অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিন

উক্ত বন্ধন এর মাধ্যমে উৎপন্ন যৌগ গুরুত্বপূর্ণ ,কারণ এটি-
জীবদেহের গাঠনিক উপাদান
প্রাণীদেহে O2 ও CO2 এর বাহক
জৈব প্রভাবক
নিচের কোনটি সঠিক?
উদ্দীপকের বন্ধনটি হলো পেপটাইড বন্ধন। পেপটাইড বন্ধন এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোটিন বা পলিপেপটাইড গঠিত হয়।
জীবদেহে প্রোটিনের ভূমিকা (Role of Protein in Living Body)
জীবদেহ গঠনের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। জীবদেহে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
১। এনজাইমের ভূমিকা: জীবদেহের অভ্যন্তরে সংঘটিত সকল বিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট এনজাইম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সকল এনজাইম প্রোটিন। এনজাইম জৈব অনুঘটক হিসেবে প্রাণ-রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে যা জীবের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
২। ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিতে: দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। বিভিন্ন জৈবনিক ক্রিয়াকলাপ, যেমন- ক্ষয়, রেচন, জনন প্রভৃতি সম্পন্ন করার জন্য দেহের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা পূরণ করার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়।
৩। গাঠনিক ভূমিকা: তন্তুজ প্রোটিন বিভিন্ন অঙ্গের আবরণী তৈরি, বিভিন্ন টিস্যুর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করে। কোলাজেন নামক প্রোটিন টেনডনের মূল উপাদান যা অস্থির সাথে পেশির সংযোগ স্থাপন করে।
৪। পরিবহণে: কোষ অভ্যন্তরে বিভিন্ন অণুর পরিবহণ, আয়ন স্থানান্তর প্রভৃতি প্রোটিনের মাধ্যমে ঘটে থাকে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন প্রাণিদেহের সকল কোষ সরবরাহ করে।
৫। জীবদেহ গঠনে: জীবের বৃদ্ধি ও বিকাশ হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। হরমোন বিশেষ ধরনের প্রোটিন দ্বারা গঠিত। বিশেষ কয়েকটি হরমোন; যেমন- ইনসুলিন, সোমাটোট্রফিক হরমোন (STH), লিউটিট্রফিন হরমোন (LTH) ইত্যাদি।
৬। বিষক্রিয়া ও আত্মরক্ষা: বিভিন্ন জীবে বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় প্রোটিন থেকে বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয়। এসব পদার্থ জীবের আত্মরক্ষার জন্য সহায়ক। যেমন- সাপের বিষ বা ভেনম যা সাপের আত্মরক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
৭। ভাইরাস ও ক্যান্সার প্রতিরোধে: বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এর কারণ হিসেবে ভাইরাস চিহ্নিত হয়েছে। ইন্টারফেরন নামক বিশেষ প্রোটিন ভাইরাস প্রতিরোধক হিসেবে ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
৯। অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন: অ্যান্টিবায়োটিক নানা ধরনের রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। বিপাকীয় বিক্রিয়া জীবদেহে, বিশেষ করে অণুজীবে এসব অ্যান্টিবায়োটিক উৎপন্ন হয়।
১০। ইমিউনিটি: রোগ জীবাণু ধ্বংস ও নিয়ন্ত্রণের জন্য পোষক দেহে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তাও প্রোটিন।
১১। ব্যথানাশক হিসেবে: মস্তিষ্কে উৎপন্ন এন্ডোরফিন ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১২। ঘুম সৃষ্টিতে: অতি সম্প্রতি আবিষ্কৃত ঘুম আনয়নকারী s-factor বিশেষ ধরনের প্রোটিন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
জীবদেহের গাঠনিক উপাদান হিসাবে বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যাহার কিছু অংশ আবার বিভিন্ন বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
জীবদেহে বিদ্যমান বৃহৎ পলিপেপটাইড যৌগ 'F' এর বিশেষ ধরণ 'G' বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
কলয়েড প্রকৃতির একটি উপাদান যা জীবদেহের গাঠনিক উপাদান হিসাবে কাজ করে। অন্য একটি জৈব পদার্থ যা উদ্ভিদদেহের কোষপ্রাচীরের মূল গাঠনিক উপাদান হিসাবে ভূমিকা রাখে।
নিচের চিত্রটি লক্ষ কর-