এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
“এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে” শীর্ষক কবিতায় বর্ণিত স্থানটি কেমন?
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এমন লীলাভূমি পৃথিবীর আর কোথাও জীবনানন্দ খুঁজে পাননি। তিনি স্থানকে বলেছেন
সবচেয়ে সুন্দর করুণ।এখানে ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট, লক্ষ্মীপেঁচাও মিশে থাকে প্রকৃতির গভীরে, অন্ধকারের বিচিত্ররূপ এই দেশে। কোনো বিশালাক্ষী বর দিয়েছিল বলেই নীল-সবুজে মেশা বাংলার ভূ-প্রকৃতির মধ্যে এই অনুপম সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে।
সেখানে নাটার রঙের মতো অরুণ কোথায় জেগেছে?
সুন্দরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হালদা নদী। নদী বিধৌত গ্রামটি যেন সবুজ প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর সজীবতা। জাম, জারুল, কড়ই, ডুমুর, শিমুলসহ নানা জাতের গাছ- গাছালি, পাখির কলতান, ফল-ফুলের মাধুর্য, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ যেন দৃশ্যমান ছবি। নদীর জলে নানা প্রজাতির মাছ ও দুকূলে হরেক রকমের লতা-গুল্মের সমাহার।
আমার দেশের মতন এমন দেশ কি কোথাও আছে
বউ কথা কও পাখি ডাকে নিত্য হিজল গাছে।।
দোয়ের কোয়েল কুটুম পাখি, বন-বাদাড়ে যায়রে ডাকি
আছে শাপলা শালুক ঝিলে বিলে, পুকুর ভরা মাছে।।
হাজার তারার মানিক জ্বলে হেথায় মাটির ঘরে
সবার মুখের মিষ্টি কথায় সবার হৃদয় ভরে রে।।
“আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-হয়তোবা শঙ্খচিল শালিকের বেশে
…………………………………………………………………..
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায় ।
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে। ”