৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) কোনো একটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের দিনলিপি তৈরি করো।
অথবা,
(খ) সড়ক দুর্ঘটনা ও তার প্রতিকার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
(ক) উত্তরঃ
১০ এপ্রিল ২০২৪
বুধবার
রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
নওগাঁ।
আজ সারাদিন আমার জন্য খুবই আনন্দের ছিল। আমরা ক্লাসের সব বন্ধু মিলে নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে গেলাম। ভোরে আমরা ১০ জন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে জামালগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হলাম। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে। নওগাঁ জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার হওয়ায় আমরা জামালগঞ্জ দিয়েই গেলাম। পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারটি ১৮৭৯ সালে আবিষ্কৃত হয়। আমরা সেখানে পৌঁছে প্রথমেই বিহারটি ঘুরে দেখা শুরু করলাম। এর ভূমি পরিকল্পনা আমাকে মুগ্ধ করল। আমরা ১০ বন্ধু দুটি দলে ভাগ হয়ে বিহারটি ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। আমাদের সঙ্গে একজন গাইড ছিলেন। তিনি আমাদের জানালেন এই বিহারটিতে ৮৯টি কক্ষ রয়েছে। তিনি আরও জানালেন, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা লাভ করে। বিহারটি অনেকক্ষণ। ঘুরে দেখার পর আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর আবার বিহারের ছোটো-বড়ো কক্ষগুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম। জানতে পারলাম, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারটি পাল বংশের রাজা ধর্মপাল অষ্টম বা নবম শতকে তৈরি করেন। সারাদিন বিহারটি ঘুরে ঘুরে দেখার পর আমরা বিকাল ৫টায় ট্রেনে করে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
(খ) উত্তরঃ
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি: কারণ ও প্রতিকার
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ নরসিংদী ॥ ১ জুন ২০২৪॥ বেদনাদায়ক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাই দুর্ঘটনা। আজকাল সড়ক দুর্ঘটনা একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সারাদেশে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে সড়ক দুর্ঘটনা। আর এই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিদিনই নানা বয়স ও পেশার মানুষ। আত্মীয়স্বজন, মেধাবী ছাত্র, বুদ্ধিজীবীসহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের খুব কাছের প্রিয় মানুষটিও। তাই এখনই সময়, এই সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করে তা থেকে প্রতিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। নিম্নে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরা হলো-
ক. সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব; খ. অসতর্কতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো; গ. যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় নামানো; ঘ. গাড়ির ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করা; ঙ. ভাঙা ও অপ্রশস্ত রাস্তাঘাট; চ. লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক; ছ. ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানো; জ. ট্রাফিক আইন মেনে না চলা।
নিচে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়গুলো দেওয়া হলো-
১. সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিরাপদ সড়ক। ২. দুর্ঘটনা এড়াতে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে জনগণকে সচেতন করা। ৩. সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানো। ৪. যান্ত্রিক ত্রুটি আছে এমন গাড়ি রাস্তায় নামানো বন্ধ করা। ৫. চালকদের দক্ষতা যাচাই করা এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। ৬. লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করা। ৭. যানবাহন চলাচলের সরু রাস্তা প্রশস্ত করা। ট্রাফিক আইন মেনে চলা। ৮. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল তোলা বন্ধ করা। ৯. নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি না চালানো। ১০. হাঁটার জন্য পথচারীদের ফুটপাত ব্যবহার করা।
উল্লিখিত বিষয়গুলো মেনে চললে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) তোমার কলেজে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
অথবা,
(খ) জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি করো।
(ক) কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার, কলেজ ছাত্রাবাসের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
(ক) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তোমার অনুভূতি ব্যস্ত করে দিনলিপি রচনা করো।
অথবা,
(খ) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করো।