১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখো:
দৈন্য যদি আসে আসুক, লজ্জা কিবা তাহে?
মাথা উঁচু রাখিস।
সুখের সাথী মুখের পানে যদি না চাহে
ধৈর্য ধরে থাকিস।
রুদ্ররূপে তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে,
বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস ।
আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় পড়ে ভেঙে
ঊর্ধ্বে দু'হাত বাড়াস ।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: গতিই জীবন, স্থিতিতে মৃত্যু।
(ক) উত্তরঃ
সারমর্ম: জীবনের চলার পথে দুরবস্থা ও বিপর্যয়ে মানুষের ধৈর্য হারানো উচিত নয়। প্রতিকূলতাকে সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে 'প্রতিহত করাই মানুষের একান্ত করণীয়।
(ক) উত্তরঃ
ভাবসম্প্রসারণঃ জীবনের ধর্মই গতিশীলতা, লক্ষ্যপথে এগিয়ে যাওয়া। মানুষকে তার কর্মের মধ্য দিয়ে গতিচঞ্চল জীবনের অধিকারী হয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হয়। বস্তুত প্রবহমানতাই জীবনকে প্রাণবন্ত করে তোলে আর স্থবিরতা আত্মার মৃত্যু ঘটায়।
এ বিশ্বজগৎ নিরন্তর গতিশীল। মহাকালের গতি যেদিন থেমে যাবে, সেদিন মহাপ্রলয় ঘটবে। জগতের জীব হিসেবে অনন্ত যাত্রাপথে আমাদের জীবনও তাই অতীব গতিময়। আর গতিশীলতার মধ্যেই ফুটে ওঠে জীবনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। জন্মোত্তর-মৃত্যু অবধি প্রতিটি মানুষকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যপথে এগিয়ে যেতে হয়। এক নিরবচ্ছিন্ন গতিশীলতার মধ্য দিয়েই মানবজীবনের বিকাশ সাধিত হয় এবং জীবনের সাফল্যগাথা রচিত হয়। সেজন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতামুখর জীবনসংসারে টিকে থাকতে হলে ও আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জয়ী হতে হলে গতিই মানুষের একমাত্র অবলম্বন। বিশেষ করে আধুনিককালের মানুষ যন্ত্রের গতিকে সঙ্গী করে চলে। তাই আজকের দিনে গতিই জীবন, গতিই বেঁচে থাকা। যে গতিহীন, স্থবিরতাগ্রস্ত, সে জীবন-যুদ্ধে সকলের পশ্চাতে পড়ে থাকে। সবার অলক্ষে, সবার অগোচরে সে অপাঙ্ক্তেয় জীবনের গ্লানি বহন করে। তখন তার জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষত, কুঁড়ে ও গোঁড়া ব্যক্তিরা সমাজে জীবনৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। কেননা তাদের আত্মার মৃত্যু অনেক আগেই ঘটে গেছে। অন্যদিকে, স্রোতম্বিনী নদীর জল বরাবরই নির্মল থাকে। কারণ সেখানে শেওলা জমতে পারে না। তেমনই কর্মময় জীবনই প্রকৃত জীবন; কর্মহীন জীবন মৃত্যুরই নামান্তর। পৃথিবীটা বিরাট এক রণক্ষেত্র। এখানে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়। বিজ্ঞানী ডারউইন বলেছেন, 'প্রকৃতির রাজ্যে যে অধিকতর যোগ্য সেই টিকে থাকবে।' অতএব গতিশীল প্রকৃতির নিত্য পরিবর্তনশীল জগতে টিকে থাকতে হলে দৃষ্টি সম্মুখে রেখে অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। বস্তুত চিন্তাচেতনায় যারা প্রাগ্রসর তারাই প্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তারাই সমাজে বিবর্তন আনে, সৃষ্টি করে নতুন সভ্যতা। তাই গতিহীন জীবন কারও কাম্য হতে পারে না।
মানব কল্যাণে কর্মের মহোৎসবে যোগদান করা মানুষের অনবদ্য কর্তব্য। আর তার মাঝেই গতিময় জীবনের লক্ষণ বিরাজিত। মূলত কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে যে গতি আসে, সে গতিই জীবনের ধর্ম। অলস কিংবা অকর্মণ্য জীবনযাপন মৃত্যুরই নামান্তর। তাই জীবনকে কর্মচঞ্চল ও প্রবহমান রাখতে আমাদের সর্বদা সচেষ্ট থাকা উচিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারমর্ম লেখো:
সবারে বাসিব ভালো, করিব না আত্মপর ভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ।
মানুষের সাথে কভু মানুষের রবে না বিচ্ছেদ-
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে যুগে যুগে কত যুদ্ধ কত না সংঘাত
মানুষে মানুষে হলো কত হানাহানি।
এবার মোদের পুণ্যে সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৌহার্দ্যের বাণী।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারে? পশু সেই জন।