১১ সংলাপ / খুদেগল্প
(ক)
নারী শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ রচনা কর।অথবা,
(খ) '
পথ শিশুদের জীবন' শিরোনামে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) উত্তরঃ
জারিফ : নারীশিক্ষার দরকার নেই, এই অযৌক্তিক কথা কেন বলছ শরীফ?
শরিফ : কারণ নারীরা শিক্ষিত হলে তারা অতিরিক্ত চালাক আর বেয়াদ হয়ে যায়।
জারিফ : একটা উদাহরণ দাও।
শরীফ : কেন, হাবিবের মেয়েটাকে দেখলে না কেমন বাপের মানসম্মান তোয়াক্কা না করে হাসিবের হাত ধরে বেরিয়ে গেল।
জারিফ : তারা কি খারাপ আছে? নাকি বাবা-মার খোঁজখবর নেয় না?
শরীফ : না, তা নয়। কিন্তু সোহানা কী করল? তার মামার গালে ঠাস করে একটা চড় মারল।
জারিফ : কেন মারল সেটা বল। প্রথমত মামা খুব জঘন্য অন্যায় করেছে, আর দ্বিতীয়ত সোহানা ওর মামার চেয়ে বয়সে বড়। কাজেই শাসন করতেই পারে। আচ্ছা, মামা কি তোমার কাছে নালিশ করেছিল?
শরীফ : না, তা করেনি।
জারিফ : তুমি যে দুজনের কথা বললে তারা তো গ্রাজুয়েট। তারা চাকরি করছে, সংসারের কাজ করছে। আবার বাচ্চাদেরও পড়াচ্ছে। যদি শিক্ষা লাভ না করত তাহলে কি এ দায়িত্ব পালন করে এত ভালো থাকতে পারত?
শরীফ : তবুও…
জারিফ : আর কোনো ‘তবুও’ নেই। এখন যে কঠিন সময় তাতে নারী-পুরুষ সবাইকে সমান তালে কাজ করতে হবে। না হলে সংসার ঠিকমতো চলবে না।
শরীফ : তুমি ঠিকই বলেছ। আমি উদার মনে বিষয়টা ভেবে দেখিনি। শুধু শিক্ষা নয়, পুরুষের মতো নারীদেরও উচ্চ শিক্ষা দরকার।
(খ) উত্তরঃ
পথ শিশুদের জীবন
রায়হান দীর্ঘদিন কানাডা বসবাস করছে। শীতের এক ছুটিতে তিনি ঢাকা আসেন। রায়হান বাংলাদেশী হলেও তার স্ত্রী কানাডিয়ান। হযরতশাহজালাল বিমানবন্দরে সকাল ৬:৩০ ঘটিকায় তাদের বিমান এসে পৌছায়। দুজন নেমে বিমানবন্দরের যাবতীয় নিয়ম-কানুন শেষে বাইরেআসেন। সরাসরি তারা দুজন ওভারব্রিজ পার হয়ে রেলস্টেশনে আসেন।গ্রামের বাড়িতে যাবেন রেলগাড়িতে।
রেলস্টেশনে এসে রায়হানের স্ত্রীর মাথা ঘুরছে। রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে সারিবদ্ধভাবে শুয়ে আছে অসংখ্য শিশু। রায়হানের স্ত্রী এলিজার তাদের বয়স অনুমান করতে কষ্ট হলো না। এলিজা রায়হানকে প্রশ্ন করে এসব শিশু কাদের? কেনই বা তাদের এ দুরবস্থা? প্রচণ্ড শীতে তাদের গায়ে নেই কোনো শীতবস্ত্র। একজন আরেকজনের গায়ের উপর পা দিয়ে তারা মনের আনন্দে ঘুমাচ্ছে। পেট দেখেই সে বুঝতে পারে ঠিকমতো তারা খেতে পায়নি। তাই পুষ্টির অভাবে শরীরের এ বেহাল দশা। ঠিকমত তারা গোসলও করে না। রায়হান এসব শিশুদের সম্পূর্ণ পরিচয় তুলে ধরলেন তার স্ত্রী এলিজার নিকট। এলিজা বুঝতে পারল এরা সবাই পথ শিশু। পথ শিশুদের এত কষ্ট দেখে এলিজার ভেতরের মানুষটি জেগে উঠল। তার মাতৃহৃদয় অজানা স্নেহ-মমতায় কেঁদে উঠল। রায়হানের দুহাত জড়িয়ে ধরলো এলিজা। কান্নারত কণ্ঠে বলল, আমাদের তো অনেক সম্পদ আছে। তাছাড়া এত বছরের দীর্ঘদিনের সংসারে আমাদের কোলজুড়ে বিধাতা কোনো সন্তানও দিল না।
আমরা কি পারিনা এসব শিশুদের মা-বাবা হতে? স্ত্রীর আবেগজড়িত কণ্ঠ শুনে রায়হানেরও ভারি মমতা হলো সেসব পথ শিশুদের প্রতি। তারা স্থির করল সবাইকে একটা বাসে তারা তাদের গ্রামে নিয়ে যাবে। রায়হানের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদি গ্রামে।
ত্রিশজন পথ শিশু নিয়ে রায়হান ও এলিজা দশঘটিকায় তাদের নিজ গ্রামে পৌছালেন। সবাইকে পুকুরের পানিতে ভালো করে শ্যাম্পু-সাবান দিয়ে গোসল করায় এলিজা। সবাইকে নতুন জামা-কাপড় পরিধান করায় এবং ভালো খাবার পরিবেশন করে। কষ্টে জর্জরিত শিশুদের কী যে আনন্দ! রায়হানের ঘরে সবাইকে থাকতে দেওয়া হলো। সবাইকে শিক্ষা দেবার জন্য নিজ উদ্যোগে রায়হান একটি বিদ্যালয়ও স্থাপন করেন। আজ এলিজার মাতৃহৃদয় পরিপূর্ণ। সে আজ ত্রিশজন সন্তানের স্নেহময়ী মা। সবাইকে তিনি ‘খোকন' বলে ডাকেন, পথশিশুরাও সবাই নিজ নিজ পরিচয় ভুলে এলিজাকেই তাদের মা বলে আপন করে নেয়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) নিরাপদ সড়ক চাই বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর ।
অথবা,
(খ) "তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? উদ্দীপকটি অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) মেট্রোরেল ভ্রমণের আনন্দকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সংলাপ তৈরি কর।
অথবা, (খ) 'স্বপ্ন পূরণের আশা' শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ।
(ক) 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আবহমান বাংলাদেশ' বিষয়ে পিতা ও কন্যার সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) নিচের উদ্দীপক অনুসরণ করে একটি খুদে গল্প লেখ।
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল। খালের ধারের আমগাছটার নিচে বসে আছে আয়মান। হঠাৎ পিছনে কারো পায়ের শব্দ শুনে চমকে উঠলো সে।....
(ক) অবকাশে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যকার সংলাপ উপস্থাপন কর।
অথবা,
(খ) 'আশায় বসতি' শিরোনামে নিচের ইঙ্গিত অবলম্বনে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা কর:
বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করে রিপনের মা। রিপনকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার আশা বুকে। হঠাৎ সেদিন...