বৈদ্যুতিক চিঠি ও আবেদন পত্র
(ক) তোমাদের কলেজে অনুষ্ঠিতব্য সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে একজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব বরাবর একটি ই-মেইল তৈরি কর।
অথবা ,
(খ) তোমাদের এলাকায় বিজয় দিবস উদ্যাপনের বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখ।
ক) উত্তরঃ
From: | polash.hasan@gmail.com |
To: | abir-sss@gmail.com |
Cc: | principle@yahoo.com, hosian70@yahoo.com |
Subject: | সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ। |
Text:
শ্রদ্ধেয় স্যার,
আশা করি ভালো আছেন। আসছে ২৭.০৫.১৯ তারিখে আমাদের কলেজে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে দুইটি মূল পর্ব রয়েছে। প্রথম পর্বে থাকবে, সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গের আসন গ্রহণ ও তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান। দ্বিতীয় পর্বে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ ও অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার জন্য আপনাকে একান্তভাবে অনুরোধ করছি।
পলাশ
খ) উত্তরঃ
লালবাগ, ঢাকা ।
১৮ ডিসেম্বর ২০২০
প্রিয় মালা
আমার আন্তরিক ভালােবাসা ও বিজয়ের শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তােমার পত্র পেয়েছি । পত্র পাঠে তােমার বিস্তারিত কুশল সংবাদ জেনে চিন্তা মুক্ত হলাম। এবারের বিজয় দিবস আমরা কিভাবে উদযাপন করেছি তা জানতে চেয়েছ । আমাদের জাতীয় জীবনের এরূপ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনের কথা জানতে চাওয়ায় তােমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। বস্তুত ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গৌরবের দিন, আনন্দের দিন, আবার বেদনারও দিন । আজ আমি আমাদের কলেজে উদ্যাপিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে তােমাকে কিছু লিখতে চাই।
এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আমরা কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত হই । মাইকে বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত ‘আমার সােনার বাংলা আমি তােমায় ভালােবাসি...' । অধ্যক্ষ মহােদয় স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সােনালি সূর্যের দীপ্ত হাসিতে ভরে ওঠে প্রকৃতির আঙিনা । আমরা দাঁড়িয়ে সসম্মানে জাতীয় পতাকাকে সালাম জানাই। অতঃপর এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে। অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের বিদেহী আত্মার প্রতি। দেশ ও জাতির সার্বিক মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য আমরা সবাই মিলে দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি। এরপর সকাল আটটায় শুরু হয় কলেজের বয়স্কাউটদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিবসটির প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানমালা । দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় সকাল ১১টায় । দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল। কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবােধক গান, বিজয় দিবসের তাৎপর্যের ওপর আলােচনা এবং উপস্থিত বক্তৃতা । বিকালে কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। এতে অংশগ্রহণ করে প্রথম বর্ষ এবং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা। সন্ধ্যায় কলেজ প্রাঙ্গণ আলােকসজ্জায় সজ্জিত। করা হয়। সন্ধ্যা সাতটায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ হয় মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত নাটক ‘কবর’ ।
সব মিলিয়ে এবারের বিজয় দিবস উদযাপন খুবই উপভােগ্য হয়েছে । তােমাদের কলেজে কীভাবে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে তা জানালে খুশি হব। তােমার পত্রের অপেক্ষায় রইলাম। আজ আর নয় । ভালাে থেকো ।
ইতি
তােমার প্রতিধন্য
কুসুম।
[পত্র লেখা শেষে খাম একে খামের ওপরে ঠিকানা লিখতে হয়।]
(ক) বনভোজনে যাওয়ার ইচ্ছা জানিয়ে তোমার সহপাঠীদের একটি বৈদ্যুতিন চিঠি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের অব্যবস্থার কথা জানিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি চিঠি লেখ।
(ক) বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে একটি ই-মেইল পাঠাও।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে 'নজরুল জয়ন্তী' উদযাপন উপলক্ষে একটি আমন্ত্রণপত্র রচনা কর।
(ক) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুকে একটি ক্ষুদেবার্তা লেখ।
অথবা, (খ) শিক্ষা সফরে যাবার অনুমতি ও আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়ে অধ্যক্ষের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখ।
(ক) দলগত অধ্যয়নের গুরুত্ব বর্ণনা করে তোমার বন্ধুকে একটি বেদ্যুতিন চিঠি লেখ।
অথবা,
(খ) দেশের বর্তমান যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি আবেদনপত্র লেখ।