উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে দেশ সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। মেধাবীদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটে চান্স পেতে হলে শিক্ষার্থীরা অন্যরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার পরের কয়েকটি মাস। এ সময়ের সঠিক প্রস্তুতি আর দিকনির্দেশনাই পাল্টে দিতে পারে তোমার জীবন। তাই বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পূর্বশর্ত হচ্ছে কঠোর অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
যে কারণে শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে কলেজের পড়াশোনা শেষে অ্যাডমিশনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার পূর্বশর্ত হচ্ছে কঠোর অধ্যবসায় আর পরিশ্রম।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রতিটি রচনামূলক প্রশ্নের জন্য গড়ে প্রায় ৩ মিনিট সময় পাওয়া যায়। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর করা প্রায় অসম্ভব। তাই যেসব প্রশ্নের সমাধান জানা আছে অথবা সমাধান করতে পারা যাবে বলে মনে হয় সেগুলোর আগে উত্তর করা উচিত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-২০২৫ঃ
ছবি সুত্র: বুয়েট ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে।
|
|
Time Schedule of Preliminary Test: |
|
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরিক্ষা পদ্ধতি
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন— এই তিন বিষয়ে ২০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। পরীক্ষায় প্রতি বিষয় থেকে ২০টি করে মোট ৬০টি প্রশ্ন আসে, যার প্রতিটির পূর্ণমান থাকে ১০ করে। আর সময় থাকে মোট ৩ ঘণ্টা।
তবে প্রতিবারই প্রশ্নপদ্ধতির কিছু পরিবর্তন আসে। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় থেকে প্রতিবার প্রশ্ন হয় না। তাই কমন বলে কোনো কিছু নেই। এই চিন্তা ভর্তিচ্ছুদের দূর করতে হবে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে তুমিও এই ভর্তিযুদ্ধে হতে পারো একজন বিজয়ী বীর। এসো জেনে নেয়া যাক বিষয়ভিত্তিক কৌশলগুলো।
মাধ্যমিক পরীক্ষার গণিত , পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের প্রথম ২০,০০০ জন প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে । এমসিকিউ পদ্ধতিতে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে ।
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | শিফট ১ | ক ও খ গ্রুপ | সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা |
শিফট ২ | ক ও খ গ্রুপ | বিকাল ৩ টা থেকে ৪ টা |
বিভাগ | বিষয় | পাঠ্যসূচী |
গ্রুপ কঃ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ গ্রুপ খঃ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ | গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন | ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচী |
গ্রুপ ক এবং গ্রুপ খ | প্রশ্নসংখ্যা | পূর্ণমান | সময় |
গণিত | ৩৪ | ১০০ | ৬০ |
পদার্থ বিজ্ঞান | ৩৩ | ||
রসায়ন | ৩৩ |
প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রথম ৬০০০ জন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন । মূল ভর্তি পরীক্ষায় কোন এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে না এবং সকল প্রশ্ন প্রচলিত লিখিত পদ্ধতিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ভর্তি কার্যক্রম
বুয়েটে ৫টি অনুষদের অধীনে মোট ১৮টি বিভাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রকৌশল অনুষদ
এই অনুষদের অধীনে কেমিকৌশল ,বস্ত্র ও ধাতব কৌশল, গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ এবং গ্লাস ও সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং এই সাতটি বিভাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল অনুষদ
এই অনুষদের অধীনে যন্ত্রকৌশল, নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল এবং ইন্ড্রাস্টিয়াল এ্ন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এই তিনটি বিভাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পুরকৌশল অনুষদ
পুরকৌশল ও পানিসম্পদ কৌশল এই দুটি বিভাগ রয়েছে এই অনুষদের অধীনে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল অনুষদ
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এই তিনটি বিভাগ রয়েছে এই অনুষদে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ
এই অনুষদের অধীনে স্থাপত্য, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা ও মানবিক বিভাগ রয়েছে।
বিভাগ | বিষয় | পাঠসূচী |
