৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে একটি ভাষণ প্রস্তুত করো।
অথবা,
(খ) তোমার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ সম্পর্কিত দিনলিপি লেখো:
ক. উত্তর:
'বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয়তা' শীর্ষক সভা-২০১৯
আলোচনা সভার শ্রদ্ধেয় সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ, মঞ্চে উপবিষ্ট আলোচকমণ্ডলী এবং উপস্থিত সুধীবৃন্দ সকলের প্রতি রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজকের এই সামাজিক সচেতনতামূলক সভায় সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি আয়োজকদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
সুধীবৃন্দ,
বাংলাদেশে আজও বাল্যবিবাহ একটি ভয়াবহ সমস্যা। ইউনিসেফের শিশু ও নারী বিষয়ক প্রতিবেদন-২০১৮ অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪ শতাংশ নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছর আগে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স ন্যূনতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো বছর হওয়া বাধ্যতামূলক। অশিক্ষা, দারিদ্র্য, নিরাপত্তাহীনতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে এই আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্যবিবাহ হয়ে আসছে। বাল্যবিবাহের কারণে নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুধীমন্ডলী,
কম বয়সে বিয়ের কারণে মেয়েদের ওপর এর প্রভাব মারাত্মক এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বাল্যবিবাহের ফলে মেয়েদের পড়ালেখার মান কমে যেতে পারে। তাদের আয়-রোজগার কমে যেতে পারে এবং তারা ব্যাপক হারে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হতে পারে। এ ছাড়া গর্ভকালীন জটিলতা থেকে তারা মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারে, যা মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার বাড়িয়ে দেবে।
প্রিয় সহযাত্রীবৃন্দ,
অপর এক প্রতিবেদনের দেখা গেছে, বিশ্বে শিশু জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন মা মারা যাচ্ছেন। অন্যদিকে প্রতি ঘণ্টায় মারা যাচ্ছে একজন নবজাতক। নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে শারীরিক ও মানসিক নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক মা প্রতিবন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে। এক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। কিশোরী মা ও অপরিণত শিশু উভয়ই অপুষ্টি ও নানা ধরনের রোগে ভুগে থাকে। এছাড়াও বাল্যবিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের আশঙ্কা তৈরি হওয়া ছাড়াও নানা পারিবারিক অশান্তি, কলহ দেখা দেয়।
উপস্থিত গুণিজন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দিন বদলের অঙ্গীকারে রয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫৪ থেকে কমিয়ে ১৫ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩.৮ থেকে কমিয়ে ১.৫ করা হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা না গেলে এই লক্ষ্যমাত্রা কোনোভাবেই অর্জন সম্ভব হবে না। বাল্যবিবাহ সংকুচিত করে দেয় কন্যাশিশুর জগৎ। আমরা যদি সবাই সচেতন হই তাহলেই কেবল কন্যাশিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে মা ও শিশুর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। তাই বাল্যবিবাহ বন্ধে সর্বস্তরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এখন থেকেই।
পরিশেষ,
বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। এ ক্ষেত্রে নারীশিক্ষার ওপর বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাটাও জরুরি। মেয়েদের স্বাস্থ্য- সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়েও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। এ ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। ছেলেমেয়ে দু'জনকেই সমান গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি। ছেলেমেয়েদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। এটা বন্ধ করতে হলে কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ছেলেমেয়েদের সচেতন করতে হবে। সরকারি-বেসরকারিভাবে অনেক উদ্যোগ নিতে হবে। গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সবার মনে উদয় হোক শুভ বোধ। সমাজের পথ থেকে অপসারিত হোক বাল্যবিবাহের কাঁটা। শিশু- কিশোরদের, বিশেষত মেয়ে শিশুদের শতদলের মতো ফুটতে দেওয়া হোক।
অথবা,
খ. উত্তর:
৭ মে, ২০২৯ মঙ্গলবার
রাত ১০টা ৪০ মিনিট
চট্টগ্রাম
আজ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি। উঠেছি বললে ভুল হবে। মা-বাবার ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙেছে। আজ আমার এসএসসির ফল প্রকাশের দিন। আমার অন্য ভাইবোনদের তুলনায় আমি মেধাবী হলেও আমি বেশি মনোযোগী ছিলাম খেলাধুলার প্রতি। গণিত আমার কাছে আজন্ম একটি যমদূততুল্য বিষয়। তাই আমার পিতা-মাতার চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু ছিল গণিত।
সকাল থেকে স্বাভাবিক থাকলেও দুপুর থেকে আমার উৎকণ্ঠা বাড়তে লাগল। স্কুলে গিয়ে সবার উৎসাহ-উৎকণ্ঠায় আমি আরও হতভম্ব হয়ে গেলাম। আমার স্কুলের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ইমুকে বললাম, 'বোর্ডে তুই আমার রেজাল্ট দেখবি, আমি তোর রেজাল্ট দেখব। যদি ফেল করি তাহলে দুই বন্ধু কক্সবাজার চলে যাব।' কিন্তু লক্ষ করলাম আমাদের স্কুল থেকে পালানোর যে তিনটি পথ, সেখানে যথাক্রমে আমার খালাতো ভাই মুকুল, মামাতো ভাই রানা ও আরেকটিতে আমার গৃহশিক্ষক দাঁড়িয়ে দূর থেকে আমার গতিবিধি খেয়াল করছেন। আমার উৎকণ্ঠা তখন দ্বিগুণ হয়ে গেল। নোটিশ বোর্ডে ইতোমধ্যে রেজাল্ট শিট টানানো হয়েছে। সবার দেখা শেষ হওয়ার পর আমি গিয়ে দেখলাম ইমু ৪.৬৩ পেয়ে পাস করেছে। এবার ইমু আমার রেজাল্ট দেখতে বোর্ডের দিকে গেল। ইমু রেজাল্ট দেখে মনমরা হয়ে যখন ফিরছে তখন আমার আর বুঝতে বাকি নেই। কিন্তু ইমু কাছে এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলল, দোস্ত তুই পাস করেছিস। আমি ৪.২৫ পেয়েছিলাম। পুরো স্কুলে দুই বন্ধু অনেকক্ষণ ছুটে বেড়িয়েছি। বাসায় ফিরে মাকে বললাম, পাস করেছি; মিষ্টি কিনব, টাকা দাও। মা বললেন, সবার ছেলেমেয়ে পেয়েছে গোল্ডেন A+। আর তুই...? আবার মিষ্টি! যা ভাগ। আমি দ্রুত বাসা থেকে বেরিয়ে সারা সন্ধ্যা মাঠে শুয়ে গান গেয়েছি আর আনন্দে চিৎকার করেছি।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদ্যাপন করেছ তার ওপর একটি দিনলিপি রচনা করো।
অথবা,
(খ) 'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি' বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
(ক) তোমার কলেজে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
অথবা,
(খ) জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি করো।
(ক) কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার, কলেজ ছাত্রাবাসের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।