ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও গৌরবময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল দেশের গণজাগরণের কেন্দ্রবিন্দু। এসব কারণেই দেশের সব প্রজন্মের কাছেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আলাদা মর্যাদার স্থান দখল করে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের মধ্যে খ ইউনিট বা B ইউনিট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ, গবেষক, এবং পেশাজীবীদের তৈরি করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবি খ ইউনিটের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ এক বিশেষ স্বপ্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে বেশ কয়েকটি অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়া যায়। খ ইউনিটের অধীনে অন্তর্ভুক্ত অনুষদসমূহ হলো:
1. কলা অনুষদ:
কলা অনুষদে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, ইতিহাস, দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এই অনুষদটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
2. সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ:
অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজবিজ্ঞানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।
3. আইন অনুষদ:
আইন অনুষদটি দেশের শীর্ষ আইনবিদ ও বিচারকদের তৈরি করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
4. সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট:
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটটি সমাজের দুর্বল ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর কল্যাণে গবেষণা এবং কার্যক্রম পরিচালনা করে।
5. স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট:
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটটি দেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্থনৈতিক দিক নিয়ে গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করে।
6. শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট:
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
7. ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারাবিলিটি স্টাডিজ:
এই ইনস্টিটিউটটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা এবং ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
8. আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট:
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটটি বিদেশি ভাষার ওপর বিশেষায়িত কোর্স পরিচালনা করে, যা বিশ্বায়নের যুগে শিক্ষার্থীদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হয়।
বাংলা ইংরেজি আরবি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য উর্দু সংস্কৃত পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ ইতিহাস দর্শন | ইসলামিক স্টাডিজ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ ভাষাবিজ্ঞান সঙ্গীত বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি নৃত্যকলা |
অর্থনীতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সমাজবিজ্ঞান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা লোক প্রশাসন নৃবিজ্ঞান পপুলেশন সাইন্সেস | শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ উন্নয়ন অধ্যয়ন টেলিভিশন, চলচিত্র ও ফটোগ্রাফি ক্রিমিনোলজি কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডার প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ জাপানিজ স্টাডিজ |
৩) ঢাবি খ ইউনিট: আইন অনুষদ এর অন্তর্ভুক্ত বিভাগ | আইন |
৪) ঢাবি খ ইউনিট: সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট | সমাজ কল্যাণ |
৫) ঢাবি খ ইউনিট: স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট | স্বাস্থ্য অর্থনীতি |
৬) ঢাবি খ ইউনিট: শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট | শিক্ষা (বি.এড.) |
৭) ঢাবি খ ইউনিট: ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারাবিলিটি স্টাডিজ | ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারাবিলিটি স্টাডিজ |
৮) ঢাবি খ ইউনিট: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট | BA Honours in English for speakers of other languages (ESOL) BA Honours in French language and culture (FLC) BA Honours in Chinese language and culture (CLC) BA Honours in Japanese language and culture (JLC) |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিটে ভর্তির জন্য প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করে। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক, এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটি "ভর্তিযুদ্ধ" হিসেবে পরিচিত। খ ইউনিটের অধীনে শিক্ষার্থীরা ১০টি অনুষদ এবং ৪৪টি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিটের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যারা ২০১৫ বা পরবর্তী বছরে মাধ্যমিক এবং ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক শাখায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা খ ইউনিটে আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর যোগফল অন্তত ৮.০০ হতে হবে, যেখানে কোনো এক পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০-এর কম হলে আবেদন করার সুযোগ নেই।
A Level শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে, ২০১৫ সালের IGCSE/O Level পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয় এবং ২০২২ সালের IAL/GCE/A Level পরীক্ষায় ২টি বিষয় উত্তীর্ণ হলে আবেদন করা যাবে।
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে খ ইউনিটের মোট আসন সংখ্যা ২,৯৩৪। এই সিটগুলো ১০টি অনুষদের ৪৪টি বিভাগে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি সিটের জন্য বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করে, তাই ভর্তির এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠিন এবং প্রস্তুতির জন্য ব্যাপক মনোযোগের প্রয়োজন।
বিজ্ঞান ইউনিট | ১৮৫১ | ||||||
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট | ১০৫০ | ||||||
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট | ২৯৩৪
