নক্ষত্র
কৃষ্ণ বিবরের নাম কৃষ্ণ বিবর হওয়ার কারন কি?
উত্তর :কৃষ্ণ বিবরের নাম কৃষ্ণ বিবর হওয়ার কারন-এর মহাকর্ষ এত বেশি যে এটা থেকে মহাশুন্যে আলো বিকিরিত হতে পারেনা।
জন হুইলার কৃষ্ণ বিবর আবিষ্কার করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গাণিতিক মডেলের সাহায্যে দেখিয়েছেন যে একটি
নক্ষত্রের মৃত্যু পূর্ব ভর 3 Mo-এর বেশি হলে নক্ষত্রটির ভেতরে মহাকর্ষ বলের কারণে সঙ্কোচন ক্রিয়া অব্যাহত থাকবে
এবং আমাদের জানামতে এমন কোনো শক্তি নেই যে এর অব্যাহত সঙ্কোচন প্রতিহত করতে পারে। এভাবে সংকোচিত
হয়ে এটি শূন্য ব্যাসার্ধ এবং অসীম ঘনত্বের বিন্দু বস্তুতে পরিণত হতে পারে। বস্তুটি বিন্দু হোক বা না হোক এর
আকর্ষণ বল এত বৃদ্ধি পাবে যে এর আশেপাশে থেকে কোনো কিছুই এমনকি আলোও বেরিয়ে আসতে পারবে না।
বস্তুটি এবং এর আশেপাশে যে অঞ্চল থেকে কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়, যেখান থেকে আলো বা কোনো বস্তু
বেরিয়ে আসতে পারে না ওই অঞ্চলকে কৃষ্ণ বিবর বা গহ্বর (black hole) বলে। এই অঞ্চলের সীমাকেই বলা হয়
ঘটনা দিগন্ত (Event horizon)। কার্ল শোয়ার্জশিল্ড (Karl Schwarzchild) আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের
সাহায্যে 1916 খ্রিস্টাব্দে কালো বিবরের ঘটনা দিগন্তের ব্যাসার্ধ
-এর রাশিমালা নির্ণয় করেন :
এখানে হলো বস্তুর ভর, আলোর বেগ এবং মহাকর্ষীয় ধ্রুবক।