৯ বৈদ্যুতিক চিঠি / আবেদন পত্র
(ক) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে 'সহকারী শিক্ষক' পদে চাকরির জন্য একটি আবেদনপত্র রচনা কর।
অথবা,
(খ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) উত্তর:
২৬, ০৪, ২০২৩
প্রধান শিক্ষক,
আহমেদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
বিষয়: সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্তি লাভের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ২০ মে, ২০২৩ দৈনিক 'ম' পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মারফত জানতে পারলাম আপনার বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে নিচে আমার প্রয়োজনীয় তথ্য ও যোগ্যতার বিবরণ দেওয়া হলো-
১. নাম : মো. ছাইফুল ইসলাম দেওয়ান।
২. পিতার নাম : শহর আলী দেওয়ান।
৩. মাতার নাম : আলেয়া বেগম।
৪. স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম : বাঘাদাড়িয়া, ডাকঘর: ডাকের চক, উপজেলা: ত্রিশাল, জেলা: ময়মনসিংহ।
৫. বর্তমান ঠিকানা : প্রযত্নে- মো. আসাদুল্লাহ, এস. কে. এ্যাড ইন্টারন্যাশনাল (কম্পিউটার বিভাগ), ৩৮/৪ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০।
৬. জন্ম তারিখ : ১৭. ১০. ১৯৯৭
৭. জাতীয়তা : বাংলাদেশি
৮. ধর্ম : ইসলাম
৯. শিক্ষাগত যোগ্যতা :
পরীক্ষার নাম | প্রাপ্ত বিভাগ/ গ্রেড | পাসের সন | বোর্ড/বিশ্বদ্যিালয় |
---|---|---|---|
এস.এস.সি | A+ | ২০১২ | ঢাকা বোর্ড |
এইচ.এস.সি | A | ২০১৪ | ঢাকা বোর্ড |
বি. কম | B | ২০১৭ | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
অতএব, উল্লিখিত তথ্যাদির আলোকে আমাকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভের সুযোগ দানের জন্য বিনীত প্রার্থনা করছি।
নিবেদক- মোঃ ইসমাইল হোসেন।
সংযুক্তি:
ক. ৩টি সার্টিফিকেট-এর (এস.এস.সি., এইচ.এস.সি. ও স্নাতক পাস) সত্যায়িত কপি।
খ. পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি সত্যায়িত ছবি।
গ. চারিত্রিক সনদপত্রের সত্যায়িত কপি।
(খ) উত্তর:
প্রতিবেদনের প্রকৃতিঃ | অনুসন্ধানী প্রতিবেদন |
প্রতিবেদনের শিরোনামঃ | দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: জনজীবন |
প্রতিবেদন তৈরির স্থানঃ | বিপর্যন্ত |
প্রতিবেদন তৈরির সময়ঃ | ঢাকা |
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ | সকাল ৯টা |
প্রতিবেদন তৈরির তারিখঃ | মনিরা আহমদ, মুগদাপাড়া, ঢাকা ১৭ আগস্ট, ২০২৩ |
'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: জনজীবন বিপর্যন্ত'
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৩, সকাল ৯টা: জীবজগতের প্রতিটি জীব তথা প্রাণীকেই খেয়েপরে জীবনধারণ করতে হয়। মানুষ জন্মের পর থেকেই বাঁচার তাগিদে তার প্রয়োজনীয় দ্রব্য স্থিতি করতে শিখেছে। সভ্যতার অগ্রগতি হয়েছে আর দ্রব্যের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোকে পণ্ডিত মানুষেরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে দেখিয়েছেন। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা মোটামুটি পাঁচ ভাগে চাহিদাগুলোকে ভাগ করা হয়েছে। আর এ চাহিদাগুলো পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যই হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, যা না হলে মানুষের একদণ্ডও চলে না। তাহলে খুব সহজেই অনুমেয় এর কোনো একটি দ্রব্যের মূল্য যদি ক্রেতার সাধ্যের বাইরে চলে যায় তাহলে তার জীবন অনেকাংশে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের দিকে একটু সচেতন দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেই দেখা যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কী রকম ঊর্ধ্বগতি। খাওয়া-পরার জন্য ব্যবহৃত প্রতিটি দ্রব্যসামগ্রীর দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করছে দ্রব্যের মূল্য। নিচে মূল্যবৃদ্ধির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো-
