১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখ:
দৈন্য যদি আসে, আসুক, লজ্জা কিবা তাহে মাথা উঁচু রাখিস। সুখের সাথী মুখের পানে, যদি না চাহে ধৈর্য ধরে থাকিস। রুদ্ররূপে তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস। আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় পড়ে ভেঙে ঊর্ধ্বে দুহাত বাড়াস।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।
(ক) উত্তর:
জীবনে দুঃখকষ্ট, ব্যথাবেদনা, জরামৃত্যু আছে। দুঃখের দিনে কেউ সঙ্গী হতে চায় না, তবে হতাশ হলে চলবে না। সব সময়ের সাথি ও সহায় যিনি, তাঁর সাহায্য চাইলেই হবে।
(খ) উত্তর:
ভাব-সম্প্রসারণ: কথায় আছে, "জীবন একটা দুঃখ-সুখের গান"- বাস্তবতা তাই। জীবনের পরতে পরতে হাসি-আনন্দ, দুঃখ-কষ্ট মিলেমিশে থাকে। দুঃখ-কষ্টের নির্মম কশাঘাতে জীবন হয়ে ওঠে শুচিশুভ্র। রাতের শেষে যেমন সকালের সোনা রোদ, মেঘের আড়ালে যেমন সূর্য; দুঃখ অবসানে তেমন সুখ বিরাজমান।
ইংরেজিতে একটি কথা আছে, "Adversity often leads to prosperity" অর্থাৎ "দুঃখের পরিণতি সুখে।" মানবজীবন দুঃখ- সুখের জীবন। হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ সবই জীবনের অনুষঙ্গ; একটি গাথা কাব্য। একটি ছাড়া অন্যটি অর্থহীন। জীবনের পথে চলতে হলে বাধা আসবে, আসবে কণ্টকাকীর্ণ পথ, কিন্তু তা দেখে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখ পানে। মানবজীবনে নিরবচ্ছিন্ন সুখ কিংবা অহর্নিশ কষ্ট চলতে থাকলে জীবন অর্থহীন হয়ে যেত। দিন শেষে যেমন আঁধারে ঢেকে যায় পৃথিবী আবার সে আঁধার কাটতে থাকে মুহূর্তে মুহূর্তে উদিত হয় সূর্য। নদীতে জোয়ার আসে দুকূল ছাপিয়ে; জোয়ারে শেষ হতে ভাটা শুরু হতে থাকে। আকাশে মেঘ জমে তার আড়াল থেকে 'সূর্যি মামা' হাসতে থাকে। জীবনও এমনি এক খেলা। যেখানে সুখের পরে দুঃখ কিংবা কষ্টের পরে সুখের অবারিত হাতছানি। সুখ-দুঃখ পর্যায়ক্রমে আসে। দুঃখের কালছোবল ফণা তুলে আঘাত করে, তার বিষবাষ্পে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে কিন্তু মানুষকে ভুলে গেলে চলবে না যে দুঃখেরও শেষ আছে। ধৈর্য দিয়ে সহ্য করলে দুঃখের শেষ সুনিশ্চিত। দুঃখ-কষ্টের তীব্রতা মানুষকে নিরাশ করে তোলে। কষ্টের সাগরে মানুষকে ভুলে গেলে চলবে না যে, দুঃখ যত তীব্র হোক না কেন তার পরেই সুখ। প্রতি মুহূর্ত যেমন রাতের গভীরতাকে আরও গভীর করে তেমনি করে রাতের আয়ু এক এক মুহূর্ত করে কমতে থাকে। সহজ কথায়, রাতের গভীরতা যতই বাড়ে প্রভাত ততই নিকটবর্তী হয়। মেঘের আড়ালে যেমন সূর্য হাসে তেমনি মানবজীবনের দুঃখ-কষ্ট। দুঃখ-কষ্টের আড়ালেই অপেক্ষা করে দিগন্তজোড়া ভোরের সূর্য-সুখ। সুখের পায়রা উড়তে চায় নীল আকাশে। একটু ধৈর্য ধরে, বুকে সাহস সঞ্চার করে আপন কর্ম করে গেলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জন করা সম্ভব। দুঃখের দিনে ধৈর্যহারা হলে চলবে না। আশায় বুক বাঁধতে হবে, অপেক্ষা করতে হবে সুখের সোনালি দিনের। দুঃখের অমানিশার সমাপ্তি একদিন, ঘটবেই। অতএব, আমাদের উচিত বিপদে ধৈর্যহারা না হয়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করা। উত্থান-পতনের আবর্তে মানবজীবন গতিশীল। সুখ-দুঃখ এখানে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। জীবনে দুঃখ-কষ্ট আসতেই পারে- তখন হতাশ না হয়ে ধৈর্যসহকারে অপেক্ষা করলে আরার সোনালি দিনের দেখা পাওয়া যাবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।