কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি

Author
21/02/2024Chorcha

মেডিক্যাল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি অনেকটায় একই রকম। ফলে যাঁরা  মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাঁদের জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

কৃষি গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ।

এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫ টি

রয়েছে ২৭০০এর অধিক আসন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি ইঞ্জিনিয়ারিং ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিন্ন। তাই প্রস্তুতিও আলাদা। এরই মধ্যে বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়ে গেছে ভর্তি কার্যক্রম।

আবেদন করতে হবে অনলাইনে কিংবা এসএমএস-এ। নেওয়া হবে এক ঘণ্টার পরীক্ষা। 

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং সময়সূচী

  • আবেদন শুরু: 

  • আবেদন শেষ:

  • বাছাই ফলাফল : 

  • প্রবেশপত্র ডাউনলোড :

  • আসন বিন্যাস প্রকাশ :

  • ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: 

  • আবেদন ফিঃ ১০০০/- টাকা

  • বাছাই ফলাফল প্রকাশের তারিখঃ 

সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩৪১৯ টি আসন রয়েছে । 

ক্র. নং

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

 আসন সংখ্যা

১.

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

১১১৬

২.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

৩৩০

৩.

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

৭০৪

৪.

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

৪৩১

৫.

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী

৪৪৩

৬.

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

২৪৫

৭.

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা

১৫০

সর্বমোট

৩৫৫৫

আবেদনের ন্যূনতম যােগ্যতা

  • ২০১৭/২০১৮ সালে এসএসসি/ সমমান এবং ২০২০/২০২১ সালে এইচএসসি/ সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করতে হবে।

  • এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমােট ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।

  • এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় জীববিদ্যা, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত আলাদা বিষয় হিসেবে থাকতে হবে।

লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষা

  • উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সর্বশেষ পাঠ্যক্রম অনুসরণে ইংরেজি, জীববিদ্যা, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে Multiple Choice Question (MCQ) পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলা ও ইংরেজিতে প্রণীত হবে।

  • প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ (শূন্য দশমিক দুই পাচ) নম্বর কর্তন করা হবে।

পরীক্ষার বিষয় ও মানবন্টন

ভর্তি পরীক্ষা হবে MCQ (Multiple Question Choice) পদ্ধতিতে ।মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়

নম্বর

ইংরেজি

১০

প্রাণীবিজ্ঞান

১৫

উদ্ভিদবিজ্ঞান

১৫

পদার্থবিজ্ঞান

২০

রসায়ন

২০

গণিত

২০

মেধা স্কোর নির্ধারণ

লিখিত পরীক্ষার জন্য ১০০ নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত জিপিএ এর এসএসসি/ সমমান হতে ২৫ নম্বর এবং এইচএসসি/ সমমান হতে ২৫ নম্বর যােগ করে সর্বমােট ১৫০ নম্বরের মধ্যে মেধা স্কোর নির্ধারণ করা হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যা

গুচ্ছ পরিক্ষা পদ্ধতিতে অংশ নেওয়া ০৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা অনুষদ/ইস্টিটিউট অনুযায়ী নিম্নে দেওয়া হলো।

১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

অনুষদ/ইনস্টিটিউট

ডিগ্রির নাম

আসন সংখ্যা

ভেটেরিনারি অনুষদ

ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম)

১৮০

কৃষি অনুষদ

বি.এসসি.ইন এগ্রিকালচার (অনার্স)

৩২০

পশু পালন অনুষদ

বি.এসসি.ইন এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি (অনার্স)

১৮০

কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ

বি.এসসি.ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স (অনার্স)

১০৬

কৃষি প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি অনুষদ

বি.এসসি.ইন এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং 

১০০

বি.এসসি.ইনফুড ইঞ্জিনিয়ারিং

৫০

বি.এসসি.ইন বায়োইনফমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

৩০

ফিশারিজ অনুষদ

বি.এসসি.ইন ফিশারিজ (অনার্স)

১২০

ইন্টার ডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি

বি.এসসি.ইন ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট

৩০

সর্বমোট = 

১১১৬


২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় 

অনুষদ

ডিগ্রির নাম

আসন সংখ্যা

কৃষি অনুষদ

বিএস (কৃষি)

১১০

ফিশারিজ অনুষদ

বিএস (ফিশারিজ)

