১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখ:
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
এই সূর্য করে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই।
ধরায় প্রাণের খেলা চিরতরঙ্গিত,
বিরহ মিলন কত হাসি-অশ্রুময়,
মানবের সুখে-দুঃখে গাঁথিয়া সংগীত
যদি গো রচিতে পারি অমর-আলয়।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
(ক) উত্তরঃ
সারমর্মঃ সুন্দর এই পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ ছেড়ে কেউ চলে যেতে চায় না। সুখ-দুঃখ, আনন্দ- বেদনা ও মিলন-বিরহে পরিপূর্ণ এই জগৎ-সংসার। জীবনে সেই লীলাবৈচিত্র্যকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। তাই প্রত্যেক মানুষ সৃষ্টির লীলাবৈচিত্র্যকে ভালোবেসে চিরকাল বেঁচে থাকতে চায়।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:
প্রাকৃতিক নিয়মে প্রতিটি প্রাণীকেই তাদের নিজেস্ব পরিবেশে সুন্দর ও আকর্ষণীয় লাগে। পরিবেশচ্যুত হলেই তার সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায় । যেমন- শিশুরা মায়ের কোলে যতটুকু শোভনীয়, বনের পশুপাখি তেমনি বনেই অধিক শোভনীয় ।
সম্প্রসারিত ভাব:স্থান-কাল-পাত্রভেদে প্রত্যেকেই নিজেস্ব আবাস ভূমি এবং স্বতন্ত্র পরিচিতি আছে। মাছ পানিতে বাস করে বলে তারা জলজ প্রাণী, পশু বনে-জঙ্গলে-গুহায় বাস করে বলে এরা বন্য প্রাণী, আর মানুষ লোকালয়ে সভ্য সুন্দর পরিবেশে বাস করে বলে এরা মানুষ । এভাবে প্রত্যেকে তাদের স্ব স্ব পরিবেশে সুন্দর। মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি বৈচিত্র্যে প্রত্যেক প্রাণীর পৃথক পৃথক বাসস্থান, পরিবেশ ও রীতিনীতি দিয়েছেন।
মায়ের কোলে শিশুটা যতটুকু সুন্দর দেখাবে, অপরের কাছে মায়ের স্নেহ পেলেও তাকে সুন্দর মানাবে না। তদ্রুপ বন্য পাখিকে লোকালয়ে এনে খাঁচায় ভরে রাখলে তাকে সুন্দর মানাবে না। বনেই বন্য প্রাণীদের সুন্দর মানায় ।
সিদ্ধান্ত:উপযুক্ত পরিবেশের ওপর কোনো প্রাণী বা পদার্থের সৌন্দর্য বৈচিত্র্য নির্ভর করে এবং নিজস্ব পরিবেশের অভাবে সৌন্দর্য লোপ পায় । সুতরাং যার যার পরিবেশে যথাযথ ভাবে তাকে রাখা উচিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।