NFS কে বাংলায় translate করলে এর অর্থ দাঁড়ায় “খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান” । এখন এটা কি?
NFS বিষয় টা শুনলেই তোমাদের মনে ধারণা জন্মাতে পারে এই বিষয়টা বোধহয় রান্না-বান্না বিষয়ক একটা বিষয়। আসলে কিন্তু তা নয়। অনেকেরই এই বিষয়টা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকার ফলেই মূলত এমন ধারণা তাদের মনে জন্মেছে।
আমাদের সবারই স্বপ্ন থাকে Multinational Company তে job করার। NFS তেমনই একটি subject যার মাধ্যমে তুমি তোমার এই স্বপ্ন পুরন করতে পারবে। বিশ্বাস হচ্ছে না??চাকরি করলেই তো আর হবেন! করতে হবে আয়,গড়তে হবে সংসার। কোন Multinational Company তে জব করা কারো বেতন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিশ্চয়ই তোমাদের আছে। আর বিয়ের বাজারে demand এর কথা আর নাহয় না ই বললাম।
NFS subject এর total ২ টা part ‘Food Technology’ এবং ‘Nutrition Science’। তাই এই বিষয়ে পড়ার মাধ্যমে তুমি ২ টি sector এ নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবে। আর job এর ক্ষেত্রেও তুমি ২ ধরণের job এ apply করতে পারবে। কেবলমাত্র Food Technology বিষয়ক যত গুলো Job Company/Job Field আছে আমাদের দেশে তা জানতে একটা link দিচ্ছি
http://www.list-of-companies.org/Bangladesh/Food_Beverage/
একটু ঘুরে আসো, আমাদের দেশেই এই বিষয় এর job sector সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা পাবে আশা করি । এটা technology basis জব field এর একটা sample. তাও আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের। উন্নত বিশ্বে এই বিষয়ের চাহিদা ও চাকরীর বাজারের কথা নাহয় না ই বললাম।
আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই বিষয়ে সাধারণত (i) Four years B.S.(Hons.),
(ii)One year M.S
(iii) M.Phil and
(iv) Ph.D. কোর্স করা যায় ।
এছাড়া NSFT বিষয়ে দুবছর মেয়াদী MS কোর্স করানো হয় ॥
সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড সহ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাবজেক্টটি চালু আছে,
1. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Institute Of Nutrition And Food Science
2. ময়মনসিংহ এগ্রিক্লচার বিশ্ববিদ্যালয়ের food engineering.
3.সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের food & tea technology.
4.কুস্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় Applied Nutrition & Food Technology ( এখানে evening MS চালু আছে ।ডিটেইলস http://anftiu.ac.bd)
5.যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
6.টাঙ্গাইল :মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(MS করতে পারবেন )।
7. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় food science & technolog.
8.দিনাজপুর হাজী দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য প্রযুক্তি ॥
9.পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফুড টেকনোলজি ॥পুস্টি ও খাদ্য
প্রযুক্তি
1) Food processing
2) Food machinery
3) Food packaging
4) Ingredient manufacturing, instrumentation and control
5) Firms design and build food processing plants
6) Consulting firms, government agencies, pharmaceutical companies and health care firms etc.
Technology sector এর জব সম্পর্কে তো কিছুটা ধারণা দিলাম। Nutrition সম্পর্কে তো কিছু বলা দরকার তাইনা??বেশি কিছু বলার নেই আসলে,শুধু একজন ডাক্তার এর মন্তব্য তুলে ধরব। আমি যখন এই বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ার সুযোগ পাই তখন এখানকার বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে শরণাপন্ন হই একজন পরিচিত ডাক্তার এর। উনি আমাকে এই কথাই বলেছিলেন,
“তুমি তো medical এর জন্য try করেছ, আল্লাহ্ তোমাকে মানুষের চিকিৎসা করার আরেকটা সুযোগ করে দিয়েছেন।” আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে আছি দেখে উনি বললেন, “In USA only 30% of Diabetic Patients can get perfect treatment. An MBBS Doctor can’t prescribe him properly. Because DIET, DISCIPLINE & DRUGS are the proper treatment for a diabetic patient and only a nutritionist can do that properly. So my son don’t get upset anymore and be cheer up”
1) Introduction of Food technology and Nutrition Science
2) Inorganic & physical Chemistry
3) Organic Chemistry
4) Food Chemistry
5) Biochemistry
6) Human Anatomy
7) Human physiology
8) Food Microbiology
9) Food Technology
10) Technology of Food Processing
11) Technology of food preservation
12) Food laws and quality control of food and beverage.