৬০

ভেটেরিনারি মেডিসিন এ্যান্ড এ্যানিমেল অনুষদ

ডিভিএম (ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন)

৬০

কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদ

বিএস (কৃষি অর্থনীতি) 

১০০

সর্বমোট = 

৩৩০


৩. শেরাবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় 

অনুষদ

ডিগ্রির নাম

আসন সংখ্যা

কৃষি অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচার (অনার্স)

৩৮৭

এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিবিজনেস

৭১

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচার ইকোনমিক্স (অনার্স)

৭১

এ্যানিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ

বি.এসসি ইন ভেটিরিনারি সাইন্স এন্ড এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি (অনার্স)

১১৪

ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সাইন্স অনুষদ

বি.এসসি ইন ফিশারিজ (অনার্স)

৬১

সর্বমোট = 

৭০৪


৪. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

অনুষদ

ডিগ্রির নাম

আসন সংখ্যা

ভেটিরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদ

ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম)

১০০

কৃষি অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচার (অনার্স)

৮৮

মাৎসবিজ্ঞান অনুষদ

বি.এসসি. ইন ফিসারিজ (অনার্স)

৭৫

কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স (অনার্স)

৬৪

কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচারাল  ইঞ্জিনিয়ারিং

৬৪

বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ

বি.এসসি. ইন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (অনার্স)

৪০

সর্বমোট = 

৪৩১


৫. পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

অনুষদ

ডিগ্রির নাম

আসন সংখ্যা

কৃষি অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচার (অনার্স)

২২৭

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ

বি.এসসি. ইন  ফিশারিজ (অনার্স)

৭২

এ্যানিমেল সায়েন্স এ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ

ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম)

৭২

বি.এসসি. ইন  এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি (অনার্স)

৭২

সর্বমোট = 

৪৪৩


৬. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়

অনুষদ

ডিগ্রির নাম

আসন সংখ্যা

ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ

ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম)

১০০

ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদ

বি.এসসি. ইন ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (অনার্স)

৮০

ফিশারিজ অনুষদ

বি.এসসি. ইন ফিশারিজ (অনার্স)

৬৫

সর্বমোট = 

২৪৫


৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

অনুষদ

ডিগ্রির নাম

আসন সংখ্যা

ভেটেরিনারি, এনিম্যাল অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদ

বি.এসসি. ইন ভেটেরিনারি সাইন্স এন্ড এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি

৩০

এগ্রিকালচার অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচার (অনার্স)

৩০

ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান সায়েন্সেস অনুষদ

বি.এসসি. ইন ফিশারিজ (অনার্স)

৩০

এগ্রিকালচার ইকোনমিক্স অ্যান্ড এগ্রি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স (অনার্স)

৩০

এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ

বি.এসসি. ইন এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৩০

সর্বমোট = 

১৫০

আবেদনের নিয়মাবলী

১/ আবেদন সংক্রান্ত সকল তথ্য admission-agri.org ওয়েবসাইটে পাওযা যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুযায়ী Online-এ আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

২/ মোবাইল নম্বর হিসেবে নিজের মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। SMS এর মাধ্যমে পিন/লগইন পাসওয়ার্ড ও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য উক্ত নাম্বারে দেওয়া হবে।

৩/ কোটায় আবেদনকারীদের কোটা সংক্রান্ত সনদ এর স্ক্যান কপি Online আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে আপ্লোড করতে হবে। তবে কোটায় আবেদন না করলে কোটার ঘরে ‘সাধারণ’ নির্বাচন/ সিলেক্ট করতে হবে।


আবেদন ফি

আবেদন ফি ১০০০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদন ফি নগদ, বিকাশ বা রকেট এর মাধ্যমে Online ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক জমা দিতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে ফি জমা দিতে না পারলে আবেদনের শেষ তারিখের মাধ্যে তা জমা দিতে হবে।

যেহতু মোট আসন সংখ্যার ১০ গুণ প্রার্থীকে এসএসএসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহে প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তি মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে, সেহেতু যে সকল প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে না, তাদেরকে আবেদন সংক্রান্ত প্রসেসি ফি বাবদ ৩০০/- টাকা কেটে রেখে অবশিষ্ট ৭০০/- টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে। এজন্য আবেদনের সময় অনলাইন ফরমের নির্ধারিত স্থানে নগদ, বিকাশ বা রকেট এর অবশ্যই একটি নিজস্ব একাউন্ট নম্বর দিতে হবে, যার মাধ্যমে আবেদনকারীকে টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে।


