১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
( ক) ভাবসম্প্রসারণ করো: কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
অথবা,
(খ) সারাংশ লেখো:
মানুষের মনেও যখন রসের আবির্ভাব না থাকে, তখনই সে জড়পিণ্ড। তখন ক্ষুধা-তৃষ্ণা-ভয়-ভাবনাই তাকে ঠেলে কাজ করায় তখন প্রতি কাজে পদে পদেই তার ক্লান্তি। সেই নিরস অবস্থাতেই মানুষ অন্তরের নিশ্চলতা থেকে বাইরেও কেবলি নিশ্চলতা বিস্তার করতে থাকে। তখনই তার যত খুঁটি-নাটি, যত আচার-বিচার, যত শাস্ত্র-শাসন। তখন মানুষের মন গতিহীন বলেই বাইরেও আষ্টেপৃষ্ঠে সে আবদ্ধ।
(ক) উত্তরঃ
মূলভাব: সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। তাঁর সৃষ্টিতে কোনো ভেদাভেদ নেই। কিন্তু মানুষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে তৈরি করেছে কৃত্রিম জাতি ও বর্ণপ্রথা। মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছে দুর্ভেদ্য প্রাচীর। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। বাহ্যিক পার্থক্য থাকলেও সব মানুষ এক, সব মানুষের ভেতরেই প্রবাহিত হয় লাল রক্ত। মানুষের কোনো জাতভেদ নেই। যে ধর্মের হোক না কেন তার সত্য পরিচয় সে মানুষ।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের মর্যাদা সবকিছুর ওপরে বলে বিবেচনা করা দরকার। কোনো ধর্ম, বর্ণ, সংস্কার মানুষের চেয়ে বড়ো হতে পারে না। এ জগতে যা কিছু রয়েছে, সবই মানুষের কল্যাণের জন্য নিয়োজিত। সবকিছুর আয়োজন মানুষের উপকারের লক্ষ্যে। তাই বাইরের রং যেমনই হোক মানুষকে সবার ওপরে স্থান দিয়ে তার মর্যাদা স্বীকার করতে হয়। কিন্তু এ সত্য উপেক্ষা করে কেউ কেউ নিজেদের অভিজাত ভাবে। ফলে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি হয়, জাতিতে জাতিতে সংঘর্ষ ঘটে। সাদা, কালো, ধনী, গরিব, উচ্চবর্ণ, নিম্নবর্ণ এসব পার্থক্য মানুষের ভেতরে ঘৃণার সঞ্চার ঘটায়। এগুলো মানুষের মানবিক বিকাশের অন্তরায় তাই মানুষের জীবনের বিকাশ ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ দিয়ে জীবনকে আবদ্ধ রাখা অনুচিত। মানুষকে যদি মর্যাদা দেওয়া হয় তবে জীবন সুখকর হয়ে ওঠে। কীভাবে মানুষের কল্যাণ হবে তা বিবেচনা করা প্রয়োজন। মানবজীবনের মর্যাদা স্বীকার করে নিয়ে মানুষের উপকার করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। মানুষ নিজের তাগিদে সভ্যতার উদ্ভব ঘটিয়েছে। সেই সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সৃষ্টি করেছে শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন। এভাবে আদি থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানুষ তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় বহন করে চলেছে। তাই সব বাধা দূর করে, সব আদর্শের প্রভাব বাদ দিয়ে মানুষের জীবন মর্যাদার আসনে বসাতে হবে।
মন্তব্য: মানুষ সৃষ্টির সেরা, আশরাফুল মাখলুকাত। তাই সৃষ্টির যেদিকে তাকাই না কেন, মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কিছু চোখে পড়ে না। গায়ের রং, বংশ মর্যাদা, জাতভেদ নিয়ে মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি করা একেবারেই অনুচিত।
(খ) উত্তরঃ
সারাংশ: জীবনে চলার পথে মানুষকে নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়। পথ চলার বৈচিত্র্যময় আনন্দ সে যদি উপভোগ করতে না পারে তাহলে শাস্ত্রীয় বিধানে কুসংস্কার তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। সে তখন জড় বস্তুতে পরিণত হয়ে যায়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।