১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ

(ক) সারমর্ম লেখ:

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?

মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।

রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,

আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।

প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,

স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।

অথবা,

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:

রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।

VNSC 23

ক)উত্তর :

সারমর্ম :স্বর্গ এবং নরক বেশী দূরে নয়, মানুষের মাঝেই স্বর্গ ও নরক বিদ্যমান। মানুষ জীবিত অবস্থায় তার কৃতকর্মের জন্য জ্বালা ভোগ করে। মানুষ তার অপকর্মের জন্য যে বিবেকের জ্বালা অনুভব করে তাই নরক। আবার মানুষ যখন পরস্পরের প্রতি প্রেম বাঁধনে আবদ্ধ হয় তখনই তা স্বর্গের আনন্দ হয়ে ধরা দেয়।

খ)উত্তর :

ভাব-সম্প্রসারণ : রাত ও দিনের মতাে মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ পালাক্রমে আসে। দুঃখের আতিশয্য থেকেই বােঝা যায় সুখ অতি নিকটে। তাই দুঃখ এলে হতাশ হতে নেই। রাতের কালাে আর দিনের আলাে পাশাপাশি বিরাজমান। কিন্তু এ দুটো এক সঙ্গে আসে না। এরা পালাক্রমে এসে হাজির হয়।মানুষ রাতের কালাে তথা অন্ধকার পছন্দ করে না; দিনের আলােই তার কাম্য । কিন্তু মানুষের ভালাে লাগুক আর না লাগুক জগতের শাশ্বত নিয়মে রাত আসবেই। তার এ আগমন কেউ থামাতে পারবে না। তেমনি সুখ আর দুঃখও পাশাপাশি বিরাজমান থেকে পর পর পালাক্রমে আসে। মানুষ সুখ ভালােবাসে, দুঃখকে ভয় পায়। দুঃখের দহন-জ্বালায় জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। কিন্তু দুঃখ চিরস্থায়ী নয় । দুঃখ যতই তীব্র হােক না কেন এর অবসান আছেই। জীবন শুধু দুঃখকে নিয়ে নয় । দুঃখের অতি নিকটে সুখের অবস্থান। মানুষের বাঞ্ছিত সুখ কাক্ষিত স্পর্শ দিতে মুখিয়ে থাকে। দুঃখের অবসান হওয়া মাত্রই তার দেখা পাওয়া যায়। সুখের আগমনে মানুষের জীবনে পরম স্বস্তি অনুভূত হয়। রাতের অন্ধকার ও দিনের আলাের সাথে মানবজীবনের সুখ-দুঃখের যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। অন্ধকার পেরুলেই যেমন আলাে পাওয়া যায়, তেমন দুঃখ অতিক্রম করলেই পাওয়া যায় সুখ। তাই অন্ধকার পেরিয়ে আমাদের প্রত্যাশিত আলাে এবং দুঃখ পেরিয়ে সুখ পাওয়ার চেষ্টায় থাকতে হবে । কখনাে অন্ধকাররূপী দুঃখ দেখে হতাশ হওয়া চলবে না। কারণ দুঃখের পরে আবার দুঃখ আসে। জগতের শাশ্বত নিয়মে দুঃখের পর সুখের আগমন অনিবার্য। নিরবচ্ছিন্ন সুখ কিংবা দুঃখ মানুষের জীবনে স্থায়ী হতে পারে না। তাই জীবনে নেমে আসা ক্ষণিক দুঃখের কালাে অধ্যায় সাহস ও সংগ্রামের সাথে মােকাবিলা করে সুখের অপেক্ষায় থাকা শ্রেয়। মানবজীবনে সুখ ও দুঃখ এক বৃন্তের দুটি ফুল সদৃশ। একটি থাকায় আমরা অপরটির স্বরূপ বুঝতে পারি । কাজেই দুঃখ যতই অনভিপ্রেত হােক না কেন এর ক্ষণিক অবস্থানের কারণে হতাশ হওয়া যাবে না । দুঃখ অতিক্রম করেই সুখের স্পর্শ পেতে হবে।

১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ টপিকের ওপরে পরীক্ষা দাও

এখনো না বুঝতে পারলে ডাউটস এ পোস্ট করো

পোস্ট করো

Related question

(ক) সারাংশ লেখ:

মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে যে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতি-নীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা এবং বেদনা দেয়, তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরাই মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।

(ক) সারাংশ লেখ।

সময় ও স্রোত কারও অপেক্ষায় বসে থাকে না। চিরকাল চলতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, একে ভয় দেখাও, ভুক্ষেপও করবে না, সময় চলে যাবে আর ফিরবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পূনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু সময় একবার গত হয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা-করা নিখল। যতই কাঁদ না কেন, গতসময় কখনও ফিরে আসবে না।

অথবা,

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর।

পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।

(ক) সারাংশ লেখ:

এটা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পৃথিবীতে যেখানে এসে তুমি থামবে সেখান হতেই তোমার ধ্বংস আরম্ভ হবে, কারণ তুমিই কেবল একলা থামবে, আর কেউ থামবে না। জগৎ প্রবাহের সঙ্গে সমগতিতে যদি চলতে না পারতো প্রবাহের সমস্ত সচল বেগ তোমার ওপর এসে আঘাত করবে, একেবারে বিদীর্ণ বিপর্যন্ত হবে কিংবা অল্পে অল্পে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কালস্রোতের তলদেশে অন্তর্হিত হয়ে যাবে। হয় অবিরাম চল এবং জীবনচর্চা করো, নয় বিশ্রাম করো এবং বিলুপ্ত হও। পৃথিবীর এই রকম নিয়ম।

অথবা,

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:

সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

(ক) সারমর্ম লেখ:

বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা-

বিপদে আমি না যেন করি ভয়।

দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা,

দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।

সহায় মোর না যদি জুটে,

নিজের বল না যেন টুটে-

সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা,

নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।

অথবা,

(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:

'সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ'।