আবেদন ফি এবং ভর্তি জমাদানের প্রক্রিয়া

১/ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে নগদ, বিকাশ বা রকেট এর যেকোন একটি মাধ্যমকে সিলেক্ট করলে যে স্ক্রিন/ইন্টারফেস আসবে তাতে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের নম্বর দিতে এবং শরতাবলীতে সম্মতি দিয়ে প্রবর্তী ধাপে যেতে হবে।

২/ উক্ত মোবাইল একাউন্ট নম্বরে SMS এর মাধ্যমে একটি ভেরিফিকেশন কোড বা OTP আসবে। সেটি পেমেন্ট স্ক্রিন/ইন্টারফেস এ ইনপুট দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

৩/ এরপর একাউন্ট নম্বরের পিন দিতে হবে এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। পেমেন্ট সফল হলে সাথে সাথেই একটি কনফার্মেশন SMS পাওয়া যাবে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ক্যারিয়ার কেমন?

কৃষিবিদরা বিসিএসে কারিগরি ও সাধারণ উভয় ক্যাডারে আবেদনের সুযোগ পাওয়ায় দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা),ধান, পাট, ইক্ষু, মসলা, তুলা, চা ইত্যাদি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে চাকরির সুযোগ। ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিসিএসের মাধ্যমে সার্জন পদে চাকুরি পেতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামার, হরিণ প্রজনন কেন্দ্র, ছাগল প্রজনন কেন্দ্র, মহিষ প্রজনন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রাণী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে চাকরির সুযোগ।

মৎস্য বিজ্ঞান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদেরও রয়েছে এমনই অসংখ্য চাকরির সুযোগ। অন্যদিকে দেশের কৃষি ব্যাংকগুলোতে অগ্রাধিকারসহ চাকুরির সুযোগ রয়েছে। অনেকে আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে নিজেই হয়ে ওঠেন উদ্যোক্তা, গড়ে তোলেন নিজস্ব খামার। শিক্ষাজীবনের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন নিজস্ব প্রতিষ্ঠান, কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন অসংখ্য বেকারকে।

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নিবে?

যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির আগে মূল কাজ হলো সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নব্যাংক সম্পর্কে ধারণা থাকা। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন পুরোপুরি অন্যান্য ভার্সিটি থেকে পুরো আলাদা হয়ে থাকে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায় তবে সম্ভবত 100MS (এই বছরের সার্কুলার দেখে নিবে) মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। উল্লেখ্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বেশিরভাগ প্রশ্নই মেইন বই থেকে হয়ে থাকে।

ইংলিশ সব প্রশ্ন হবে বেসিক গ্রামার থেকে। প্রস্তুতি না নিলেও  ৬-১০ শ্রেণির  বেসিক ধারণা থেকে ৪-৫ টা উত্তর করা সম্ভব। বেসিক গ্রামার এর নিয়মগুলো দেখে গেলে সহজেই উত্তর করতে পারবে।

English এ যে যে টপিকসগুলো হতে প্রশ্ন বেশি হয়,

Right form of verb (১-২টা)

Sentence (১-২টা), Preposition (১টা)

Narration (১টা), Voice change (১টা)

Spelling (১টা)

Subject verb agreement (১টা)

Synonym +antonym (১টা)

Proverb (১টা)

Translation (১টা)

 Math প্রিপারেশনঃ এখানে মূল কৌশলটা হলো Math এ এমন কিছু গাণিতিক সমস্যা দিবে যেগুলো ক্যালকুলেটর ছাড়াই করা যায়। পক্ষান্তরে কিছু জানা Math দেয় হবে যেগুলো তোমার ছেড়ে আসতে হবে। কারণ ওই Math করতে ৫-৬ মিনিট সময় লাগবে, অথচ অন্যান্য ছোটখাটো ম্যাথের সমান নম্বর থাকে। ফলে একটা পারা ম্যাথ ৫ মিনিট ধরে না করে ওই সময়ে অন্য ছোট ২টা ম্যাথ করা ব্যাটার। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের Math এর প্রশ্নের ধরণ ঢাবি-A ইউনিটের মতো।

