১১ সংলাপ / খুদেগল্প
(ক) বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিষয়ে দুই বন্ধুর কথোপকথন রচনা কর।
অথবা,
(খ) মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের পরিণাম- বিষয়ে নিচের ইঙ্গিত অবলম্বনে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা কর:-
অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসা অপরিচিত এক নারীকণ্ঠ শুনে সাগর বুঝতে পারে, সে ডায়াল করেছে ভুল নম্বরে……
(ক) উত্তরঃ
রাম : কি করছো বন্ধু?
শ্যাম : এই মাসিক পত্রিকাটির একটি প্রবন্ধ পড়ছিলাম।
রাম : তা প্রবন্ধটির বিষয়বস্তু কি?
শ্যাম : বিশ্ব উষ্ণায়ন।
রাম : তাহলে তো এটি সমকালীন পরিস্থিতির উপর রচিত একটি প্রবন্ধ। কারন আজকাল বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব বেড়েই চলছে।
শ্যাম : তুমি যথার্থই বলেছো বন্ধু এটা বন্ধকী সমকালীন সময় বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ এবং তার ফলাফল সম্পর্কেই রচিত।
রাম : আমার মতে, এ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন রকমের মনুষ্যকৃত কাজকর্ম। যেমন পেট্রোল চালিত যানবাহনের ব্যবহার, কলকারখানা দূষণ, বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাসের উৎপত্তি ইত্যাদি।
শ্যাম : এছাড়াও লাগামছাড়া ভাবে বৃক্ষচ্ছেদন বিশ্ব উষ্ণায়নের সহায়ক হয়েছে।
রাম : এর ফলাফল মারাত্মক যেমন হিমবাহের গলে যাওয়া সমগ্র বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এবং জলবায়ুর বিকৃতি।
শ্যাম : এইসকল ফলাফল আমাদের পৃথিবীতে আস্তে আস্তে বিনাশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
রাম : ঠিকই বলেছ বন্ধু এখনই যদি আমরা এর কোনো প্রতিকার না করে তাহলে অচিরেই মনুষ্যসমাজ অবলুপ্ত হয়ে যাবে এই পৃথিবীর বুক থেকে।
শ্যাম : এর প্রতিকারের জন্য আমাদের বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ গুলিকে প্রাথমিকভাবে রূপ দেয়া হবে এবং প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।
রাম : এই ভাবি যদি আমরা বিশ্ব উষ্ণায়নের উঠতে পারি তবেই আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বাস অযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে পারব।
শ্যাম : তুমি যথার্থই বলেছো বন্ধু।
রাম : আচ্ছা বন্ধু এখন চলি, এই বিষয়ে পরে আবার কোনদিন কথা হবে।
শ্যাম : বিদায় বন্ধু।
(খ) উত্তরঃ
অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসা অপরিচিত এক নারী কন্ঠ শুনে সাগর বুঝতে পারে, সে ডায়াল করেছে ভুল নম্বরে। তবু নিশ্চিত হতে জিজ্ঞাসা করি, এটা কি পিয়াল খন্দকারের নম্বর? বিপরীত দিক থেকে এক নারী কন্ঠ স্বাভাবিকভাবে জানতে চাইলো, আপনি কে? আমি সাগর। কোথা থেকে বলছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়? পিয়ালকে কিভাবে চিনেন? আমি ওনাকে দেখিনি, কথাও হয়নি। ফোন নম্বর কিভাবে পেয়েছেন? আমার রুমমেট আহসান দিয়েছে। পিয়ালের আর কোনো নম্বর আপনার কাছে আছে? না, নেই। তাহলে একটা নাম্বার লিখুন ০১৭১... এই নম্বরে ঘন্টাখানেক পরে ফোন দিলে পাবেন। আপনি কে বলছিলেন? আমি মৌমিতা, পিয়ালের বন্ধু। আরও কিছু? নো, থ্যাংকস। ওকে বাই। এটুকুই কথা হয়েছে ছদ্ম নামধারী মৌমিতার সঙ্গে। তারপর এক ঘন্টা পরে মৌমিতার দেয়া সেই নম্বরে ডায়াল করতেই রিসিভ হলো। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো- হ্যালো, পিয়াল খন্দকার বলছি, হ্যাঁ বলুন। আচ্ছা, আপনি। তা ভালো আছেন তাই? হ্যাঁ, হ্যাঁ মৌমিতা বলেছে। হাঃ হাঃ এই চলছে আর কী? না না ঠিক আছে, তখন বাসায় গেস্ট ছিল, কথা বলছিলাম তাদের সঙ্গে। হ্যাঁ, হ্যাঁ ঠিক আছে। ঠিক আছে অসুবিধা নেই, আমি আপনাকে ঠিকানা দিয়ে দিলে যেতে পারবেন না? গুড, তাহলে লিখুন বাড়ি নং... রোড নং.... উত্তরা, ঢাকা ১২৩০। ঠিক আছে ভাই। আচ্ছা শুনুন, সম্ভব হলে ভালো জামা কাপড় পরে, একটু স্মার্ট হয়ে যাবেন। বুঝতেই পারছেন প্রথমে দর্শনদারি, পরে গুণ বিচারি। আপনি আমার বন্ধুর বন্ধু, তাহলে আমারও বন্ধু। না, না ভাই এভাবে বলবেন না। বন্ধু হয়ে বন্ধুর জন্য কিছু করতে পারা তো আনন্দের। তাহলে কবে যাচ্ছেন? ঠিক আছে। ওকে ফাইন। তাহলে ঐ কথাই থাকল। ওকে বাই। ঠিক আছে আপনার কাজটা আগে হোক তারপর মিট করবো। ওকে। ওকে, বাই। পিয়াল খন্দকারের সাথে কথোপকথন শেষ হলো সাগরের। দীর্ঘ ফোনালাপের মূল বিষয় ছিল চাকরির তদবির। একজন নামি দামি নেতার সাথে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিত বিষয় খুলে বলা। নেতা পিয়াল খন্দকারের মামা। আর মৌমিতা ঐ নেতার একমাত্র কন্যা। কথা বলে সাগর খুব আশাবাদী, পিয়াল ভাই খুব ভালো লোক। আজকের দিনে নিঃস্বার্থ এমন উপকারী এমন উপকারী লোক পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। নির্ধারিত দিনে যথাসময়ে পিয়াল খন্দকারের ঠিকানায় হাজির হলো সাগর। তার দেহটা ছাড়া দেহের সঙ্গে থাকা কোট, টাই, দামি ঘড়ি, মোবাইল, ব্যাগ, জুতা সবই ধার করা। অটোরিকশা থেকে নেমেই সাগর ফোন করল পিয়ালকে। পিয়াল ফোন কেটে দিল। আবার কল করল। ব্যস্ত পেল। মিনিট দুই পরে আবার ডায়াল করল, তখনও বিজি। আর পাঁচ মিনিট পর ডায়াল করে পেল, হ্যালো পিয়াল ভাই...। সাগর কথা বলতে পারল না। পেছন থেকে তাকে মাথায় সজোরে কেউ একজন আঘাত করল। যখন তার জ্ঞান ফিরল তখন বুঝতে পারল সে একটা ময়লা ড্রেনে পড়ে আছে, মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে, গায়ে গেঞ্জি আর পরনে শার্ট প্যান্ট ছাড়া আর কিছু নেই। একজন রিকশাওয়ালা দয়াপরবশ হয়ে তাকে ড্রেন থেকে টেনে তুলছে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক)
জ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞানের ভূমিকা দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপতৈরি কর।
অথবা,
(খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে 'পানি-দূষণ' বিষয়ে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা কর:-
লঞ্চ ভ্রমণের সময় বুড়িগঙ্গা নদীর পানির রং দেখে রাহাত বিস্মিত হয়।…………….
(ক) নিরাপদ সড়ক চাই বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর ।
অথবা,
(খ) "তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? উদ্দীপকটি অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) মেট্রোরেল ভ্রমণের আনন্দকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সংলাপ তৈরি কর।
অথবা, (খ) 'স্বপ্ন পূরণের আশা' শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ।
(ক) 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আবহমান বাংলাদেশ' বিষয়ে পিতা ও কন্যার সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) নিচের উদ্দীপক অনুসরণ করে একটি খুদে গল্প লেখ।
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল। খালের ধারের আমগাছটার নিচে বসে আছে আয়মান। হঠাৎ পিছনে কারো পায়ের শব্দ শুনে চমকে উঠলো সে।....