গ্রুপ কঃ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ | গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন | ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচী |
গ্রুপ খঃ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ | গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন | ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচী |
মুক্তহস্ত অংকন এবং দৃষ্টগত ও স্থানিক ধীশক্তি | উন্মুক্ত |
প্রশ্নের ধরণ ও নম্বরের বিন্যাস
মডিউল | গ্রুপ ক | গ্রুপ খ | প্রশ্নসংখ্যা | পূর্ণমান | সময় |
A | গণিত | গণিত | ১৪ | ৪০০ | ১২০ মিনিট |
পদার্থ বিজ্ঞান | পদার্থ বিজ্ঞান | ১৩ | |||
রসায়ন | রসায়ন | ১৩ | |||
B | _ | মুক্তহস্ত অংকন | ৩ | ২৫০ | ৯০ মিনিট |
দৃষ্টিগ ও স্থানিক ধীশক্তি | ৪ |
বিশেষ দ্রষ্টব্য
১) মূল ভর্তি পরীক্ষায় মডিউল A এবং মডিউল B এর প্রতিটি বিষয়ের সকল প্রশ্ন ও মূল্যাওয়ন প্রচলিত পদ্ধতিতে করা হবে।
২) মডিউল A এর প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০। মডিউল B এর মুক্তহস্ত অংকন সংক্রান্ত প্রতিটি প্রশ্নের মান ৭০, দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি সংক্রান্ত প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০।
৩) ভর্তি পরীক্ষার সময় কেবলমাত্র কলম, পেন্সিল, ইংরেজার, শার্পনার ও পরিশিষ্ট-ক অনুসারে অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
৪) মোবাইল ফোন ও ওয়াচ ফোনসহ যে কোন প্রকার ইলেকট্রনিক ও টেলিযোগাযোগ যন্ত্র, জ্যামিতি বক্স, পেন্সিল বক্স, স্কেল, সেট-স্কয়ার, কম্পাস ও কোন প্রকার ব্যাগ পরীক্ষা কক্ষে নিয়ে আসা যাবে না।
৫) সকল বিষয়ে নমুনা প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এ পাওয়া যাবে।
বিভাগের নাম | আসন সংখ্যা |
কেমিকৌশল বিভাগ | ১২০ |
বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ | ৬০ |
পুরাকৌশল বিভাগ | ১৯৫ |
পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগ | ৩০ |
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ | ১৮০ |
নৌ স্থাপত্য ও সামুদ্রিক প্রকৌশল বিভাগ | ৫৫ |
শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগ | ৩০ |
বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ | ১৯৫ |
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ | ১২০ |
বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ | ৩০ |
স্থাপত্য বিভাগ | ৫৫ |
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ | ৩০ |
মোট আসন সংখ্যা | ১২৭৫ |
Department of Architecture
ছবি সুত্রঃ wikimedia
আবেদন করার নিয়ম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রয়ােজনীয় তথ্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ােবসাইট (www.buet.ac.bd) এ পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্দেশনা মােতাবেক অনলাইনে আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে Submit করতে হবে। Submit করা শেষে একটি Application Serial No. প্রদান করা হবে এবং পরবর্তীতে এই নম্বরের বিপরীতে শিওরক্যাশ / রকেট / Bkash এর মাধ্যমে মােবাইল দিয়ে SMS এর মাধ্যমে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষাবাদ প্রদেয় ফি জমা দিতে হবে।
আপনি যদি যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেন, এখানে বুয়েটের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপে ধাপে ওভারভিউ রয়েছে:
1. আবেদন নিবন্ধন
প্রথমত, আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট আবেদনের সময়সীমার মধ্যে বুয়েট ভর্তি পোর্টালে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এটি অবশিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন পদক্ষেপগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনার ব্যবহারকারী প্রোফাইল তৈরি করে।
2. আবেদনপত্র পূরণ
আপনার প্রোফাইলে লগ ইন করুন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনলাইন বুয়েট আবেদন ফর্মের সমস্ত বিভাগ পূরণ করুন। আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ, একাডেমিক ইতিহাস, পরীক্ষার রোল নম্বর সঠিকভাবে ইনপুট করুন।
3. ডকুমেন্ট আপলোড
ফর্ম পূরণ করার পরে, আপনার পাসপোর্ট ফটো, এসএসসি/এইচএসসি শংসাপত্র, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিভাগ শংসাপত্রের মতো প্রয়োজনীয় নথিগুলির স্ক্যান করা কপি আপলোড করুন। নিশ্চিত করুন যে স্ক্যানগুলি পরিষ্কার এবং সুস্পষ্ট।
4. ফি প্রদান
ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং বা টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে বুয়েটে ভর্তির আবেদন ফি প্রদান করুন যা ক ইউনিটের জন্য প্রায় ১০০০ টাকা এবং খ ইউনিটের জন্য ১২০০। পেমেন্ট রসিদ সংরক্ষণ করুন.
5. প্রিন্ট অ্যাপ্লিকেশন
অবশেষে, ফি প্রদানের রসিদ সহ আপনার পূরণ করা বুয়েটে ভর্তির আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন। ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার জন্য এটি নিরাপদে সংরক্ষণ করুন।
6. আবেদন জমা
সমস্ত বিবরণ এবং নথি সঠিক কিনা তা দুবার চেক করুন। বন্ধের সময়সীমার আগে আপনার বুয়েটে ভর্তির আবেদন জমা দিন। দেরী আবেদন গ্রহণ করা হয় না.
এই মূল পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করলে আপনার আবেদন ত্রুটিমুক্ত এবং বুয়েট 2024-25. ভর্তি বিবেচনার জন্য সময়মত জমা দেওয়া নিশ্চিত করে।
আবেদন ফী জমাঃ
বুয়েটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের একটি আবেদন ফি দিতে হবে। বুয়েটে ভর্তির ফি পরিশোধ করার তিনটি উপায় রয়েছে: রকেটের মাধ্যমে, সোনালী বিল/নগদ/বিকাশ/রকেট অ্যাপ/নেক্সাস পে, অথবা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সিমের মাধ্যমে।
ইউনিট | বিভাগসমূহ | আবেদন ফী |
---|---|---|
ক | প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ | ৮০০/- টাকা |
খ | প্রকৌশল বিভাগ, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা (URP) বিভাগ, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা বিভাগ | ১০০০/- টাকা |
রকেট দ্বারা:
আপনার রকেট একাউন্ট যুক্ত মোবাইল ফোন থেকে *322# ডায়াল করুন।
পেমেন্ট বিকল্পের জন্য 1 নির্বাচন করুন।
বিল পরিশোধের জন্য 1 টিপুন।
বুয়েটের বিলার আইডি হিসাবে 292 প্রদান করুন।
বিল নম্বর হিসাবে আপনার আবেদন ক্রমিক নম্বর লিখুন।
আপনার আবেদন ফি পরিমাণ (BDT 800 বা BDT 1000) লিখুন।
আপনার পিন নম্বর লিখুন এবং পেমেন্ট নিশ্চিত করুন।
By Sonali Bill/Nagad/bKash/Rocket App/Nexus Pay:
আপনি যে পেমেন্ট মিডিয়া ব্যবহার করতে চান তাতে ক্লিক করুন।
আপনার বুয়েটের আবেদন ফি প্রদান করতে পৃষ্ঠার নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সিম দ্বারা:
নিম্নলিখিত বিন্যাসে 16222 নম্বরে একটি এসএমএস পাঠান: বুয়েট <স্পেস> আবেদন নম্বর (আবেদনকারীদের 6 সংখ্যার আবেদন নম্বর)
যেমন: বুয়েট<স্পেস>987654
এই এসএমএসটি সফলভাবে পাঠানো হলে, আপনি আবেদনকারীর নাম, আবেদনের ফি-এর পরিমাণ এবং একটি 6-সংখ্যার পিন কোড উল্লেখ করে একটি ফিরতি SMS পাবেন।
আপনি যদি আবেদন ফি দিতে সম্মত হন, তাহলে নিম্নলিখিত বিন্যাসে 16222 নম্বরে একটি এসএমএস পাঠান: BUET
আপনার মোবাইল ফোনে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলে, আবেদন ফি আপনার ব্যালেন্স থেকে কেটে নেওয়া হবে, এবং আপনাকে একটি নিশ্চিতকরণ SMS দ্বারা অবহিত করা হবে।
এসএসসি: আবেদনকারীকে বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বাের্ড/মাদ্রাসা শিক্ষা বাের্ড/ কারিগরি শিক্ষা বাের্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে।
এইচএসসি: প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বাের্ড/ মাদ্রাসা শিক্ষা বাের্ড/কারিগরি শিক্ষা বাের্ড থেকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন তিনটি বিষয়ে মােট ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৭০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমানের পরীক্ষায় পাস অথবা বিদেশী শিক্ষা বাের্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।
তবে আবেদনকারীদের ভিতর থেকে প্রথম ২০০০০ জন কে প্রাথমিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হবে।
Civil Engineering Building
ছবি সুত্রঃ wikimedia
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তুমি থিওরিগুলো কতটুকু ভালোভাবে বুঝেছ এবং সেগুলো কিভাবে কাজে লাগাচ্ছ। মূলত এই স্বল্পসময়ে থিওরি মুখস্থ করার দরকার নেই, প্রয়োজন সেগুলো কাজে লাগানোর। আমাদের বইগুলোতে কিছু নির্দিষ্ট প্রমাণের জন্য আলাদা করে কিছু সূত্র রয়েছে। তোমার কাজ হচ্ছে শুধু সেই সূত্রগুলো কোন প্রেক্ষিতে আসছে, সেটা ভালোভাবে আয়ত্ত করা। মনে রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা কখনোই একসূত্রের অংক আসে না। তোমাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেগুলো সমাধান করে উত্তর বের করতে হবে। এজন্য সমস্যাগুলো যেমন বুঝতে হবে, সাথে বুয়েট প্রশ্নব্যাংক থেকে চর্চাও করে যেতে হবে।
সাধারণত ১ম পত্রে অংক বেশি করে দেয়া থাকে, ২য় পত্রে থিওরি বেশি থাকে। শাহজাহান তপন স্যারের বই এবং ইসহাক স্যারের বইয়ের সমাধানের অংকগুলো অবশ্যই ভালো করে করতে হবে। কারণ দেখা গেছে, এই বইগুলোতে করে দেয়া অংকগুলো এইচএসসির যেকোনো বইয়ের মাঝেই ঘুরে ফিরে করে দেয়া আছে। আর পরীক্ষায় অনেক সময় এই অংকগুলো হুবহু চলে আসে শুধু মান আলাদা থাকে। আর এই সময়ে যে জিনিসটা বুঝতে পারছ না,অবশ্যই যে জানে তার কাছ থেকে বুঝিয়ে নেবে। অংকগুলোর উত্তর বিভিন্ন এককে রূপান্তর করার বিষয়গুলো এখন থেকেই ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। কেননা একই অংকের ভিন্ন এককে মান আলাদা হয়ে থাকে। আর একটা বিষয় মাথায় রাখবে, অনেক বড় লেখার অংক দেখে ঘাবড়ে যেও না। কারণ অপেক্ষাকৃত সেই অংকগুলোই বেশি সহজ হয়ে থাকে। তবে তুমি কোনো কিছু সম্পূর্ণ না পারলেও সূত্র জেনে থাকলে লিখে দিয়ে আসবে।
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় রসায়ন প্রস্তুতি