 Chemistry প্রিপারেশনঃ যারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের একটি আসন নিশ্চিত করতে চাও তাদের জন্য Chemistry মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। Chemistry প্রশ্ন ভার্সিটি A ইউনিটের মতো হয়ে থাকে। কৃষিতে পজিশন আগাতেও Chemistry সাহায্য করে। বিগত সালের প্রশ্ন ও ঢাবি ক ইউনিটের প্রশ্ন সলভ করে গেলে প্রিপারেশন ভালো হবে।

Physics প্রিপারেশনঃ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে টপ পজিশনে থাকতে চাইলে Physics এর বিকল্প নেই। কারণ Math, Biology, Chemistry তে সবাই মোটামুটি সমান পেলেও Physics এ ভালো করা তুলনামূলক কঠিন। যেহেতু এখানে সেকেন্ড টাইমার রয়েছে টাই ফাস্ট টাইমার যারা তারা Physics এ ভালো করলে সহজেই চান্স পেতে পারো। Physics প্রশ্নের ধরণও অন্যান্য ভার্সিটির মতো হয়।

সাধারণ জ্ঞানের নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। তবে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। রাজধানী, মুদ্রা, বৃহত্তর, ক্ষুদ্রওর, নদ-নদী, হ্রদ, সদর দপ্তর, পুরস্কার, স্থাপনা, সম্মেলন ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকে। নিয়মিত পড়তে হবে পত্রপত্রিকা। মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড প্রস্ততিতে সহায়ক হবে।

Biology প্রিপারেশনঃ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যান্য ভার্সিটি থেকে স্বত্যন্ত্র করে Biology প্রশ্নের ধরণ। এখানে Biology থেকে ইউনিক প্রশ্ন করা হয় যেটা অন্যান্য ভার্সিটির প্রশ্নের প্যাটার্নের সাথে মিলে না। যেমনঃ মাছ চাষ, বিভিন্ন ধরণের কালচার, ভিন্ন ফলের ভিন্ন ভিন্ন রঙ কেন, রেপটিলিয়া পর্ব দিয়ে কোন বিদ্যায় আলোচনা করা হয়, কোন ধরণের কাটিং পদ্ধতি কোথায় ব্যবহার করা হয়- এই জাতীয় প্রশ্ন এসে থাকে। এই জাতীয় প্রশ্ন বইয়ে কম পাওয়া যায়। তবে বেশির ভাগ প্রশ্ন বই থেকেই এসে থাকে। উদ্ভিদবিজ্ঞানের কিছু চ্যাপ্টার যেমনঃ উদ্ভিদের প্রজনন, অমরাবিন্যাস, বনাঞ্চল, বিভিন্ন চাষাবাদ পদ্ধতি ইত্যাদি কৃষির ধাঁচ আছে এমন চ্যাপ্টারগুলো খুব ভালো করে পড়তে হবে। পাশাপাশি প্রশ্নব্যাংক থেকে সলভ করতে হবে। 

যেকোনো ভর্তি পরীক্ষায়  ভালো করার একটা অন্যতম শর্ত হচ্ছে বিগত সালের প্রশ্নগুলো খুব ভালো করে পড়ে ফেলা। যারা এখনো বিগত সালের প্রশ্নগুলো পড়নি তারা কমপক্ষে ৫ বছরের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন  পড়ে ফেলো। কারণ প্রশ্ন + টাইপ মিলিয়ে ৪০% বা তার ও বেশি  রিপিট হয়। আর বিগত সালের প্রশ্ন পড়লে তুমি নিজেই বোঝতে পারবে কোন কোন টপিকস থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, প্রশ্নের প্যাটার্ন কেমন হয় এবং কোনগুলো গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ  টপিকসগুলো সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ  এবং ঘুরে ফিরে সেগুলো থেকেই বারবার প্রশ্ন আসে।

ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্যের বিস্তারিত পাওয়া যাবে নিচের ওয়েব ঠিকানায়:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (www.bau.edu.bd), 
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (www.sau.edu.bd) , 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-(www.bsmrau.edu.bd), 
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (www.sylhetagrivarsity.edu.bd), 
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (www.cvasu.ac.bd)

আছে আরো সুযোগ
দেশের পাঁচটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী  মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি পড়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে কৃষি পড়ার সুযোগ রয়েছে।

শেষ কথা- (তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)

শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের কৃষি এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র‍্যাক্টিস থাকা জরুরি। এরজন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা অ্যাপ। কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রীম শুভকামনা জানাই।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

Get it on Google PlayDownload on the app store

© 2024 Chorcha. All rights reserved.