ব্যাংক হিসাবের প্রকারভেদ
আড়পাড়ার আনিস সাহেব অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি করেন। তিনি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিমাসে দেশে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। যা স্থানীয় 'নবগঙ্গা ব্যাংকে' জমা হচ্ছে। তবে তিনি এবার দেশে ফিরে কিছু টাকা একত্র করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অধিক লাভজনক হিসাবে রেখে দেয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
মি., রাকিব হাসান একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ব্যাংকে একটি হিসাব পরিচালনা করেন। যে ক্ষেত্রে তিনি যখন ইচ্ছা টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলন করতে পারেন এবং প্রয়োজনে জমার অতিরিক্ত টাকাও ব্যাংক দিয়ে থাকে। তিনি তার ছেলের পড়াশোনার খরচ ঢাকায় পাঠানোর জন্য ছেলেকে ব্যাংকে একটি হিসাব খুলতে বলেন। মি. রাকিব হাসানের ছেলে ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলে ব্যাংক ম্যানেজার তার জন্য উপযোগী একটি ব্যাংক হিসাব খোলার কথা বলেন।
খুলনার মি. সালেক একজন চাকরিজীবী। মাসিক ব্যয় করার পর তিনি কিছু কিছু সঞ্চয় করেন এবং চিত্রা ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থ জমা রাখেন। তিনি হিসাব খোলার পর পরই অর্থ উত্তোলন করতে ব্যাংকে গেলে শর্ত পূরণ হয়নি বলে ব্যাংক তাকে টাকা দিতে অপারগতা জানায়। এতে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে নিয়মিত অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায় এমন একটি হিসাবে অর্থ জমা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মি. সানী ও রানা দু'জন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মি. সানী তার ব্যবসায়িক কাজের জন্য পূর্বা ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করেন। ব্যাংক হিসাবের বিপক্ষে চেক বই প্রদানের পাশাপাশি একটি প্লাস্টিক কার্ডও প্রদান করে। মি. রানা ৫ লক্ষ টাকার মোটরপার্টস বাকিতে মি. সানীর কাছে বিক্রয় করেন। এরপর থেকে মি. সানীর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ আছে। উপায়ন্ত না পেয়ে মি. রানা আদালতের শরণাপন্ন হলে, আদালত পূর্বা ব্যাংকের প্রতি একটি আদেশ দেয়।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ঋজু ১০ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখে। ব্যাংক তাকে কোনো চেক বই দেয়নি। অপরদিকে, তার বন্ধু প্রীতম প্রতি মাসে ৫,০০০ হাজার টাকা করে ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট হিসাবে জমা রাখে, যেখানে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত জমা রাখতে হবে। মেয়াদ শেষে উভয়েই এককালীন সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করবে।