৩।বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি(৫)
(ক) উদাহরণসহ ক্রিয়া পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নোক্ত যে কোনো পাঁচটি বাক্যের নিম্নরেখ শব্দের ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি নির্ণয় কর :
(i) পায়ে হাঁটা পথ ধরে (সোজা) এগিয়ে চললাম।
(ii) (দারুণ) সুন্দর দেখতে।
(iii) সুখের (লাগিয়া) এ ঘর বাঁধিনু।
(iv)( বুঝিয়াছিলাম) মেয়েটির রূপ বড় আশ্চর্য।
(v) (সবাই) রাঙামাটি যেতে চাইছে।
(vi) (বিপদ) কখনও একা আসে না।
(vii) (বেশ), তাই হবে।
(viii) কাজটা (ভালোভাবে) সম্পন্ন হয়েছে।
(ক) উত্তরঃ যে পদ দিয়ে কোনো কাজ করা, হওয়া ইত্যাদি বোঝায়, সেগুলোকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন—লেখে, পড়ে, যায়, খায় ইত্যাদি।
অর্থের দিক থেকে ক্রিয়াপদ দুই প্রকার:
১. সমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদের প্রয়োগে বাক্যের অর্থ সবটুকু প্রকাশ পায় তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: ক্লাস শুরু হয়েছে। ফল বেরিয়েছে।
২. অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদের সাহায্যে বাক্যের অর্থ সবটুকু প্রকাশ হয় না, সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশের জন্য আর কিছু ক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে, সেগুলোকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে এসো। ভালো ফল হলে সবাই খুশি। এসব বাক্যে ‘হয়ে’, ‘হলে’ এসব ক্রিয়াপদ পর্যন্ত বললে অর্থের সম্পূর্ণ প্রকাশ হয় না। তাই এগুলো অসমাপিকা ক্রিয়াপদ।
গঠনের দিক থেকেও ক্রিয়াপদকে ভাগ করা যায়—
১. মৌলিক ক্রিয়া: যেসব ক্রিয়াপদ মৌলিক ধাতু থেকে গঠিত হয়, তাকে মৌলিক ক্রিয়া বলে। যেমন: সে ভাত খায় (খা+য়)।
২. যৌগিক ক্রিয়া: অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে অন্য কোনো ধাতু যোগে যে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন: সে পাস করে গেল।
৩. প্রযোজক ক্রিয়া বা ণিজন্ত ক্রিয়া: যে ক্রিয়া একজনের প্রযোজনা বা উদ্যোগে অপরজন কর্তৃক সম্পাদিত হয়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বা ণিজন্ত ক্রিয়া বলে। যেমন: শিক্ষক ছাত্রকে পড়ান।
বাক্যে ব্যবহারের সময় ক্রিয়ার কর্ম থাকা না থাকার দিক থেকে ক্রিয়াপদকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—
১. সকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন: ছাত্ররা বই পড়ে। এখানে ‘পড়ে’ ক্রিয়ার কর্ম ‘বই’। সে জন্য ‘পড়ে’ সকর্মক ক্রিয়া।
২. অকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম থাকে না, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন: সে বাড়ি যায়। এখানে ‘যায়’ ক্রিয়ার কোনো কর্ম নেই বলে তা অকর্মক ক্রিয়া। (‘বাড়ি’ কর্ম নয়, অধিকরণ)
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার দুটি কর্ম থাকে তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন: শিক্ষক ছাত্রকে অঙ্ক করান। এখানে ‘ছাত্রকে’ ও ‘অঙ্ক’-এ দুটি কর্ম আছে বলে ‘করান’ ক্রিয়াটি দ্বিকর্মক ক্রিয়া।
(খ) উত্তরঃ
(i) পায়ে হাঁটা পথ ধরে সোজা এগিয়ে চললাম। (বিশেষণ)
(ii) দারুণ সুন্দর দেখতে। (বিশেষণের বিশেষণ)
(iii) সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু। (অনুসর্গ)
(iv) বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড় আশ্চর্য। (ক্রিয়া)
(v) সবাই রাঙামাটি যেতে চাইছে। (সর্বনাম)
(vi) বিপদ কখনও একা আসে না। (বিশেষ্য)
(vii) বেশ, তাই হবে। (আবেগ)
(viii) কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। (ক্রিয়া বিশেষণ)
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) বিশেষণ পদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষণ পদের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের পদ নির্দেশ কর:
চাকরি করে অন্যায় পয়সায় ধনী হওয়ার লোভ রাখ? তার চেয়ে মুদি দোকানি ভালো। মুদির পয়সা পবিত্র।
অনেক যুবক থাকতে পারে, যারা মনে করে কোনো রকমে একটা চাকরি সংগ্রহ করে সমাজের ভেতর আসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই হলো।
চুরির সাহায্যেই হোক অথবা অসৎ উপায় অবলম্বন করেই হোক, ক্ষতি নেই।
(ক) আবেগ শব্দ কাকে বলে? আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি যৌগিক ক্রিয়া চিহ্নিত করো।
"চাহিয়া দেখিলাম- হঠাৎ কিছু বুঝিতে পারিলাম না। প্রথমে মনে করিলাম, ওয়েলিংটন হঠাৎ বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হইয়া আমার নিকট ভিক্ষা করিতে আসিয়াছে। প্রথম উদ্যমে, পাষাণবৎ কঠিন হইয়া, বলিব মনে করিলাম যে, ডিউক মহাশয়কে ইতিপূর্বে (ইতঃপূর্বে) যথোচিত পুরস্কার দেওয়া গিয়াছে, এক্ষণে আর অতিরিক্ত পুরস্কার দেওয়া যাইতে পারে না।"
(ক) উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শ্রেণি নির্দেশ করো: একটু মিটমিট করিয়া ক্ষুদ্র আলো জ্বলিতেছে- দেয়ালের উপর চঞ্চল ছায়া, প্রেতবৎ নাচিতেছে। আহার প্রস্তুত হয় নাই- এজন্য হুঁকা হাতে, নিমীলিতলোচনে আমি ভাবিতেছিলাম যে, আমি যদি নেপোলিয়ন হইতাম, তবে ওয়াটারলু জিতিতে পারিতাম কি না।
(ক) বিশেষ্যপদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষ্যপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দ নির্দেশ কর:
ⅰ) আজ নয় কাল সে আসবেই।
ii) বাবা রাতে ভাতের বদলে রুটি খান।
iii) লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ।
iv) আমাদের যাত্রা সমুদ্র অভিমুখে।
v) যথা ধর্ম তথা জয়।
vi) মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
ii) শাবাশ! দারুণ খেলেছে আমাদের ছেলেরা।
viii) তিনটি ফুল আর অনেক পাতা।