ঐকতান
এবার ফিরাও মোরে' কবিতায় রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিসত্তাকে আহ্বান করেছিলেন দারিদ্রপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের শক্তির উদ্বোধন ঘটাবার জন্য। তিনি এতে বলেছেন, যারা দরিদ্র, তারা বংশ পরম্পরায় দারিদ্র্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। তাদের মুখের অন্ন কেউ কেড়ে নিলেও তারা থাকে মুক ও ভীতসন্ত্রস্ত। প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, সবিনয়ে নালিশের ভাষাও যেনো এদের নেই। স্বয়ং বিধাতাও যেনো এদের প্রতি বিমুখ। কবি বলেছেন যে এদের মুখে দিতে হবে ভাষা।
বহুদিন ধরে বহুক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।
ধনী পরিবারের সন্তান মোহসীন চৌধুরী। রাজনীতিতে এসেছেন অনেক দিন। জনকল্যাণক কাজও করেছেন। কিন্তু প্রান্তিকজনের সাথে তেমনভাবে তিনি মিশতে পারেননি। গণমানুষের নেতা হতে না পেরে তার আক্ষেপের শেষ নেই।
উদ্দীপকের মোহসীন চৌধুরীর মর্মবেদনা নিচের কোন চরণে প্রকাশিত?
ধনী পরিবারের সন্তান মোহসীন চৌধুরী। রাজনীতিতে এসেছেন অনেক দিন। জনকল্যাণক কাজও করেছেন। কিন্তু প্রান্তিকজনের সাথে তেমনভাবে তিনি মিশতে পারেননি। গণমানুষের নেতা হতে না পেরে তার আক্ষেপের শেষ নেই।
উদ্দীপকে 'ঐকতান' কবিতার যে বিষয় প্রকাশিত তা হলো-
i. জনবিচ্ছিন্নতা
ii. শ্রমজীবীদের প্রতি দায়বদ্ধতা
iii. জ্ঞানের দীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
নাট্যকার সেলিম আল দীনের বিখ্যাত নাটক 'কীত্তনখোলা।' এ নাটকের চরিত্র হিসেবে পাই কৃষক, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, যাত্রাপালার কলা-কুশলীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরা সকলেই সমাজের নিম্ন-মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি। এসব মানুষের দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার আড়ালে জীবনের যে অপ্রাপ্তি আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনা তারই বিশ্বস্ত চিত্র উপস্থাপন করেছেন নাট্যকার। নাটকে প্রাধান্য পেয়েছে চরিত্রগুলোর সচেতন ও অবচেতন মনের সূক্ষ্ম বিষয়গুলো। 'কীত্তনখোলা' হয়ে উঠেছে প্রান্তিক মানুষের কৃত্রিম-অকৃত্রিম আচরণের ধারা বর্ণনা।