১১ সংলাপ / খুদেগল্প
(ক) বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা করো। নিচের উদ্দীপক অনুসরণে একটি খুদেগল্প লেখো: সংসারের চাকা সচল রাখতে রোমানা অন্যের বাসায় ঝি-এর কাজ বেছে নেয়, তার একমাত্র মেধাবী কন্যার স্বপ্ন পূরণের.....
বই পড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে দুই বন্ধুর সংলাপ
মনিকা : কেমন আছ, বান্ধবী? সাবরিনা ভালো। তুমি কেমন আছ?
মনিকা : তোমার হাতের ব্যাগে কী?
সাবরিনা: বই। নীলক্ষেত মার্কেট থেকে কিছু বই কিনে আনলাম।
মনিকা : তোমার বই পড়ার অভ্যাসটা খুবই ভালো। আমিও পড়ার চেষ্টা করি। তবে তোমার মতো অতটা পেরে উঠি না। সাবরিনা না, আমিও যে খুব বেশি পড়ি তা নয়। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বন্ধুরা আমাকে মিছেমিছি বইপোকা বলে ডাকে।
মনিকা : মানুষের যতগুলো সুঅভ্যাস রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বই পড়াই শ্রেষ্ঠ। বই মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তোলে। তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ সাধন করে থাকে। সাবরিনা: তা ঠিক বলেছো। বই আমাদের পৃথিবীর অতীত থেকে শুরু করে বর্তমানে জীবিত শ্রেষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এক দুর্লভ সুযোগ করে দেয়।
মনিকা : বই হলো জ্ঞানের আধার। বই মানেই জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার প্রতিচ্ছবি। মানবজীবনের চিন্তা-চেতনার বাস্তব প্রতিফলন ছাপার আখরে ধরা পড়ে বইয়ের পাতায়। এ কারণে বই মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সাবরিনা বই পড়লে আর ভ্রমণ করার প্রয়োজন পড়ে না। বই তোমাকে মুহূর্তের মধ্যেই কোনো এক অজানা জগতে নিয়ে যাবে কিংবা এমন কোনো সময়ে তুমি ভ্রমণ করবে যা তুমি কখনো কল্পনাও করোনি।
মনিকা : ঠিক বলেছো, সাবরিনা। বই যেন অমাদের এক কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায়। সেখানে দেখি কোনো কিছুই যেন আর অসম্ভব নয়। পড়ার মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত জানা জিনিস বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আবিষ্কার করতে পারি আমরা। জানতে পারি কীভাবে আচরণের ভিন্নতায় ফলাফলেও পরিবর্তন আসে। সাবরিনা তাই তো সৈয়দ মুজতবা আলী লিখেছেন, 'রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা।'
মনিকা : অনেকেই পড়ুয়াদের বাস্তবজ্ঞানবর্জিত অলস বলে ঠাট্টা- তামাশা করে। তখন আমার খুবই মন খারাপ হয়। সাবরিনা দেখো, কারো কথায় কিছু আসে যায় না। বই পড়া থেকে আমরা নির্মল আনন্দ, বুদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জন করে থাকি। বই পড়তে হয় একাকী। এতে অবসর ভরে ওঠে নির্মল আনন্দে। বুদ্ধি আসে বইয়ের কথামালা থেকে। আর সক্ষমতা আসে গ্রন্থগত বিদ্যার সঙ্গে বিষয়বুদ্ধির সংশ্লেষে।
মনিকা : আজকাল আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস যেন ক্রমশই উঠে যাচ্ছে। ইন্টারনেটেই বুঁদ হয়ে থাকছে তারা। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।
সাবরিনা : আমি তোমার সঙ্গে এই বিষয়টিতে একমত নই। অনেকেই বলে থাকেন, টিভি, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন আমাদের বই পড়ার অভ্যাস থেকে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন করে চলেছে। এই কথাগুলো শুনলে আমার হাসি পায়। ইন্টারনেট ও মোবাইল ই-বুকের এক বিশাল ভান্ডার তুলে ধরেছে আমাদের সামনে। তরুণ প্রজন্ম অনেক ওয়েবসাইটে ঢুকে বিনামূল্যে বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে বই কেনার খরচ ও সময় দুই-ই বেঁচে যাচ্ছে।
মানিকা : আমি আবার ইন্টারনেটে বই পড়তে পারি না। হার্ডকপি না আমি পড়ে মজা পাই না। সাবরিনা: হলে ইন্টারনেট হোক আর বাঁধাই করা বই হোক পড়লেই হলো। কীভাবে পড়লাম- এর চেয়েও বড় কতটুকু পড়লাম। ভবিষ্যৎ জীবন গঠনে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
মনিকা : হ্যাঁ। বই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বিশ্বজগতের সমুদয় জ্ঞানের সঙ্গে আমরা বইয়ের মাধ্যমেই পরিচিত হই। বই আমাদের সুনাগরিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
সাবরিনা: ঠিক তাই। আমার পড়া শেষ হলে আমার কেনা বইগুলো তুমি নিয়ে পড়তে পারো।
মনিকা : নিশ্চয়ই পড়বো। আজ তাহলে চললাম। ভালো থেকো। সাবরিনা: তুমিও ভালো থেকো। বিদায়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক)
জ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞানের ভূমিকা দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপতৈরি কর।
অথবা,
(খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে 'পানি-দূষণ' বিষয়ে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা কর:-
লঞ্চ ভ্রমণের সময় বুড়িগঙ্গা নদীর পানির রং দেখে রাহাত বিস্মিত হয়।…………….
(ক) নিরাপদ সড়ক চাই বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর ।
অথবা,
(খ) "তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? উদ্দীপকটি অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) একটি ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা করো।
অথবা,
(খ) গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়ানো বিষয়ে একটি খুদেগল্প রচনা করো।
(ক) মেট্রোরেল ভ্রমণের আনন্দকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সংলাপ তৈরি কর।
অথবা, (খ) 'স্বপ্ন পূরণের আশা' শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ।