৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) তোমার কলেজ জীবনের শেষ দিনের দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) নির্বাচনি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা কর।
(ক) উত্তরঃ
২৪ জানুয়ারি, ২০২২
রবিবার
কুমিল্লা।
আমাদের জীবনে বিদায় কথাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তবে আমি আজ আমার জীবনের যে বিদায় অনুষ্ঠানের কথা লিখছি তা একই সাথে বেদনার এবং কিছুটা আনন্দেরও। সামনে আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা। সেই সাথে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি আমাদের জীবনের লক্ষ্য পূরণের জন্য। কলেজের শেষ দিনে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের উন্নতি কামনায় প্রতিবছরই আমাদের কলেজে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে বিদায় যে এত কষ্টের তা আগে বুঝিনি। আজকের বিদায়বেলার অনুষ্ঠানে আমাদের ব্যাচের সকলেই শেষবারের মতো উপস্থিত ছিলাম চিরচেনা কলেজ প্রাঙ্গণে। বিদায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মহোদয় এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন এই এলাকার চেয়ারম্যান। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত গাওয়ার সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমাদের ছোটদের পক্ষ থেকে একজন বিদায়পত্র পাঠ করে। তারপরেই আমাদের ব্যাচের সকলের পক্ষ থেকে তিন বিভাগের তিনজন ছাত্র দুই বছরের কলেজ জীবনের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখে। এরপর প্রত্যেক বিভাগের নির্বাচিত কয়েকজন শিক্ষক, চেয়ারম্যান এবং সবশেষে অধ্যক্ষ মহোদয় আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনায় উপদেশমূলক বক্তব্য রাখেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কণ্ঠে ভেসে উঠেছিল বিদায়ের করুণ সুর। তাঁরা বারবার বলছিলেন, 'যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়।' অতঃপর দোয়া মাহফিল ও ফুলেল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। অনুষ্ঠানের শেষে সকলে মিলে শিক্ষকদের সাথে ছবি তুললাম এবং বিদায় নিলাম। কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আবার আমাদের দেখা হবে এই কামনায় যে যার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলাম । বাড়ি এসে এখন খুব খারাপ লাগছে।
(খ) উত্তরঃ
নির্বাচনি পরীক্ষার আগে আমার জ্বর হয়েছিল। স্বভাবতই আমার শরীর ছিল দুর্বল। মা-বাবার উৎসাহেই আমি নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। প্রতিটি পরীক্ষার দিনেই আমার মনে হয়েছে আমি বোধহয় কিছু লিখতে পারবো না। কিন্তু প্রশ্ন হাতে পেয়ে লিখতে শুরু করলে আর তা মনে হয় নি। প্রথম থেকে প্রতিটি পরীক্ষা আমার ভালোই হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমার মনে হয়েছে আমি জিপিএ-৫ পাবো। কিন্তু ফল প্রকাশের আগের দিন থেকে আমার বুকের ভেতর দুরু দুরু করতে থাকে। কেমন একটা ভয়! আমি জিপিএ-৫ পাব তো! আশা নিরাশার দোলায় রাতটা কেটে যায়। সকাল বেলায় আমাকে ডাকতে এসে আমাকে ভরসা দেন, তুই যেমন আশা করেছিস তোর রেজাল্ট তেমনই হবে। এখন উঠে তৈরি হয়ে নে। ন’টা বেজে গেছে। তাড়াতাড়ি তৈরি হলাম। নাশতা খেলাম। তারপর বেড়িয়ে পরলাম। কলেজ গেটে আসতেই রাজিব ফোন করে খবরটা দিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভেতরে ঢুকতেই আশরাফ, শামসু, মহির, সুভাষ, নাজির আমাকে জড়য়ে ধরে অভিনন্দন জানাল। আমি এগিয়ে গেলাম রেজাল্ট বোর্ডের দিকে। দেখে আমার চোখ ছানাবড়া। সত্যিই দেখছি তো! রসায়সেন স্যার এসে বললেন, হ্যাঁ, সত্যিই তুমি তিন গ্রুপ মিলিয়ে প্রথম হয়েছ। এক অনাস্বাদিত আনন্দ নিয়ে স্যারদের সালাম করে বাড়ি চলে এলাম। স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা জানালাম অনেকবার। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে কপাল্ব চুমু খেলেন। আর বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে এ রেজাল্ট ধরে রাখার জন্য আশীর্বাদ করলেন। মনে মনে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম আমাকে আরও ভালো করতে হবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) চা বাগান দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সম্পর্কে-প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ কর।
(ক) 'জাতীয় গ্রন্থমেলায়' কাটানো একটি দিন সম্পর্কে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) 'যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে করণীয়'- এই সম্পর্কে তোমার মতামত জানিয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি কর।
(ক) তোমার কলেজে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন বিষয়ে একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) 'ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।