১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখো:
ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তোমার আদেশে। যেন রসনায় মম
সত্যবাক্য ঝলি ওঠে খরখভূগ সম
তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান
তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) উত্তরঃ
সারমর্ম: ক্ষমা করা মহৎ গুণ। ক্ষমার অজুহাতে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া সমীচীন নয়। সেক্ষেত্রে যে অন্যায় করে আর যে ক্ষমা করে দুজনই সমান অপরাধী। দুজনকেই তাই সমানভাবে ঘৃণা করা উচিত।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাবঃ
একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই কাউকে সুশিক্ষিত বলা যায় না। সুশিক্ষিত হতে হলে সৃজনশীল জ্ঞান এবং প্রয়ােগ দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ
শিক্ষা মানুষকে আলােকিত করে। তার চেতনাকে শানিত করে, ন্যায়-অন্যায়বােধ সৃষ্টি করে। আর এ সবকিছুই মানুষকে মনুষ্যত্বসম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। সাধারণভাবে শিক্ষা বলতে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই বুঝি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই মানবজীবনের একমাত্র শিক্ষা নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের আচার-আচরণ ও কর্মপ্রণালি অনেক সময় বুদ্ধি-বিবেকহীন সাধারণ মানুষের চেয়েও হীন, ক্ষেত্রবিশেষে পশুর মতাে হয়ে থাকে। এজন্য মানুষমাত্রেরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হয়। আর এজন্য প্রয়ােজন হয় স্বীয় উদ্যোগ, প্রচেষ্টা ও নিরলস সাধনা। কেননা নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেক প্রয়ােগ করে প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করতে না পারলে কেউ সুশিক্ষিত হতে পারে না।
একথা অনস্বীকার্য যে, বর্তমান সময়ের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এ ধরনের শিক্ষায় পরীক্ষা পাশ কিংবা কতকগুলাে সনদ লাভ করা গেলেও আলােকিত মানুষ হওয়া যায় না। এ ধরনের শিক্ষা প্রকৃত অর্থে জ্ঞানার্জনের জন্য নয় বরং জীবিকা অর্জনের জন্যে। তাই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ ডিগ্রি লাভ করলেই সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। আমাদের সমাজে এমন অনেকে আছেন যারা প্রাতিষ্ঠানিক কোনাে শিক্ষা লাভ না করেই প্রকৃতি ও পরিবেশ এবং সংগ্রামময় জীবন থেকে অনেক কিছু শিখে স্বশিক্ষিত হয়েছেন। তাঁদের জ্ঞান, দর্শন, আচার-আচরণ ও শিক্ষা মানুষকে মুগ্ধ করে। তারা তাদের জ্ঞানের আলােয় চারিদিক আলােকিত করে তােলেন। তাই আমাদের সকলের উচিত সার্টিফিকেট লাভের শিক্ষায় পরিণত না হয়ে জ্ঞানার্জনের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া।
মন্তব্যঃ
জীবনের পরিপূর্ণ সত্য উপলব্ধি করার জন্য দরকার সুশিক্ষা। সুশিক্ষাই পারে মানুষের আত্মিক উন্নতি সাধন করতে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।