
নাসিরাবাদ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালে, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ রিয়াজ উদ্দিন আহমাদ-এর হাত ধরে। এটি শুরুতে "ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ" নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে এর নাম পরিবর্তন করে "নাসিরাবাদ কলেজ" রাখা হয়। কলেজটি সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নতি লাভ করে—
১৯৫৬: উচ্চমাধ্যমিক কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ।
১৯৫৯: ডিগ্রি কলেজে উন্নীত হয়।
২০১০: অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষা চালু হয়।
বর্তমানে এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যতম সেরা কলেজগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ চলছে।
নাসিরাবাদ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে—
⭐ উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ
✔ বিজ্ঞান
✔ মানবিক
✔ ব্যবসায় শিক্ষা
✔ বিএ, বিবিএস, বিএসসি ও বিবিএ।
✔ বাংলা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, মনোবিজ্ঞান, গণিত।
✔ বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা।
ছবি সুত্রঃ নাসিরাবাদ কলেজ ওয়েবসাইট
📌 সেরা বিভাগসমূহ:
✔ হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা – বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য জনপ্রিয়।
✔ রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম – সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য আদর্শ।
✔ গণিত ও অর্থনীতি – উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য চমৎকার।
নাসিরাবাদ কলেজের ক্যাম্পাস প্রায় ৯.৬১ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে—
✔ আধুনিক লাইব্রেরি – হাজার হাজার বই ও গবেষণার উপকরণ।
✔ সায়েন্স ল্যাব – বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যাধুনিক ল্যাব সুবিধা।
✔ কম্পিউটার ল্যাব – প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত সুযোগ।
✔ ক্যান্টিন – সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা।
✔ খেলার মাঠ – ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনসহ নানা খেলাধুলার সুযোগ।
✔ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ – যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান।
নাসিরাবাদ কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ ও স্বচ্ছ।
📌 উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির নিয়ম:
অনলাইন আবেদন করতে হয় ।
এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি হয়ে থাকে।
📌 অনার্স ও মাস্টার্স ভর্তির নিয়ম:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হয়ে থাকে।
নির্দিষ্ট যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদন করা যায়।
নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য নাসিরাবাদ কলেজ একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক ও সামাজিক উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
নাসিরাবাদ কলেজ শুধু একাডেমিক শিক্ষার জন্য নয়, বরং সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্যও বিখ্যাত। এখানে রয়েছে—
🎗 রোভার স্কাউট – নেতৃত্ব ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ।
🎗 সাংস্কৃতিক ফোরাম – নাটক, গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।
🩸 বন্ধন (রক্তদান সংগঠন) – স্বেচ্ছায় রক্তদানের কার্যক্রম।
এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে এবং ভবিষ্যতে সফল হতে সাহায্য করে।
নাসিরাবাদ কলেজ থেকে অনেক কৃতি শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন।
🏆 অধ্যাপক যতীন সরকার – বাংলাদেশের স্বনামধন্য লেখক ও শিক্ষাবিদ।
🏆 অধ্যাপক গোলাম সামদানী কোরায়শী – স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ।
এছাড়াও, প্রতি বছর নাসিরাবাদ কলেজ থেকে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য মনোনীত হয়ে থাকে।
নাসিরাবাদ কলেজ শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি স্বপ্ন পূরণের স্থান। পড়াশোনার সঠিক চর্চা করার জন্য নাসিরাবাদ একটি আদর্শ কলেজ।
✅ উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা
✅ অনুকূল ক্যাম্পাস পরিবেশ
✅ দক্ষ শিক্ষক ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
✅ সহশিক্ষা কার্যক্রম ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন
তুমি যদি এমন একটি কলেজ খুঁজে থাকো যেখানে পড়াশোনা, ক্যাম্পাস জীবন এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি একসঙ্গে পাওয়া যায়, তাহলে নাসিরাবাদ কলেজই হতে পারে তোমার প্রথম পছন্দ!
📍 ঠিকানা: নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
🌐 ওয়েবসাইট: https://ncmym.edu.bd
📧ইমেইল:nasirabadcollege48@gmail.com
📞 ফোন: ০১৭১৩-২৬৬৮৭৭