
✦ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, ইতিহাস ও পরিচিতিঃ
[•] সময়টা ১৯৩৮ সাল। মুন্সীগঞ্জের এক বিশিষ্ট সমাজসেবক আশুতোষ গাঙ্গুলী তার পিতা হরনাথ গাঙ্গুলী ও মাতা গঙ্গাশ্বরী দেবীর নামে একটি শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। পিতামাতার প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর শিক্ষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই জন্ম নেয় "হরগঙ্গা কলেজ"।
[•] ১৮ ডিসেম্বর ১৯৩৮, এক ঐতিহাসিক দিনে, তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটি ছিল শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার এক দৃঢ় সংকল্পের প্রতিচিত্র।
[•] ১৯৩৯ সালে কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এবং প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিরেন্দ্র মুখার্জী। উল্লেখ্য, তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সমসাময়িক ব্যক্তি।
[•] বর্তমানে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ১০.৭২ একর জমির উপর দাঁড়িয়ে ৭,৭০০+ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসন এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।
✦সরকারি হরগঙ্গা কলেজ: উন্নয়নের ধারায় এক উজ্জ্বল যাত্রাঃ
[•] মুন্সীগঞ্জের বুকে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি এক ঐতিহ্যের স্মারক যা মুন্সীগঞ্জসহ পুরো দেশের শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।
[•] সময়ের পরিক্রমায় এটি উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, আর আজও এটি জ্ঞানের দীপ্ত শিখা প্রজ্বলিত করে চলেছে। শিক্ষা, অবকাঠামো, গবেষণা, ও সংস্কৃতির সংমিশ্রণে এটি পরিণত হচ্ছে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে একটি।
ছবি সুত্রঃ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ওয়েবসাইট
✦১৯৩৮-১৯৮০: এক স্বপ্ন থেকে বাস্তবায়নঃ
→ ১৯৩৮: আশুতোষ গাঙ্গুলী কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন, যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক।
→ ১৯৩৯: আনুষ্ঠানিক পাঠদান শুরু হয়, যা মুন্সীগঞ্জে উচ্চশিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচন করে।
→ ১৯৪১: প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে গ্রন্থাগারে মার্বেল পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হয়।
→ ১৯৪২: কলেজে নির্মিত হয় এক আধুনিক অডিটোরিয়াম – "আশুতোষ হল"।
→ ১৯৬২: কলেজ চত্বরে মসজিদ ও ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হয়।
→ ১৯৬৬: সরকারি অনুদানে কলেজের মূল ফটকের বিপরীতে অধ্যক্ষের বাসভবন নির্মিত হয় তৎকালীন অধ্যক্ষ জি. এম. এ মান্নান এর তত্ত্বাবধানে।
→ ১৯৮০: কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়, যা এক নতুন যুগের সূচনা করে।
✦১৯৮০-২০২৫(সরকারিকরণ পরবর্তী সময়): আধুনিকায়নের পথে বিরামহীন উন্নতিঃ
[•] একাডেমিক উন্নয়ন:
কলেজে স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) প্রোগ্রাম চালু করা হয়, যা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করে। বর্তমানে ১৭টি বিভাগে উচ্চশিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য শাখা অন্তর্ভুক্ত। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও গবেষণা সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
[•] অবকাঠামোগত উন্নয়ন:
"শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান" নামে চারতলা, "শেখ রাসেল" নামে পাচঁতলা বিশিষ্ট দুটি ছাত্রাবাস যথাক্রমে ১৯৯৫ ও ২০২৩ এবং ছাত্রীদের জন্য চারতলা বিশিষ্ট "তাপসী রাবেয়া বসরী ছাত্রীনিবাস" ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেনো দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে।
এছাড়াও পরবর্তী নানা সময়ে ত্রিতল "বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবন", " স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ভবন", "নিজাম উদ্দিন একাডেমিক ভবন", ডিগ্রি ভবন, অনার্স ভবন, জামে মসজিদ, দশতলা বিশিষ্ট আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ভবনসহ একাদিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মাধ্যমে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হয়ে থাকে।
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে আধুনিক গ্রন্থাগার ও গবেষণা ব্যবস্থা প্রসারিত করা হচ্ছে। হাজার হাজার বইয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা ও ডিজিটাল লাইব্রেরি সুবিধা, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।
✦পড়াশোনার মানঃ
[•] ২০০২-২০০৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক শ্রেণিতে কম্পিউটার শিক্ষা বিষয় চালু করা হয়েছে। কলেজটিতে ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয় এবং ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি, সমাজকর্ম, রসায়ন, প্রাণিবিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়। ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ইংরেজি, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়। পরবর্তীকালে ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষে সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সে চালু করা হয়। এছাড়া ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন ও গণিত বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়। বর্তমানে কলেজটিতে চৌদ্দটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং সাতটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন এর সুবিধা রয়েছে।
[•] সরকারি হরগঙ্গা কলেজ পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রেও ধারাবাহিক সফলতা প্রদর্শন করে আসছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় প্রতি বছরই জিপিএ-৫ এর দিক থেকে জেলার শীর্ষস্থান অর্জন করে হরগঙ্গা কলেজ। এছাড়াও প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষায় দেশের স্বনামধন্য মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক ভার্সিটি গুলোতে স্থান অর্জনেও জেলার শীর্ষস্থানে রয়েছে কলেজটি।
[•] সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট কয়েকজন শিক্ষক ও অধ্যাপক (১৯৩৯-২০২৫):
শ্রী বিরেন্দ্র মুখার্জী, আযীম উদ্দিন আহমেদ, জি. এ. মান্নান, জীতেন্দ্র লাল বড়ুয়া, আয়েশা শিরিন, মেহেরুন নেসা, মোহিউদ্দিন মিয়াজী, মোজাম্মেল হক, মুন্সী সিরাজুল হক সহ আরো অনেকে।
✦ক্যাম্পাস জীবন, সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশঃ
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ক্যাম্পাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ। সুবিশাল সবুজ চত্বর, মুক্ত পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মনকে সতেজ রাখে এবং মানসিক ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। ক্যাম্পাসজুড়ে রয়েছে বৃহৎ খেলার মাঠ, ব্যাডমিন্টন ও ভলিবল কোর্ট। ক্যাম্পাসের মধ্যে স্থাপিত সুবিশাল শহিদ মিনাড় ও স্মৃতি সৌধ এর সৌন্দর্য আরো সমৃদ্ধ করেছে। ক্যাম্পাসে মসজিদ ও মন্দির ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা চর্চার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে।কলেজটির বিশাল একাডেমিক ভবন, উন্নত শ্রেণিকক্ষ, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, বিজ্ঞান গবেষণাগার, কম্পিউটার ল্যাব জ্ঞান অর্জন ও গবেষণার জন্য আদর্শ পরিবেশ সরবরাহ করে। ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে থাকা-খাওয়ার সুব্যাবস্থা রয়েছে। এছাড়াও, কলেজের শৃঙ্খলাবদ্ধ ও নিরাপদ পরিবেশ, দক্ষ প্রশাসন ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী শিক্ষার্থীদের সাফল্যের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।
✦ভর্তির নিয়মাবলিঃ
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির জন্য আপাতত কলেজটি তে কোনো ভর্তি পরিক্ষা নেওয়া হয় না। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদন নেওয়া হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে মেধাবীদের ভর্তি সুজোগ দেওয়া হয়।
কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত হওয়ায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।
✦সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমঃ
হরগঙ্গা কলেজে বিভিন্ন ধরনের ক্লাব, খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা রয়েছে। এগুলির মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো:
[•] ক্লাব:
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, ফটোগ্রাফি ক্লাব, কম্পিউটার ক্লাব, পরিবেশ ক্লাব, সঙ্গীতচক্র, নৃত্যগোষ্ঠী, অভিনয় ক্লাব ইত্যাদি।
এছাড়াও রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসি -র সক্রিয় কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।
[•] খেলাধুলা:
ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, স্প্রিন্ট ও ম্যারাথনসহ বিভিন্ন বার্ষিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়৷ এছাড়াও পৃথক পৃথক খেলার জন্য কলেজের প্রথক পৃথক দল ও রয়েছে। যারা জাতীয় পর্যায়ে কলেজের হয়ে নানা সফলতা অর্জন করেছেন।
[•] প্রতিযোগিতা:
→ বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান - সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক,ইত্যাদি প্রতিযোগিতা।
→ইসলামিক প্রতিযোগিতা - গজল, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি।
→ বিজ্ঞান মেলা - বিজ্ঞান প্রজেক্ট ও উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা।
→ বিতর্ক প্রতিযোগিতা - আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
→ কুইজ প্রতিযোগিতা - সাধারণ জ্ঞান ও বিষয়ভিত্তিক কুইজ।
→আর্ট ও ফটোগ্রাফি - চিত্রাঙ্কন ও ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী।
ইত্যাদি।
এছাড়াও বছরজুড়ে পিঠা উৎসব, বসন্তবরন, তারুণ্যের মেলা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই ক্লাব, খেলাধুলা, প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমূহ ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীলতা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
✦সফলতাঃ
সরকারি হরগঙ্গা কলেজের গর্বিত ও সফল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা হলেন:
→ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ: সুপরিচিত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও সাবেক রাষ্ট্রপতি।
→দানেশ মিয়া: বাংলাদেশের একজন উল্লেখযোগ্য সমাজসেবক। সমাজসেবায় যার অবদান অত্যন্ত ব্যাপক।
→ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী: বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, যিনি মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
→আব্দুল হাই: মুন্সীগঞ্জের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, যিনি মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
→আমিনুল ইসলাম: বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, যিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
→আমিনুদ্দিন সরকার: যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
→এ কে রফিকুল ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
→সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: লেখক ও অধ্যাপক।
→আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: অধ্যাপক ও সাহিত্যিক।
→মমতাজ উদ্দীন আহমেদ: নাট্যকার ও অভিনেতা।
এছাড়াও হরগঙ্গা কলেজের আরো বহু প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে স্ব স্ব প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন।
সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সফল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে: গুণগত শিক্ষা, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, নিরাপদ ক্যাম্পাস, শান্তিপূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পেশাগত প্রস্তুতি।
প্রতিষ্ঠার শুরুতে যা ছিল শুধু একটি স্বপ্ন, আজ তা এক বাস্তবতা! এই অগ্রযাত্রা থামবে না! শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো, আরও গবেষণা সুবিধা বৃদ্ধি, স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তোলা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করা—এসব লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ।
✨ শুরুটা ছিল এক স্বপ্নের, পথচলাটা হলো এক ইতিহাসের, আর ভবিষ্যৎ? সেটি গড়ে উঠবে আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাত ধরে! যারা নিজস্ব প্রতিভার আলোয় আলোকিত করবে “সরকারি হরগঙ্গা কলেজের” নাম।