রসায়ন হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষায় তোমাকে এগিয়ে দেয়ার অন্যতম এক হাতিয়ার। অনেকেই ভাবছ এটা কিভাবে সম্ভব? আসলেই তাই। একটু মাথা খাটিয়ে পড়লেই তুমি রসায়নে ভালো করবে-এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। রসায়নের দুই পেপারেই ১ম এবং ৫ম অধ্যায়ের পড়াগুলো প্রায় একইভাবে পড়তে হয়। এখানে বেশিরভাগই জ্ঞাননির্ভর প্রশ্ন থাকে। তাহলে ১০ নাম্বারের প্রশ্নে সেগুলো কিভাবে আসবে? আমাদের যেমন ৪টি আলাদা আলাদা বস্তুর pH লিখতে বলা হয়েছিল। আবার কোন রাসায়নিক বস্তু কিভাবে তৈরি হয় সেটার উপাদানসহ লিখতে বলা হয়েছিল। তাই খুব ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। ১ম পত্রে বেশিরভাগ হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্যভিত্তিক আচরণ মনে রাখা। এই বৈশিষ্ট্যগুলো খুব ভালো করে আত্তস্থ করতে হবে। বারবার লিখে মনে রাখতে হবে। রাসায়নিক সমীকরণ, বিভিন্ন মৌল,যৌগের সংকেত,তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২য় পত্রে জৈবযৌগের প্রতি ভীতি রয়েছে অনেকেরই। তবে চিন্তা নেই। এখনো অনেক সময় হাতে আছে। এখন থেকেই নোট করে পড়া শুরু করতে হবে। কোন যৌগ থেকে অন্য যৌগ উৎপন্ন হয়, কোন অবস্থায় এক যৌগের পরিবর্তে অন্য যৌগ তৈরি হয়, কোন যৌগের সাথে অন্য যৌগের কি বিক্রিয়া হয় এবং সেই যৌগ থেকে আর কি কি উৎপাদ পাওয়া যায়, বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগের রাসায়নিক গঠন,নাম বিক্রিয়া ইত্যাদি তুমি নোট করে পড়ার অভ্যাস রাখলে পরীক্ষার আগে চোখ বুলিয়ে নিলেই হবে। এরপর তোমাকে কিছু অঙ্ক করতে হবে রসায়নের। যেমন তরঙ্গদৈঘ্যের, pH বের করার,রাসায়নিক সাম্যাবস্থার আরো বেশ কিছু। সেক্ষেত্রে সূত্র মনে রাখলেই হয়, বেশি কঠিন আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত প্রস্তুতি
গণিত বিষয়টা সবটুকু তোমার চর্চার উপর নির্ভর করে। চর্চা ছাড়া এখানে ভালো করার অবকাশ নেই। অংক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বই থেকেই আসে। তাই ঘাবড়ে যেও না। এখন প্রশ্ন হলো কোন বই থেকে? তুমি যদি এস ইউ আহমেদ স্যারের বইয়ের অংক করে থাকো, তাহলেও ঠিক আছে আবার যদি কেতাব স্যার বা বোর্ডের অনুমতিপ্রাপ্ত অন্য বইয়ের অংক করে থাকো তাহলেও কোনো সমস্যা নাই। অংক বোর্ড প্রদত্ত বই থেকেই হয়ে থাকে। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে পারো যে, কেতাব স্যারের বইয়ে কিছু বেশি নিয়মের অংক করে দেয়া আছে, যেগুলো মাঝে মাঝে খুব উপকার দেয়।
এই স্বপ্নটা সত্য করতে হলে তোমাকে কিছু বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে।
আমার প্রথম কথা হল হতাশা ত্যাগ করতে হবে ৷
হতাশ থাকার কারনে অনেক কিছুই হারিয়ে যায় জীবন থেকে কিন্তু আমরা তা বুঝি না ৷
কেমন ধরনের হতাশা