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকালীন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ যাতে বিধিসম্মতভাবে সম্পূর্ণ করা হয় এবং বিএসটিআইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যাতে প্রতিটি খাবারের খাদ্যমান নিশ্চিত করা যায়, সেটা দেখাই এই সেক্টরে কাজের প্রধান দায়িত্ব। মূলত কাঁচামাল ঠিকমতো সরবরাহ হচ্ছে কি না, প্রক্রিয়াকরণে কোনো ফাঁক থেকে যাচ্ছে কি না, দরকারি যন্ত্রপাতি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, সেগুলোর টিকমতো দেখাশোনা হচ্ছে কি না, খাবারে ভুলবশত কোনো অবাঞ্চিত বস্তু মিশে যাচ্ছে কি না, খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় থাকছে কি না, এই ব্যাপারগুলোর উপর লক্ষ রাখাই পেশাদার ফুড টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান বা ইঞ্জিনিয়ারের কাজ। কাজের মূল বিভাগগুলো হলো ম্যানুফ্যাকচারিং, প্রসেসিং, প্রিজার্ভেশন, প্যাকেজিং এবং ক্যানিং। এ ছাড়া যে বিভিন্ন পদে কাজ করা যেতে পারে তার কিছু নিচে আলোচনা করা হলো।
১. অর্গানিক কেমিস্টঃ কাঁচামাল থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের তত্ত্বাবধান করা।
২. বায়োকেমিস্টঃ খাবারের ফ্লেভার, টেক্সচার, স্টোরেজ এবং কোয়ালিটি নজরে রাখতে হয়।
৩. অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট্রিঃ খাদ্য পণ্যের গুণগত মানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
৪. হোম ইকোনোমিস্টঃ এদের ডায়াটেটিক্স-এর বিষয়েও জানতে হয়, খাবারের পুষ্টি এবং উপকারিতার দিকটাও দেখতে হয়।
৫. ইঞ্জিনিয়ারঃ ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির প্ল্যানিং, ডিজাইনিং, ইমপ্রুভিং, মেনটেন্যান্স এবং প্রসেসিং সিস্টেম তদারকির কাজ করার জন্য কেমিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল এবং এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হয়।
৬. রিসার্চ সায়েন্টিস্টঃ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ-সংক্রান্ত যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অর্থাত্ খাবারের উত্পাদন, গুণমান, স্বাদবৈশিষ্ট্য, পুষ্টিগত গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা এবং উন্নয়নের কাজ করেন এই ধরনের গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা।
৭. ম্যানেজার এবং অ্যাকাউন্ট্যান্টঃ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এবং ফাইন্যান্সিয়াল কাজকর্ম এদেরকেই দেখাশোনা করতে হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দ্রুতগতিতে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই পেশায় কাজের সুযোগ।
১. ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ডিগ্রি অর্জনের পর দেশের বড় বড় ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
২. এছাড়াও আছে বিভিন্ন এনজিও যেমন FAO, FDA, WHO, UNDP ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার সুযোগ।
৩. দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে এ পেশায় চাকরির সুযোগ।
৪. ফুড রিসার্চ ল্যাবরেটরি, ফুড হোলসেলার, হসপিটাল, ক্যাটারিং সংস্থা, রিটেলার, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
৫. এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে গেলে যে ধরনের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা প্রয়োজন তা হলো, হোম সায়েন্স (সঙ্গে ফুড টেকনোলজি, নিউট্রিশন বা ফুড সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্পেশালাইজেশন করতে হয়)।
৬. এ ছাড়াও ব্যাকটিরিওলজি বা টক্সিকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করলে প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি-তেও কাজ করার সুযোগ মেলে।
৭. আবার অর্গানিক কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি বা অ্যানলিটিক্যাল কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়াশোনা করলে ফুড টেকনোলজিক্যাল ল্যাবরেটরি বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টেও কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
৮. পাশাপাশি এই ইন্ডাস্ট্রিতেও আরও কয়েক ধরনের কাজ আছে। যেমন, বেকারি, মিট প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকিং, পোলট্রি, ফিস প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকিং, ফুড ব্যাচ মেকার, ফুড কুকিং মেশিন অপারেটর অ্যান্ড টেন্ডার, ফুড রোস্টিং অ্যান্ড বেকিং মেশিন অপারেটর ইত্যাদি।
ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পেশায় নতুন অবস্থায় একজন কর্মকর্তা শুরুতেই ২৫ হাজার বা তারও বেশি টাকা বেতন পেতে পারেন। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন হতে পারে ৪০ হাজার টাকা বা তারও বেশি। পর্যায়ক্রমে চাকরিরত অবস্থায় বেতনের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। তাছাড়া বিদেশেও এ পেশায় রয়েছে আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা।
প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সব পেশায় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এক্ষেত্রে ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পেশায় সহজেই আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। কারণ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। আর এভাবেই বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে। তাছাড়া আগামী ২ থেকে ৩ বছরে বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং সেক্টর বাড়বে ১০ শতাংশেরও বেশি। তাই বুঝতেই পারছেন ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ক্যারিয়ার কতটুকু সম্ভাবনাময় আপনার কাছে।
পাবলিক হেলথ নিয়ে কাজ করে এ ধরনের বেসরকারি সংস্থাগুলোতে প্রচুর চাকুরির সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে
প্রতিষ্ঠিত ভালমানের হাসপাতালগুলোতে নিউট্রিসনিস্ট ও ডায়েটিশিয়ানের চাকুরি পওয়া যায়। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও ডয়েটিশিয়ানের (খাদ্য বিশেষজ্ঞের) পদ রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পুষ্টি প্রকল্প ও পাবলিক হেলথ সেক্টরে কাজ করার সুযোগ আছে।