বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব আর্থ এন্ড ওশান সায়েন্স এর অন্যতম একটি সাবজেক্ট হচ্ছে বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি। ওশানোগ্রাফি সাবজেক্টটি এখানে ছাড়াও আরো কয়েকটি ভার্সিটিতে রয়েছে।
ভাইয়া সমুদ্রবিজ্ঞান কী?
সমুদ্রবিজ্ঞান শব্দটাই বলে দিচ্ছে—এ বিষয়ের পড়াশোনা সমুদ্র নিয়ে। আমাদের পৃথিবীতে স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের অংশ বেশি; শতকরা প্রায় ৭১ ভাগই হলো জল, বাকিটা স্থল। এই বিশাল জলরাশিতে রয়েছে অনেক ধরনের বৈচিত্র্যময় প্রাণী ও উদ্ভিদ। আমাদের জীবনধারণের জন্য যে অক্সিজেনের প্রয়োজন, এর একটা বড় অংশ আসে সমুদ্র থেকে, অর্থাৎ সামুদ্রিক উদ্ভিদ থেকে। আবার উত্তাল সমুদ্রের কারণে বড় রকমের দুর্যোগ ঘটতে পারে। যেমন সাইক্লোন, সুনামি ইত্যাদি। আর সমুদ্র সম্পদের প্রয়োজনীয়তার কথা তো না বললেই নয়। কাজেই সমুদ্র সম্পর্কে পড়াশোনা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। সমুদ্রবিজ্ঞানের মূলত চারটি প্রধান অংশ আছে।
• তাত্ত্বিক সমুদ্রবিজ্ঞান (বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি); যেখানে মূলত সামুদ্রিক জীবজগৎ সম্পর্কে পড়ানো হয়।
• রাসায়নিক সমুদ্রবিজ্ঞান (কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি); এই অংশে থাকে সমুদ্রের রাসায়নিক উপাদান, সেগুলোর বিন্যাস ও বিক্রিয়া নিয়ে পড়াশোনা।
• ভৌত সমুদ্রবিজ্ঞান (ফিজিক্যাল ওশানোগ্রাফি); এই অংশে পড়ানো হয় সমুদ্রস্রোত, জোয়ার–ভাটা, তাপমাত্রা, ঘনত্ব ইত্যাদি ভৌত বিষয় সম্পর্কে।
• ভূতাত্ত্বিক সমুদ্রবিজ্ঞান (জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি), যে অংশে প্রাধান্য পায় সমুদ্র তলদেশের ভূতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
এই চারটি অংশের যেকোনো একটিতে বিশেষায়িত হওয়ার সুযোগ থাকলেও, সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে প্রতিটি অংশই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচী 2023-24: | |
BSMRMU আবেদনের শেষ তারিখ: | 24/12/2023 18/1/2024 (এবছর তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে, better luck next time) 2 ও 3/2/2024 10/2/2024 এর মধ্যে 11/2/2024 থেকে 28/2/2024 10 মার্চ, 2024 |
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হবেঃ
ওশানোগ্রাফি/মেরিন ফিশারিজ এর জন্য ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান।
পরীক্ষার পদ্ধতি- নৈর্ব্যক্তিক
সময়- ৯০ মিনিট এবং পূর্ণমান ১০০।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি হয়েছে একটি মৌলিক অস্ত্র। বাংলাদেশ, যা একটি সমুদ্রমুখভূমি, এই পরিবর্তনের অগ্রগতি করতে উদ্দীপ্ত হয়েছে নিজেকে একটি উচ্চমান বৃদ্ধির দিকে। তবে, সমুদ্র সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার, এবং সমুদ্র বিজ্ঞানে গবেষণা এখনো অসম্পূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
বঙ্গোপসাগর, একটি অমূল্য সম্পদ যা আমাদের জীবনে অগ্রগতি এবং উন্নতির জন্য একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করতে পারে। তাতে মৎস্য সম্পদ এবং সমুদ্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি অবাহিত সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, সামুদ্রিক পরিবেশ এবং সমুদ্র সংরক্ষণের জন্য আমাদের দেশে গবেষণার প্রয়োজন। বিভিন্ন দিকে সমৃদ্ধ সংবাদ, সীমান্ত শোকে, এবং অসুপক্ষ সমুদ্র জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য আমাদের জানা অথচ সঠিক তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে।
দেশে সমুদ্র বিজ্ঞানে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে, এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তাই, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমুদ্র বিজ্ঞানে আগ্রহ উত্তরণ করতে উৎসাহিত করা জরুরি। এটি তাদের মেধা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে, এবং তাদেরকে একটি দক্ষ সমুদ্র বিজ্ঞানী হিসেবে তাদের দেশের জনসাধারণের উন্নতির দিকে একটি ভূমিকা রাখতে সক্ষম করতে পারে।
সমুদ্রবিজ্ঞান একটি বিশেষ ক্ষেত্র, যেখানে তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষণা মূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমুদ্র ও সমুদ্র উপকূলের জগতের মোড় আলোকে আসা হয়। এই ক্ষেত্রে কাজ করতে সমুদ্রে অথবা তার উপকূলে যেতে হয় না সেই ধরনের একটি ধারণা সৃষ্টি করতে হয় যে সব সমুদ্রবিজ্ঞানের কাজ শুধুমাত্র তলায় ঘুরতেই হয় না। বরং, এটি বহুধা মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়, যেমন স্যাটেলাইট ডেটা, মডেলিং এবং ল্যাবরেটরির পরীক্ষা সাধারণভাবে অভ্যন্তরীণ কাজ হতে পারে।