আচ্ছা আমরা কি ভাবি না যে বুয়েটে চান্স পাওয়া কি এত সোজা ৷ওটা ভাল স্টুডেন্টের কারখানা ,আমার দ্বারা হবে না ৷ওখানে কত স্টুডেন্ট পরীক্ষা দিবে কিন্তু নিবে মাত্র 1050 জন আমার দ্বারা হবে না ৷ ইত্যাদি ইত্যাদি আসলে এই ভাবনা গুলি আমাদের শেষে বলে পড়ালেখা দিয়ে কি হবে তোর দ্বারা হবে না ৷
এসব ত্যাগ করতে হবে ৷
কোচিং সমস্যা
আর কোচিং টাইমে অনেকের কোচিং নিয়ে মাথা ব্যাথা থাকে অনেকে ভাবে ঐ কোচিং এ পড়ে আমার মনে হয় ভাল হত ৷ এই ভাবনা বাদ দিতে হবে ৷ কারন বুয়েট তো আর কোচিং দেখে নিবে না ৷ বুয়েট তোমার মেধা দেখে নিবে ৷ আর মেধা তোমার একান্ত নিজস্ব ৷ 2 বছর পড়ার পর HSC দিবে ৷ আর মাত্র 3/4 মাস কেচিং করে অ্যাডমিশন দিবে ৷ কথা হল এই তিন মাসে কি 2 বছরের সব ক্লিয়ার করা সম্ভব! তাই এই 2 বছরের পড়াটাই সব ৷ কোচিং তোমাকে শুধু পথ দেখিয়ে দিবে ৷ বড় ভায়েরা কেচিং এ দেখাবে কি করে স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে হয় তা ছাড়া আর কিছু নয় ৷
আমি নিজে ইন্জিনিয়ারিং এর জন্য কোন কোচিং করি নাই ৷ তার পরও বুয়েটে চান্স হয়েছে ৷ তাই ইন্জিনিয়ারিং কোচিং এ কি হয় তা নিয়ে আমার বেশি কিছু জানা নেই ৷ তবে কোচিং করা লাগে এটা একটা নিয়মের মধ্যে পড়ে গেছে ৷
উদ্দেশ্যহীন পড়ালেখা
আচ্ছা আমরা অনেকে খুব পড়ালেখা করলাম তারপরো হলো না কিছুতেই এর কারন কি ? কারন পড়াটা ছিল কিন্তু কেন পড়ালেখা করছি সেটাই জানি না এই কারনে ৷ পড়ার উদ্দেশ্য কি তাও জানতে হবে ৷ উদ্দেশ্যহীন ভাবে পড়ালেখে করলে কিছুই হয় না ৷এটা আমি নিজে উপলব্ধি করেছি।
কত সময় পড়তে হবে
কত সময় পড়তে হবে অ্যাডমিশন টাইমে ৷ এটা সবার কমন প্রশ্ন ৷আচ্ছা তুমি ভাব একজন সাইকেলে আরেক জন বাসে করে নড়াইল থেকে যশোর এ যাচ্ছে ৷ কে আগে পৌছাবে নিশ্চই বাসে যাওয়া ব্যাক্তি ৷ কিন্তু সাইকেলে যাওয়া ব্যাক্তিও কিন্তু যশোর গিয়ে পৌছাবে এক সময় ৷তবে তার সময় বেশি লাগবে এই আর কি ৷ ঠিক তেমনি তুলনা করে সব হয় না ৷
তোমার নিজেকে বুঝতে হবে ঠিক কত সময় দিলে তুমি পারবে ৷
হতাশার অন্য রূপ
স্কুল কলেজে পেছনে পড়ে থাকা এটা নিয়ে অনেকে চিন্তিত থাকি ৷ সব কিছু করার পরও ভাবি এটা বোধ হয় ঐ প্রথম সারির জন্য আমার জন্য নয় ৷এটা ত্যাগ করতে হবে ৷
কনফিডেন্স
কনফিডকনফিডেন্স থাকা ভাল কিন্তু অভার কনফিডেন্স ভাল না ৷ হ্যা আমার দ্বারা এটা হতে হতে পারে ৷ এটা হল কনফিডেন্ট ৷ এটা না থাকলে হবে না ৷
আমার হবে নাতো কার হবে ৷ এটা অভার কনফিডেন্ট ৷ এটা না থাকাই ভাল ৷
কারন তোমার থেকে কেই না কেউ উপরে আছেই ৷এটা তোমাকে ধ্বংসও করে দিতে পারে।
ডাক্তার vs ইঞ্জিনিয়ার
দুই নৌকাতে পা না দেওয়া ভাল ৷ যেমন ধর ইঞ্জিনিয়ার আবার ডাক্তার দুই টাই হতে চাও ৷ দুই কোচিং এক সাথে চালাচ্ছ ৷ এতে করে তোমার দুই স্বপ্ন মাটি হবার সম্ভবনা আছে ৷বেশিরভাগ ক্ষেত্রই এমন হয়।পরে দেখা যায় নরমাল ভার্সিটিও কপালে নেই। তবে অনেকেই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার দুটোই হবার সুযোগ পাই ৷তবে তাদের সংখ্যা খুব কম ৷
