১২ প্রবন্ধ- নিবন্ধ রচনা
অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।
ভূমিকা:
বাংলাদেশের অগ্রগতি অপ্রতিরোধ্য। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। যোগ্য নেতৃত্ব, যথাযথ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামো ও প্রযুক্তির ‘উন্নয়ন, বৈদেশিক বাণিজ্যের বিস্তৃতি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শক্তিশালী বাজার পরিকল্পনা প্রভৃতির কারণে বাংলাদেশ ‘যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এর এগিয়ে যাওয়ার নামই দেয়া যায় ‘অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ ।
বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র দেশ হলেও, এর অগ্রযাত্রায় রয়েছে অদম্যতা। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি দ্রুত গতিতে উন্নয়ন লাভ করেছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, পরিবহন, শিল্প-কারখানা, কৃষিকাজ, মানবাধিকার, গণতন্ত্রসহ সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অগ্রগতি লক্ষণীয়।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের ৪০তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০২৩ সালে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২ শতাংশ। তৈরি পোশাক, রপ্তানি, কৃষি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, পরিবহন, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের ফলে দেশের অর্থনীতিতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
শিক্ষা
বাংলাদেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৪.৪%। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য সরকার বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করছে। উচ্চশিক্ষায়ও বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্যনীতির ফলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রতি ১০০০ জনে ১০০ জন চিকিৎসক রয়েছে।
যোগাযোগ ও পরিবহন
বাংলাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-সিলেটসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলির মধ্যে দ্রুতগামী বাস চলাচল করছে।
শিল্প-কারখানা
বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা স্থাপনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি পোশাক, চামড়া, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রাসায়নিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের ফলে দেশের শিল্প-কারখানা খাতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
মানবাধিকার
বাংলাদেশে মানবাধিকারের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে। সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে।
গণতন্ত্র
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে। সরকার গণতন্ত্রের চর্চা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় সকল নাগরিকের অবদান রয়েছে। সরকার, জনগণ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। দেশটি ইতিমধ্যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামীতেও বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।
উপসংহার
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এখন পুরো বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত। তাই এর নাম দেওয়া যেতে পারে: অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ । অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশকে। বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন সোনার বাংলার স্বপ্ন, চেয়েছিলেন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, গড়তে চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ। বর্তমান সরকার সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। উন্নতির এই ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হলে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অর্জন করতে পারে উন্নত দেশের মর্যাদা।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই