করতে পারে।

3. ক্রীড়া সুবিধা: ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরণের ক্রীড়া সুবিধা রয়েছে। এখানে ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন সহ অন্যান্য খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে।

4. স্বাস্থ্য সেবা: RUET ক্যাম্পাসে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।

5. ছাত্র সংগঠন: RUET এ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন রয়েছে, যেমন ডিবেট ক্লাব, রোবোটিক্স ক্লাব, সোশ্যাল ওয়ার্ক ক্লাব, যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে এবং নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করে।

6. ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার: এই কেন্দ্রটি শিক্ষার্থীদের কর্মজীবন নিয়ে পরামর্শ প্রদান করে এবং তাদের জন্য ইন্টার্নশিপ এবং চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে।

অ্যালামনাই ও কর্মক্ষেত্র

RUET এর অ্যালামনাইরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত আছেন। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের মেধা এবং দক্ষতা প্রমাণ করেছেন এবং দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে অবদান রাখছেন। RUET এর অ্যালামনাইদের মধ্যে অনেকেই বিখ্যাত গবেষক, প্রকৌশলী, এবং উদ্যোক্তা হিসাবে পরিচিত।

উল্লেখযোগ্য অ্যালামনাই

1. ড. জাফর ইকবাল: প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং লেখক।

2. ড. ফেরদৌস জামান: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক এবং প্রফেসর।

3. ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হাসান: বিখ্যাত প্রকৌশলী এবং উদ্যোক্তা।

চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

RUET এর সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন আরও গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন, আধুনিক শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পাঠ্যক্রমের উন্নতি, এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়টি এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার

জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

1. গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি: বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে চায়, যাতে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আরও অগ্রসর হওয়া যায়।

2. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক পর্যায়ে গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।

3. নতুন বিভাগ ও প্রোগ্রাম চালু করা: বর্তমান প্রযুক্তিগত চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন নতুন বিভাগ ও প্রোগ্রাম চালু করা।

4. ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন: ক্যাম্পাসের ইনফ্রাস্ট্রাকচার আরও উন্নত করা, যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সুবিধাজনক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET) বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান। এর উচ্চ মানের শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের অন্যতম সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। RUET এর অ্যালামনাইরা দেশে এবং বিদেশে তাদের কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধি করছেন। RUET এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে, এটি আরও উচ্চতর সাফল্যের শিখরে পৌঁছাবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

Get it on Google PlayDownload on the app store

© 2024 Chorcha. All rights reserved.