১. পড়তে হবে মনোযোগ দিয়ে
যতটুকু পড়বে, মনোযোগসহকারে পড়বে। সারা দিন পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। কবে কোন বিষয়টা পড়বে, শুরুতেই সেটার একটা রুটিন করে নেওয়া ভালো।
২. প্রশ্নপদ্ধতি এবং মানবণ্টন সম্বন্ধে ধারণা
সিলেবাস এক হলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরনে বেশ পার্থক্য আছে। প্রশ্নপদ্ধতি, মানবণ্টন, সময় ইত্যাদি সম্বন্ধে একটা স্বচ্ছ ধারণা রেখে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
৩. চোখ রাখো বিগত বছরের প্রশ্নে
বিগত বছরের বুয়েট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো অবশ্যই শুরু থেকে সমাধান করা উচিত। পুরোনো প্রশ্নগুলো দেখলে যেমন প্রশ্ন সম্পর্কে একটা ধারণা হবে, তেমনি প্রস্তুতির ফাঁকফোকরগুলোও ধরা পড়বে।
৪. পদার্থবিজ্ঞানে বেশ কিছু বই দরকার
পদার্থবিজ্ঞানের অঙ্কগুলো যেকোনো একটা বই থেকে না করে কয়েকটা বইয়ের সব অঙ্ক করতে পারলে ভালো। সূত্রের প্রমাণগুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে।
৫. গণিতে চাই চর্চা
গণিতের ক্ষেত্রে একের অধিক বই অনুসরণ না করে যেকোনো একটা বই অনুসরণ করে সব অঙ্ক করে ফেলো। যে অঙ্কগুলো তুমি পারো, সেগুলোও বারবার চর্চা করতে হবে। গণিতে ভালো করতে হলে চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
৬. লিখে পড়ো রসায়ন
গণিতের মতো রসায়নেও যেকোনো একটা বই ভালোমতো অনুসরণ করা উচিত। বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোর নিচে দাগ দিয়ে রাখবে। আর লিখে লিখে পড়লে মনে থাকে সব থেকে বেশি। চাইলে অন্যান্য বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোও নোট করে রাখতে পারো।
৭. নিজের ‘স্টাইলে’ পড়ো
তুমি কোন বিষয়টা ভালো পারো আর কোনটা পারো না, কীভাবে পড়লে পড়া বুঝতে সুবিধা হয়—এসব তুমিই ভালো জানো। কোচিং কিংবা মডেল টেস্টের ওপর বেশি গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে সময় দাও। নিজেই নিজের ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করো, নিজেই নিজের পরীক্ষা নাও।
৮. সবার আগে সুস্থ থাকা
সামনের চার মাস সুস্থ থেকে পড়াশোনা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। অসুস্থ হয়ে দুইটা দিন নষ্ট করা মানেও অনেক বড় ক্ষতি। তাই অবশ্যই শরীরের প্রতি যত্ন নেবে। খাওয়া-ঘুম বাদ দিয়ে পড়তে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেয়ো না।
৯. বইয়ের সহায়ক ইন্টারনেট
বইয়ে সব বিষয় বিশদভাবে বলা থাকে না। কিছু বিষয় পুরোনো বই থেকে পড়ে নিতে হবে। চাইলে ইন্টারনেট থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারো। ইউটিউবে কিছু ভিডিও পাবে, যেখানে সহজ করে অনেক জটিল জিনিসও বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বই পড়তে পড়তে একঘেয়ে লাগলে সেগুলোও দেখতে পারো।
১০. আত্মবিশ্বাসী হতে হবে
সত্যি বলতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো এমন হয় যে জানা জিনিসগুলোও অনেক সময় গুলিয়ে যায়। তাই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে বারবার প্রশ্নটা পড়তে হবে, দেখবে উত্তরটা ঠিকই মাথায় আসবে। নিজের ওপর আস্থা রেখো।
বেশি পড়ার কুফল
যতটুকু পড়তে মন চাইবে ততো টুকুই পড়া ভাল । বেশি পড়ে আতেলের খাতাই নিজের নাম না লেখানো ভাল । কারন মন না থাকলে বেশি পড়ে লাভ নাই ৷
আমি যা যা বললাম এটা করলেই চান্স হয়ে যাবে এটা ভাবা নিতান্ত বোকামি ছাড়া আর কিছু না । এটা শুধু দেখিয়ে দেওয়া কিছু পথ ।
বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়ার যেমন অনেক পথ আছে ঠিক তেমনই স্বপ্ন বাস্তব করার অনেক পথ আছে । সবটাই একান্ত নিজস্ব ব্যাপার ।
আর একটা কাজ সব সময় করতে হবে । খোদার প্রতি আস্থা রাখতে হবে ।
এত কিছু করার পরও যদি না হয় তাহলে বুঝবে তোমার কপালে এটা নেই ।
আরও কিছু টিপস:
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নের নিচেই করতে হয় এবং তার জন্য খুব সীমিত জায়গা বরাদ্দ থাকে। ফলে প্রশ্নের উত্তর যথাসম্ভব সংক্ষেপে করাই শ্রেয় এবং ভাষার বাহুল্য প্রয়োগ একেবারেই করা উচিত নয়। শুরু থেকেই তিনটি বিষয়ের জন্য আলাদা খাতা নিয়ে নাও। প্র্যাকটিস খাতা। ব্যতিক্রমী অঙ্কগুলো আলাদা করে তুলে রেখে বারবার চর্চা করো।
প্রতিটি চ্যাপ্টার শেষে প্রশ্নব্যাংক সমাধান করে ফেলবে। মূল বইকে প্রাধান্য দিয়ে আগে শেষ করো। তারপর সহায়ক বই হিসেবে অন্যান্য বইগুলো দেখতে পারো। যে অঙ্কই করো না কেন, সব খাতায় লিখে বারবার প্র্যাকটিস করো। যেকোনো এক লেখকের বই সম্পূর্ণ শেষ করে তারপর ভিন্ন লেখকের বইয়ের অপরিচিত অঙ্কগুলো করা ভালো হবে।
বিশেষ সতর্কতা: একটা কথা মনে রেখো সবাই। স্বপ্ন কখনোই কিনতে পাওয়া যায় না। ১০০ টাকার একটা সাজেশন তোমার কাছে অনেক ভালো লাগবে, অস্থির লাগবে। কিন্তু সেটা তোমার স্বপ্ন কিনে দিবে না। মূল কাজ তোমারই!! সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র্যাক্টিস থাকা জরুরি। এছাড়াও রুয়েট প্রশ্নব্যাংক, কুয়েট প্রশ্নব্যাংক, চুয়েট প্রশ্নব্যাংক দেখে রাখলে অনেক সময় উপকারে আসে যা পরবর্তী পরিক্ষাতেও কাজে লাগে। এছাড়াও আইউটি প্রশ্নব্যাংক, বুটেক্স প্রশ্নব্যাংক, এমআইএসটি প্রশ্নব্যাংক দেখলেও অনেক সময় কাজে লাগে।
আরেকটা জরুরি কথা, বুয়েটের জন্য প্রস্তুতি অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতিতেও কাজে লাগে। তোমাদের জন্য শুভকামনা।