১১ সংলাপ / খুদেগল্প
(ক) নারী শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে বাবা ও মেয়ের মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) প্রদত্ত শিরোনাম অবলম্বনে গল্প লেখ: 'স্বপ্নের চাবি'।
(ক) উত্তরঃ
বাবা : সুরভী, মা তােমার তাে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ। এবার তুমি কী করবে?
মেয়ে: বাবা, আমার বান্ধবীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ে অংশ নিচ্ছে। আমিও ভর্তি হতে চাই।
বাবা : এটাতাে খুব ভালাে কথা। আমি চাই আমার মেয়ে অনেক দূর পর্যন্ত লেখাপড়া করবে । বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য শিক্ষাই এখন বড়াে হাতিয়ার। আজকাল ছেলেদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মেয়েরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। তুমি কি এ বিষয়টা উপলব্ধি করতে পার?
মেয়ে : হ্যা বাবা, আমাদের কলেজের ইংরেজির শিক্ষকও এ বিষয়ে আমাদের সচেতন করতেন । আমিও স্বপ্ন দেখি বড়াে কিছু হওয়ার। আমি নিজের একটা পরিচিতি গড়ে তুলতে চাই।
বাবা : একটা কথা সবসময় মনে রেখাে, তুমি যতদূর পর্যন্ত লেখাপড়া করতে চাও করবে। আমি ও তােমার মা সবসময় তােমার পাশে থাকব। আমি চাই তুমি আইন বিষয়ে পড়। আমার স্বপ্ন তুমি আইনজীবী হবে । রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ে সাহসিকতার প্রমাণ রাখবে । সারা দেশে তােমার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। এটা কেবল নাম, যশ, প্রতিপত্তির জন্যই নয়, বরং সমাজে তােমার পরিচিতি গড়ে তােলার জন্যও জরুরি।
মেয়ে : আমিও এমন কিছু করতে চাই, যেন সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারি । শিক্ষা না থাকলে সভা প্রতিপন্ন করে। আমি পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাই।
বাবা : অবশ্যই মা। বর্তমানে নারীশিক্ষার ব্যাপারে আমাদের দেশে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে দেশের প্রধান প্রধান পদ অলংকার করে আছেন নারীরা, সে দেশে নারীরা পিছিয়ে থাকবে এটা ভাবাই যায় না। তুমি তােমার স্বপ্ন পরণের পথে অগ্রসর হও। এর জন্য সকল সহায়তা ও পরামর্শ আমরা তোমাকে দেবো।
মেয়ে: ধন্যবাদ বাবা তােমরা আমার সাথে থাকলে আমি সবকিছু জয় করতে পারব। আমি উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য নারীকেও শিক্ষিত হয়ে উঠতে উদ্বুদ্ধ করব।
(খ) উত্তরঃ
'স্বপ্নের চাবি'
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। সহপাঠীরা আমাকে নিয়ে ঈর্ষা করে। তারাও হয়তো আমার বর্তমান অবস্থানে আসতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। আমি পেরেছি। এ নিয়ে আমার আনন্দের সীমা নেই। পত্রপত্রিকায় আমার এ কৃতিত্বের খবর বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। আজ আমার বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে আমি প্রথম ক্লাস নিতে যাচ্ছি। কিন্তু নিজেকে কেমন যেন খুঁজে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন উচ্চ মাধ্যমিক পাস করলাম। পাসের পর ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য নিরবচ্ছিন্ন পড়ালেখাও শুরু করলাম। এসব ভাবতে ভাবতে কথম যে সিঁড়ির কাছে চলে এসেছি বুঝতে পারিনি। হোঁচট লেগে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম সিঁড়ির গোড়ায়। উঠে দেখি আমি চেয়ার থেকে নিচে পড়ে গেছি। পড়তে পড়তে টেবিলে মাথা দিয়ে কথন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারিনি। স্বপ্নটা ভেঙে যাওয়ার প্রথমে খারাপ লাগলেও একটা অজানা তৃপ্তি আমার সমস্ত সত্তাজুড়ে খেলা করতে লাগল। কী দুর্দান্ত স্বপ্নটাই না দেখলাম। আঃ মনটা জুড়িয়ে গেল! মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, স্বপ্ন যখন আমি দেখেছি তখন তা পূরণের জন্য যা যা করতে হয়, জীবন বাজি রেখে সেগুলো করব। স্বপ্নের চাবি যখন আমার হাতে তখন আমাকে পেছনে পড়ে থাকলে চলবে না। আমার স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায় দিয়ে স্বপ্নের চাবিকে জীবনে জয়ী হওয়ার চাবিতে পরিণত করব এবং জয়ী আমি হবই।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক)
জ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞানের ভূমিকা দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপতৈরি কর।
অথবা,
(খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে 'পানি-দূষণ' বিষয়ে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা কর:-
লঞ্চ ভ্রমণের সময় বুড়িগঙ্গা নদীর পানির রং দেখে রাহাত বিস্মিত হয়।…………….
(ক) নিরাপদ সড়ক চাই বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর ।
অথবা,
(খ) "তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? উদ্দীপকটি অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) মেট্রোরেল ভ্রমণের আনন্দকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সংলাপ তৈরি কর।
অথবা, (খ) 'স্বপ্ন পূরণের আশা' শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ।
(ক) 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আবহমান বাংলাদেশ' বিষয়ে পিতা ও কন্যার সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) নিচের উদ্দীপক অনুসরণ করে একটি খুদে গল্প লেখ।
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল। খালের ধারের আমগাছটার নিচে বসে আছে আয়মান। হঠাৎ পিছনে কারো পায়ের শব্দ শুনে চমকে উঠলো সে।....