৫ । বাক্যতত্ত্ব
ক) বাক্য কাকে বলে? গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করঃ
অথবা,
(খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যে কোনো পাঁচটির বাক্যান্তর কর :
(i) পুলিশের লোক জানিবে কী করিয়া? (নেতিবাচক)
(ii) ভুল সকলেই করে। (প্রশ্নবাচক)
(iii) বিপদে ধৈর্য ধরা উচিত। (অনুজ্ঞাসূচক)
(iv) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
(v) চুপ করো। (নির্দেশাত্মক)
(vi) মেঘ হলে বৃষ্টি হবে। (জটিল)
(vii) এটি ভারি লজ্জার কথা। (বিস্ময়সূচক)
(viii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই একথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
ক.)
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদ বা শব্দের সমন্বয়ে যখন বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পায় তখন তাকে বাক্য বলে। যেমন— ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত। উপরের উভয় পদসমষ্টিই মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করছে। সুতরাং এদের প্রত্যেকটি এক-একটি বাক্য।
ক. সরল বাক্য, খ. জটিল বাক্য, গ. যৌগিক বাক্য।
ক. সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন— ছেলেটি দৌড়াচ্ছে। এখানে ‘ছেলেটি’ উদ্দেশ্য এবং ‘দৌড়াচ্ছে' বিধেয়।
খ. জটিল বাক্য: যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সঙ্গে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে যুক্ত হয়, তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে।
আশ্রিত বাক্য
যে পরিশ্রম করে
প্রধান খণ্ডবাক্য
সেই সুখ লাভ করে।
গ. যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা জটিল বাক্য সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে, তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন— কঠোর পরিশ্রম করব, তবুও ভিক্ষা করবো না।
অথবা,
(খ)
(i) (নেতিবাচক) পুলিশের লোক জানিবে না।
(ii) (প্রশ্নবাচক) ভুল কে না করে?
(iii) (অনুজ্ঞাসূচক) বিপদে ধৈর্য ধরো।
(iv) (যৌগিক) দশ মিনিট অতিক্রান্ত হলো, তারপর ট্রেন এলো।
(iv) (নির্দেশাত্মক) কথা বলিও না।
(v) (জটিল) যদি মেঘ হয়, তাহলে বৃষ্টি হবে।
(vi) (বিস্ময়সূচক) কী লজ্জার কথা!
(viii) (সরল) বুদ্ধিহীনেরাই বা নির্বোধরাই একথা বিশ্বাস করবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক? উদাহরণসহ লেখো।
অথবা,
(খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যেকোনো পাঁচটি বাক্যের বাক্যান্তর করো:
i. সে আর ভিক্ষা করে না। (প্রশ্নবোধক)
ii. বাংলাদেশ কি একটি উন্নয়নশীল দেশ নয়? (অস্তিবাচক)
iii. তোমার এরূপ ব্যবহার অনুচিত। (নেতিবাচক)
iv. তারা কি যাবে কোথাও? (অস্তিবাচক)
V. লোকটির সবই আছে, কিন্তু সুখী নয়। (জটিল বাক্য)
vi. আমার এমন কিছু নেই, যা তোমাকে দিতে পারি। (সরল)
vii. সূর্যোদয়ে পদ্মফুল ফোটে। (জটিল বাক্য)
viii. যিনি জ্ঞানী, তিনিই সত্যিকার ধনী (সরল বাক্য)
(ক) একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক? উদাহরণসহ বিশ্লেষণ কর।
অথবা,
(খ) বাক্যান্তর কর (যে কোনো পাঁচটি):
(i) কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। (জটিল)
(ii) ছেলেটি অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত। (যৌগিক)
(iii) যারা পরিশ্রমী তারা সফল হয়। (সরল)
(iv) বিড়ালকে বুঝান দায় হইল। (নেতিবাচক)
(v) তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী নয়। (অস্তিবাচক)
(vi) মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবাচক)
(vii) এটি ভারি লজ্জার কথা। (বিস্ময়সূচক)
(viii) দেশের সেবা করা কর্তব্য। (অনুজ্ঞাবাচক)
(ক) গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) ফরিয়াদি প্রসন্ন গোয়ালিনী। (জটিল)
ii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
iii) ওরা আগামীকাল আসবে। (প্রশ্নবাচক)
iv) তার নাম মজিদ। (জিজ্ঞাসাসূচক)
v) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
vi) মাতৃভূমিকে সকলেই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)
vii) আমরা নড়লাম না। (অস্তিবাচক)
viii) সদা সত্য বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
(ক) একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক? উদাহরণসহ লেখো।
অথবা,
(খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যেকোনো পাঁচটি বাক্যান্তর করো:
i. আমার পথ দেখাবে আমার সত্য। (জটিল)
ii. যখন মেঘ গর্জন করে তখন ময়ূর নৃত্য করে। (সরল)
iii. শম্ভুনাথ এ কথায় একেবারে যোগই দিলেন না। (অস্তিবাচক)
iv. বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়। (নেতিবাচক)
V. চক) যদিও সে দরিদ্র, তথাপি চরিত্রবান। (যৌগিক)
vi. শীতে দারিদ্র মানুষের খুব কষ্ট হয়। (বিস্ময়বাচক)
vii. তোমাকে এই খাতায় লিখতে হবে। (অনুজ্ঞাবাচক)
viii. ফুল সকলেই ভালোবাসে। (প্রশ্নবাচক)