বাংলাদেশে সমুদ্রবিজ্ঞানে গবেষণা এবং শিক্ষা উন্নত করতে অনেকগুলি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলি এই ক্ষেত্রে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য অমূল্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (BORI) একটি অগ্রগতির গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা সমুদ্রবিজ্ঞান এবং সমুদ্র সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে।
সমুদ্রবিজ্ঞানের বিভিন্ন দিকে গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে এই ক্ষেত্রে আগ্রহী হতে উৎসাহিত করা জরুরি। এটি তাদের ক্যারিয়ার প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে পারে এবং তাদের সমৃদ্ধি এবং মেধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। এই পথে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং একটি কোর্সের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার এবং গবেষণা ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
সমুদ্রবিজ্ঞানে একজন শিক্ষার্থী তার মেধা এবং আগ্রহ ব্যবহার করে তার দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির দিকে একটি অমূল্য অবদান রাখতে সক্ষম।
আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য মানে আমরা কমবেশি সবাই বুঝি।হয়তো আজকের যে দালান বা যেকোনো শিল্প তৈরি হচ্ছে তা সবই স্থাপত্যের অবদান। কিন্তু নেভাল আর্কিটেকচার বা নৌ স্থাপত্য টা কী? নেভাল আর্কিটেকচার বা নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকৌশলবিদ্যার এমন এক শাখা যেখানে আলোচনা করা হয় বিভিন্ন ধরনের নৌযানের স্থাপত্য, শিল্প, অবকাঠামো তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে।
সহজ ভাষায়,ডিঙি নৌকা থেকে শুরু করে আমাদের নেভাল আর্কিটেক্টররা সমুদ্র ও নৌকাবিদ্যার বিভিন্ন দিকে কাজ করতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া, অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং এর অংশে অফশোর ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্বের মধ্যে থাকে একটি নেভি ভেসেল এর সঠিক ডিজাইন, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজ করা। এছাড়া, অফশোর ইঞ্জিনিয়ার মাধ্যমে খনিজ পানি থেকে মূল্যবান খনিজ উত্তীর্ণ করা হয় এবং এর সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাহায্য করে।
অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রটি বাংলায় উন্নত হতে চলেছে এবং এতে মেধা ও আগ্রহ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের একটি প্রস্তুত ও উন্নত জীবনের দিকে একটি উত্তরণা দেয় এবং এটির মাধ্যমে দেশের উন্নতি এবং সমৃদ্ধি হতে সহায়ক।
BSMRMU ভর্তির ফলাফল 10/2/2024 এর মধ্যে প্রকাশ করা হবে। অবশেষে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের 28 ফেব্রুয়ারি, 2024 এর মধ্যে ভর্তি হতে হবে
বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচী 2023-24: | |
BSMRMU আবেদনের শেষ তারিখ: | 24/12/2023 18/1/2024 (এবছর তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে, better luck next time) 2 ও 3/2/2024 10/2/2024 এর মধ্যে 11/2/2024 থেকে 28/2/2024 10 মার্চ, 2024 |
ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং আইসিটি।
পরীক্ষার পদ্ধতি- নৈর্ব্যক্তিক
সময়- ৯০ মিনিট এবং পূর্ণমান- ১০০ ।
একবার ভেবে দেখেছ এখানে কিন্তু তোমার একইসাথে একজন আর্কিটেক্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার দুটো হবারই সুযোগ থাকছে! তুমি হতে পারো
Naval Architect
Offshore Engineer
Drilling Engineer
Marine Engineer
Subsea Engineer
Production Engineer
Structural Engineer
Maintenance Engineer
Project Manager সহ আরো অনেক কিছু যা নির্ভর করে তোমার স্কিলের উপর। এই সাবজেক্টে পড়ানোই হয় এমনভাবে যাতে তুমি একজন দক্ষ নৌ প্রকৌশলী হওয়ার পাশাপাশি হতে পারো দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার।
এই সাবজেক্ট পৃথিবীর সে সকল সাবজেক্টগুলোর মধ্যে একটা যাতে এডভেঞ্চার আর রোমাঞ্চের কোনো শেষ নেই। ৪ বছরের কোর্সে নিয়মিত ফিল্ড ট্রিপ থেকে শুরু করে জাহাজে অবস্থান করা সবকিছুই করা হয়ে যাবে তোমার।
“যেহেতু এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই এটি বর্তমানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য খুব ই ভালো একটি সুযোগ হতে পারে।
এজন্য ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মূলত নিজ নিজ ইউনিটের সাব্জেক্ট গুলোর উপর সর্বোচ্চ পরিমাণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আর এরজন্য চর্চার বিকল্প নেই।”
শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের মেরিটাইম এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র্যাক্টিস থাকা জরুরি। এছাড়াও রাবি, চবি, ঢাবি ও জাবি এর প্রশ্নব্যাংক এর আগের বছরের প্রশ্ন প্র্যাক্টিস করা উচিত। এরজন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা অ্যাপ। মেরিটাইম ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রীম শুভকামনা জানাই।