লালসালু
মজিদের প্রথম স্ত্রী রহিমা 'লালসালু' উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র। লম্বা চওড়া শারীরিক শক্তিসম্পন্না এই নারী পুরো উপন্যাস জুড়ে স্বামীর ব্যক্তিত্বের কাছে অসহায় হয়ে থাকলেও তার চরিত্রের একটি স্বতন্ত্র মাধুর্য আছে। লেখক নিজেই তার শক্তিমত্তাকে বাইরের খোলস বলেছেন, তাকে ঠাণ্ডা ভীতু মানুষ বলে পরিচিতি দিয়েছেন।
'কোটরাগত নিমীলিত সে চোখে একটুও কম্পন নেই।'
উক্তিটিতে ফুটে উঠেছে-
"তোমার দিলে কি ময়লা আছে” - কার দিল?
রহিম শেখ অজপাড়াগাঁয়ের একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসার পড়ান। ধর্ম বা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক কিছুই তার জানা নাই। কিন্তু কুসংস্কার সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি সচেতন। মানুষকে বিভ্রান্ত করার মতো কোনো ব্যাখ্যা তিনি নিজে না জেনে দেন না। মানবতা, পরিশ্রমের ফল ও মূল্যায়নই তাঁর ধর্মশিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। স্বর্গ-নরক, ইহকাল-পরকাল সম্পর্কেও তার বক্তব্যটা অত্যন্ত সহজ-সরল। অনেকেই তাকে ইমানদার মনে না করলেও, সমাজের শিক্ষিত মানুষদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
'লালসালু' উপন্যাসে মাতব্বর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কাকে?