| ||||||
চারুকলা ইউনিট | ১৩০ |
ঢাবি খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুটি অংশে বিভক্ত: MCQ (Multiple Choice Questions) এবং লিখিত। পুরো পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট, যেখানে প্রথম ৪৫ মিনিট MCQ এবং পরবর্তী ৪৫ মিনিট লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকে।
ইউনিট | এমসিকিউ পরীক্ষা | লিখিত পরীক্ষা | ||
নম্বর | সময় | নম্বর | সময় | |
বিজ্ঞান ইউনিট | ৬০ | ৪৫ মিনিট | ৪০ | ৪৫ মিনিট |
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট | ৬০ | ৪৫ মিনিট | ৪০ | ৪৫ মিনিট |
৬০ | ৪৫ মিনিট | ৪০ | ৪৫ মিনিট | |
চারুকলা ইউনিট | ৪০(সাধারণ জ্ঞান) | ৩০ মিনিট | ৬০ (অংকন) | ৬০ মিনিট |
MCQ অংশে মোট ৬০টি প্রশ্ন থাকে এবং প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ করে। প্রশ্নগুলোর বিষয়বস্তু সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থেকে আসে:
1. বাংলা/ Elective English: ১৫টি প্রশ্ন (১৫*১=১৫)
2. General English: ১৫টি প্রশ্ন (১৫*১=১৫)
3. সাধারণ জ্ঞান: ৩০টি প্রশ্ন (৩০*১=৩০)
প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ করে নম্বর কাটা যাবে।
লিখিত পরীক্ষায় মোট ৪০ নম্বর বরাদ্দ থাকে, যা দুটি অংশে বিভক্ত:
1. বাংলা/ Elective English: ২০ নম্বর
2. General English: ২০ নম্বর
এক নজরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিট পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টন দেখে নেয়া যাক-
পরীক্ষার ধরন | সময় | বিষয় | প্রশ্নসংখ্যা | নম্বর |
MCQ |
৪৫ মিনিট | বাংলা/ Elective English* | ১৫টি | ১৫*১= ১৫ |
General English | ১৫টি | ১৫*১= ১৫ | ||
সাধারণ জ্ঞান | ৩০টি | ৩০*১= ৩০ | ||
মোট= ৬০ |
পরীক্ষার ধরন | সময় | বিষয় | নম্বর |
লিখিত | ৪৫ মিনিট | বাংলা/ Elective English* | ২০ |
General English | ২০ | ||
মোট= ৪০ |
*Elective English বিষয়টি কেবলমাত্র A Level শিক্ষার্থীদের জন্য
মেধাতালিকা তৈরি করা হয় ১০০ নম্বরের মূল পরীক্ষার উপর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ২০ নম্বর যোগ করে, মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে। MCQ এবং লিখিত পরীক্ষার মিলিত পাস নম্বর ৪০। তবে MCQ অংশে বাংলা, General English, এবং সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নম্বর পেতে হবে, যেমন বাংলায় ৫, General English-এ ৫, এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীকে ন্যূনতম ১১ নম্বর পেতে হবে।
মেধাস্কোর সমান হলে নিম্নলিখিত ক্রমানুসারে মেধাক্রম তৈরি করা হবে :
ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত স্কোর
HSC/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA without 4th subject
HSC/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA with 4″ Subject
SSC/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA without 4″ Subject
SSC/ সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA with 4″ Subject
HSC/সমমানের পরীক্ষায় চারটি বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত GPA এর যােগফল।
মেধাস্কোরের ভিত্তিতে নির্ণীত মেধাক্রম অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধা তালিকা ও ফলাফল ভর্তি পরীক্ষার পর ৪ (চার) সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েব সাইটেও admission.eis.du.ac.bd পাওয়া যাবে। এছাড়া এসএমএস এর মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবে।
ঢাবি খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সফল হতে হলে কিছু সাধারণ বিষয় মেনে চলা জরুরি। এর মাধ্যমে আপনার প্রস্তুতিকে আরো সুসংগঠিত ও ফলপ্রসূ করা সম্ভব।
বিগত বছরের প্রশ্ন পর্যালোচনা ও প্রশ্নের প্যাটার্ন বোঝা:
বিগত বছরের প্রশ্নপত্র পর্যালোচনা করে প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। যদিও প্রশ্ন হুবহু রিপিট হয় না, তবুও একই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসে। তাই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করুন। এতে প্রশ্নের কাঠামো এবং কোন কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তা বুঝতে পারবেন।
নিয়মিত অনুশীলন ও প্রতিদিন অধ্যয়ন:
ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন নিয়মিত অধ্যয়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ইংরেজি, বাংলা, সাধারণ জ্ঞান—সবকিছু নিয়মিতভাবে পড়তে হবে। সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। নিয়মিত অনুশীলন আপনার প্রস্তুতিকে আরো মজবুত করবে।
আত্মবিশ্বাস ও মানসিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন:
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং হতাশা থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। পরীক্ষার আগে ভালো ঘুম এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখা জরুরি। নিজেকে উৎফুল্ল এবং ইতিবাচক রাখতে পারলে প্রস্তুতির মানও উন্নত হবে।
সময় ব্যবস্থাপনা ও সময় বণ্টন:
ভর্তি পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। MCQ এবং লিখিত পরীক্ষার সময় সঠিকভাবে বণ্টন করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কতটুকু সময় দেওয়া যাবে, তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। পরীক্ষার সময় অযথা সময় নষ্ট না করে সঠিক সময়ে সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
এগুলি ছিল সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সাধারণ টিপস। যদি আপনি এগুলি মেনে চলেন এবং সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেন, তবে খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়া আপনার জন্য সহজ হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচিত ভর্তি পরীক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। এজন্য বিগত বছরের এডমিশন প্রশ্নব্যাংক এর উপর সর্বোচ্চ প্র্যাক্টিস থাকা জরুরি। এছাড়াও সেরাদের কাতারে থাকতে রাবি, চবি, ঢাবি ও জাবি এর প্রশ্নব্যাংক এবং সাস্টের আগের বছরের প্রশ্ন প্র্যাক্টিস করা উচিত। এরজন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম হতে পারে চর্চা অ্যাপ। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রীম শুভকামনা জানাই।