৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার, কলেজ ছাত্রাবাসের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
(ক) উত্তরঃ
‘কলেজের প্রথম দিন’
১০ই জুলাই ২০২১
পিলখানা
রাত : ১১:০০
আজ আমার কলেজ জীবনের প্রথম দিন। সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠলাম । প্রয়ােজনীয় কাজ সেরে গােসল, খাওয়া-দাওয়া করে ১০টায় কলেজের ইউনিফর্মটি পরে নিলাম। হেঁটে হেঁটে কলেজ গেটে পৌছার পর কলেজ গেটের নিরাপত্তারক্ষীরা আমার পরিচয় জানতে চাইল । আমার কাছে আইডি কার্ড ছিল না। আমি ভর্তি রশিদ দেখালাম। তারা আমাকে গেটে প্রবেশ করতে দিল । সােজা পৌছে গেলাম ক্লাসে । চারদিকে প্রায় সবাই অপরিচিত। আমার পাশের ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম তােমার নাম কী? সে বলল- ফারহান। সে আমার নাম জিজ্ঞেস করল। বললাম- ইমন। ফারহানকে আমার ভালাে লাগল । খুবই হাসিখুশি পাবন্ত ছেলে। শিক্ষক আসার আগে আরও কয়েকজনের সাথে পরিচয় হলাে। ১২:০০টা বাজলে একজন শিক্ষক এলেন, নাম বললেন শহিদুল ইসলাম। তিনিই আমাদের বাংলা শিক্ষক। তিনি আমাদের করণীয় সম্পর্কে আকর্ষণীয় ভাষায় সাবলীল ভঙ্গিমায় বক্তব্য দিলেন। তাঁর বাচনভঙ্গি, কণ্ঠস্বর, আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করল । এরপর আরও ২টি ক্লাস হলাে। তারপর টিফিন পিরিয়ড এ সময় আমরা পুরাে কলেজ ঘুরে দেখলাম। ২টি খেলার মাঠ, ৭টি বৃহৎ ভবন, ২টি ক্যানটিন, ১টি লাইব্রেরি, ১টি মিলনায়তন নিয়ে বিশাল ক্যাম্পাস। নাশতা করলাম, বন্ধুদের সাথে গল্প করলাম। টিফিনের পর আরও ৩টি ক্লাস হলাে ৪:৪৫ মিনিটে আমাদের ছুটি হলাে। আনন্দময় একটা দিন কাটিয়ে বাসায় এলাম । দিনটি স্মৃতির পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ।
(খ) উত্তরঃ
তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০০৯
বরাবর,
অধ্যক্ষ
সরকারি আশেক মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, জামালপুর।
বিষয় : কলেজের ছাত্রাবাস সমস্যার ওপর একটি প্রতিবেদন।
জনাব,
আপনার দপ্তর থেকে ১২ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে পাওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের কবি নজরুল ছাত্রাবাসের সমস্যার ব্যাপারে আপনার অবগতির জন্য প্রতিবেদন পেশ করছি-
১. কলেজের কবি নজরুল ছাত্রাবাস একটি পুরনো ও বৃহৎ ছাত্রাবাস। এ ছাত্রাবাসের কক্ষ সংখ্যা ৪০ এবং আবাসিক ছাত্রসংখ্যা ১২০। উল্লেখ্য, ছাত্রাবাসের সব আবাসিক ছাত্রই উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির।
২. ছাত্রাবাসের কোনো অফিস রুম বা হোস্টেল সুপারের কক্ষ নেই। গেস্টরুম নেই। ছাত্রদের জন্য কমন রুম নেই। যে রুমে ছাত্ররা ডাইনিংয়ের কাজ সম্পন্ন করে, সেখানে একটি দৈনিক পত্রিকা রাখা আছে। তার পাশেই একটি টেলিভিশন রাখা আছে।
৩. ছাত্রাবাসের বাথরুম সংখ্যা দুটি, যা ছাত্রাবাসের একেবারে উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নেই। রাতে অন্ধকারে আবাসিক ছাত্রদের প্রয়োজনীয় প্রস্রাব- পায়খানার কাজ সারতে খুব সমস্যা হয়।
৪. ছাত্রাবাসটি বেশ পুরনো হওয়ায় ছাত্রাবাসের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ার উপক্রম।
৫. ছাত্রাবাসের একটি মাত্র টিউবওয়েল আছে। তাও দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় মাঝেমধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ছাত্ররা পানির সমস্যায় ভুগছে। একটি নলকূপ দিয়ে এত ছাত্রের খাওয়া-দাওয়া, রান্না, গোসল, কাপড় পরিষ্কার করা খুবই কষ্টের ব্যাপার।