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন দ্রব্যের এ মূল্য বৃদ্ধি। খুব সহজেই এর কারণগুলোকে চিহ্নিত করা যায়। ব্যবসায়ী শ্রেণির মুনাফালোভী মনোভাবকেই এর জন্য দায়ী করা যায়। এছাড়া আরও ছোট ছোট কিছু কারণ রয়েছে, তবে সেগুলো গৌণ। মজুদদাররা দ্রব্য গুদামজাত করে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেল কিনা সেদিকে। তাদের খেয়াল খুব কমই। তাদের ধারণা যেহেতু দ্রব্যটি মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম সেহেতু যেকোনো উপায়ে দ্রব্যটি তারা ক্রয় করতে বাধ্য। দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতিতে কেবল মজুদদার শ্রেণি নয়, বিভিন্ন এনজিও, সাম্রাজ্যবাদী চক্র ও পুঁজিপতি শ্রেণিরও হাত রয়েছে। আর সরকারের অর্থবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে এর বিরুদ্ধে কোনো জোরালো পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আর একটি কারণ হচ্ছে-সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি। সরকারি চাকরিজীবীরা যে হারে মহার্ঘভাতা পেয়ে থাকেন দ্রব্যের মূল্য সে হারে না বেড়ে বরং জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে। ফলে তাদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি কেবল স্বপ্নের জাল বোনার মতো। তাছাড়া বেসরকারি বা আধা সরকারি চাকরিজীবীরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে বাজারে গেলেই তাদের নাভিশ্বাস ওঠে। তাই সরকার, সচেতন শ্রেণি ও সর্বস্তরের জনসাধারণের উচিত এর প্রতিকারের জন্য আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালেই দেখা যায়, যে দেশেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে সে দেশেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে, মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। দেশে নামেমাত্র গণতন্ত্র না থেকে যদি সত্যিকারের জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে এর আশু প্রতিকার সম্ভব হবে। মুনাফালোভী, দুর্নীতিবাজ কালোবাজারি-ব্যবসায়ী শ্রেণি, ঘুষখোর কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংগতি রেখে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী মুনাফাচক্রকে রোধ করতে হবে। তাহলেই দ্রব্যের মূল্য হ্রাস পাবে। জনমনে হতাশা, ক্ষোভ দূর হয়ে শান্তি ফিরে আসবে। বাজারে পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে জনমানসের চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করবে এ আশা রেখে শেষ করছি।
(ক) তোমাদের কলেজে অনুষ্ঠিতব্য সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে একজন দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব বরাবর একটি ই-মেইল তৈরি কর।
অথবা ,
(খ) তোমাদের এলাকায় বিজয় দিবস উদ্যাপনের বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখ।
(ক) বাংলা নববর্ষের উৎসব উপলক্ষ্যে বন্ধুর নিকট একটি চিঠি লিখ।
অথবা, (খ) তোমার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে একটি পত্র লেখো।
(ক) বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বন্ধুর নিকট একটি ই-মেইল প্রেরণ করো।
অথবা,
(খ) কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে 'অফিসার পদে' নিয়োগলাভের জন্য একটি আবেদনপত্র রচনা করো।
(ক) স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে তোমার বন্ধুকে ই- মেইল প্রেরণ করো।
অথবা,
(খ) তোমার এলাকায় একটি রাস্তা সংস্কার সম্বন্দ্বে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশনার্থে একটি পত্র লেখো।