৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩-এর সমাপনী দিবস নিয়ে একটি দিনলিপি রচনা করো।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিষয়ে একা প্রতিবেদন রচনা করো।
(ক) উত্তরঃ
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মঙ্গলবার
রাত ১০:০০টা
শাহবাগ, ঢাকা
বাঙালির প্রাণের মেলা হিসেবে পরিচিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা। আমার মতো গ্রন্থপ্রেমিক সারা বছর অপেক্ষায় থাকে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য। প্রতিবছর বইমেলায় যাওয়া হলেও বইমেলার সমাপনী দিবসে এবারই প্রথম গিয়েছিলাম। দুপুরের দিকে আজ বইমেলায় গিয়েছিলাম আমার বন্ধু কথার সঙ্গে। দোয়েল চত্বরের দিক দিয়ে ঢুকেই একটু অবাক হলাম। অন্যান্য দিনের চাইতে আজকের বইমেলায় ভিড় ছিল অনেক বেশি। একটু পরেই বুঝতে পারলাম বইমেলার শেষ দিন বলে সবাই আজ ছুটে এসেছে প্রাণের এই মেলায়। প্রথমেই প্রবেশ করলাম বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণে। বইয়ের স্টলগুলোতে সেই চিরচেনা ভিড় দেখলাম। সবাই সবার পছন্দের বই কিনতে ব্যস্ত পুরো প্রাঙ্গণ জুড়েই যেন অনুভব করলাম ভাঙনের সুর।
বইয়ের স্টলগুলো তল্পিতল্পা গুছিয়ে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আর বইপ্রেমীরা শেষ সময়ে এসে নিজেদের পছন্দের বই কিনছিল। আমার বন্ধু কথা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে 'রবীন্দ্রজীবনের কিশোর গল্প' বইটি কিনল। মহামারির দুই বছর পর এবারই যথা সময়ে শুরু হয়েছিল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। যা প্রকাশক, লেখক ও পাঠক সকলের জন্য ছিল অত্যন্ত আনন্দের। বিকেলের দিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ২০২৪ বইমেলায় প্রকাশিত মোট বইয়ের সংখ্যাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চের পাশে গিয়ে আমি ও আমার বন্ধু ছবি তুললাম। তারপর দুজনে চলে গেলাম সোহরাওয়াদী উদ্যান প্রাঙ্গণে। সেখানে পাঞ্জেরী, প্রথমা, সময় প্রকাশনী, কথা প্রকাশ, অন্য প্রকাশ, কাকলী প্রকাশনীর স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্টলগুলো বই গুছিয়ে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করছিল। তখন আমার মন বিষাদে ভরে উঠছিল। আজকের পর বিস্তীর্ণ এই প্রান্তরে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসবে না দোকানিরা, বইপ্রেমীরাও পাবে না নতুন বইয়ের সুঘ্রাণ। বেদনাবিধুর মন নিয়ে বই মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে এলাম। আনন্দ বেদনার এক মিশ্র অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ল হৃদয় জুড়ে। এখন এই দিনলিপি লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে আবার এক বছরের অপেক্ষা প্রাণের বইমেলার জন্য।
(খ) উত্তরঃ
২ জুন ২০২৪
অধ্যক্ষ
ক্যামব্রিয়ান কলেজ, ঢাকা।
বিষয়: কলেজের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
সূত্র: ক.ক ১৮০(২৭)/২৪, ৩০.০৫.২০২৪
জনাব,
আপনার আদেশানুসারে ক্যামব্রিয়ান কলেজে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
‘ক্যামব্রিয়ান কলেজে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত’
২৯ মে ২০২৪ ক্যামব্রিয়ান কলেজের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনের দায়িত্ব ছিল কলেজ সংসদের ক্রীড়া উদ্যাপন কমিটির উপর। কমিটির সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুন্দরভাবে ক্রীড়ানুষ্ঠান পরিচালিত হয়েছে।
এবারের প্রতিযোগিতার ইভেন্টগুলো ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। পঁচিশটিরও বেশি ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ইভেন্টগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রকমের দৌড়, লাফ, বর্শা নিক্ষেপ, লৌহগোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, দ্রুত হাঁটা, সাইকেল রেস ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক বিষয় নির্ধারিত ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের 'যেমন খুশি তেমন সাজো' এবং আমন্ত্রিত মহিলাদের জন্য 'বালিশ খেলা' ইভেন্টটি অনেক বেশি উপভোগ্য হয়েছিল। এছাড়াও পুরুষ অতিথিদের জন্য ছিল 'হাঁড়ি ভাঙা' খেলা। কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মীদের জন্যও ছিল প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায় ছেলেদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীর গৌরব অর্জন করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মেহেদি হাসান এবং মেয়েদের মধ্যে একাদশ শ্রেণির লিনা হক।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদবোধন হয়েছিল সকাল নয়টায়। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়। সারাদিন প্রতিযোগিতা চলার পর বিকেল পাঁচটায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়। অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বহু আমন্ত্রিত অতিথি দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
কলেজের অনেক শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। কলেজের ক্রীড়া শিক্ষকের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা ক্রীড়ানুশীলনের প্রতি দারুণ আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। এ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে অনেককে বাদ দিতে হয়েছে। তবে ক্রীড়াচর্চায় উৎকর্ষের কিছু অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সেজন্য কলেজে নিয়মিত খেলাধুলা চর্চার সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রধান অতিথি স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে কলেজের বিশাল মাঠটি সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল। প্রতিযোগীদের কুচকাওয়াজ, তোপধ্বনি, পায়রা ওড়ানো ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানেই কলেজের শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছে। কলেজের শিক্ষকবৃন্দও প্রতিযোগীদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। সব মিলিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানটি কলেজের গৌরবজনক ইতিহাসে নতুন মাত্রা সংযোজন করতে সক্ষম হয়েছে।
নিবেদক
মেহেরুন্নাহার রূপা
মানবিক বিভাগ, রোল নম্বর-৮৩
দ্বাদশ শ্রেণি।
[এখানে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবেদকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে]
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) তোমার কলেজে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
অথবা,
(খ) জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি করো।
(ক) কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার, কলেজ ছাত্রাবাসের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
(ক) একটি গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি রচনা করো।
অথবা,
(খ) 'সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন' শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপনের জন্য একটি ভাষণ প্রস্তুত করো।