৬. ছাত্রাবাসের ডাইনিং রুম বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। রুমের অবস্থা খুবই খারাপ। ডাইনিং টেবিলটি জরাজীর্ণ এবং চেয়ার সংখ্যা অপর্যাপ্ত। একসঙ্গে এত ছাত্রের খাবারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, বিশেষ করে দুপুরে খাবারের সময় অনেকেই বসতে পারে না। তাড়াহুড়াকরেদাঁড়িয়েখানাখেতেদেখাযায়। পর্যাপ্তসংখ্যক প্লেট, গ্লাস ও জগ নেই।
৭. ছাত্রাবাসটি কলেজের কাছে, হোস্টেল সুপারের তদারকি খুব সামান্যই। কলেজের নিয়োগ করা বাবুর্চি, নৈশপ্রহরী নেই। ছাত্রদের মধ্য থেকে প্রতি মাসে দুই জন ডাইনিং ম্যানেজার নির্ধারিত হয়। তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে দুই জন লোক রেখে রান্নাবান্না ও খাদ্য সরবরাহ করে। ছাত্ররা পালাক্রমে প্রতিদিন বাজার করে। কাজের লোক মাঝেমধ্যে না বলে চলে যায়। তখন ছাত্ররাই গ্রামে গিয়ে পরিচিতদের সহায়তায় নতুন লোক জোগাড় করে। এ ধরনের সমস্যার কারণে ছাত্ররা নিয়মিত ডাইনিংয়ে না খেতে বাজারের হোস্টেল থেকে চড়া মূল্যে খাবার কিনে খেয়ে মাস শেষ হওয়ার আগেই অভিভাবকের দেওয়া টাকা শেষ করে ফেলে। কেউ কেউ ছাত্রাবাস ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়।
৮. ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক একজন শিক্ষক। তিনি থাকেন কলেজ থেকে বেশ দূরে নিজ বাসায়। কলেজ চলাকালেতিনিমাঝেমধ্যেএসেএকটু খোঁজখবর নেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্রাবাসের লেখাপড়ার পরিবেশ নেই। কলেজের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হয়েছে। পড়াশোনার বদলে আড্ডাই বেশি চলে। ছাত্র নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ছাত্রাবাস নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের ছত্রচ্ছায়ায় অসামাজিক- অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটে বলে শোনা যায়।
৯. কলেজের মেধাবী ছাত্রদের জন্য ছাত্রাবাসটি বরাদ্দের কথা থাকলেও তারা অনেক সময় সিট পায় না। কখনো কখনো দু- চারজন মেধাবী ছাত্র হোস্টেলে সিট পায়, লেখাপড়ায় অনুকূল পরিবেশ না থাকায় তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে। অত্র কলেজের ছাত্রাবাসের নিরীহ ও মেধাবী ছাত্রদের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ যেন শিগগিরই একজন দক্ষ, যোগ্য হোস্টেল সুপার নিয়োগ দিয়ে ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্রদের সব মৌলিক সমস্যা দূর করে। তাহলেই ছাত্রদের লেখাপড়া ও আবাসন সমস্যার সমাধান হবে।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা : গোলাম হায়দার।
প্রতিবেদনের শিরোনাম : কলেজ ছাত্রাবাসের সমস্যা।
প্রতিবেদন তৈরির সময় : বিকেল ৫টা, ২৫ এপ্রিল ২০০৯।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) চা বাগান দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সম্পর্কে-প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ কর।
(ক) 'জাতীয় গ্রন্থমেলায়' কাটানো একটি দিন সম্পর্কে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) 'যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে করণীয়'- এই সম্পর্কে তোমার মতামত জানিয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি কর।
(ক) তোমার কলেজে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন বিষয়ে একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) 'ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।